সুরমা নদীর নামকরণ নিয়ে ফজলুর রহমান তাঁর ‘সিলেটের মাটি ও মানুষ’ গ্রন্থে বলেছেন, দ্বাদশ শতকের রাজা ত্রেপাল বরাক নদী হতে খালকেটে নদীটি খনন করেন এবং প্রিয়তমা স্ত্রীর নামে নাম রাখেন ‘সুরমা’। তবে হট্টনাথের পাঁচালিতে উল্লেখ আছে সুরমা নদী মনুষ্য সৃষ্ট কাটা গাঙ। বরাক হতে লোভার সংযোগ পর্যন্ত সাত বাঁক, আটগ্রাম প্রভৃতিস্থানের লোকমুখে নদীর ওই অংশ কাটা নদী বা কাটাগাঙ নামে অভিহিত হয়। তাই বলা যায় দ্বাদশ শতকের মধ্যভাগে সুরমা নদীর জন্ম।
সুরমা নদীর গতিপথে জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, সিলেট, বিশ্বনাথ, ছাতক, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জের সদর ও আজমিরিগঞ্জ অবস্থিত।
সুরমা নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৪৫ কি.মি.। প্রস্থ ৯০ মি.। বর্ষাকালে গভীরতা ১২.২৮ মি. এবং অববাহিকার আয়তন ৭৪৭৬ বর্গ কি.মি। সুরমা নদীতে জোয়ার ভাটার প্রবাহ নেই। তবে সাধারণত এই নদীতে বন্যা হয়। সিলেটে সুরমা নদীর উপর কিনব্রিজ, রেল সেতু আছে। বর্ষা মৌসুমে সুরমার পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বন্যা হয়।