সিলেটে স্কুলছাত্র আবু সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলার রায় সোমবার দেওয়া হবে।
রোববার আসামি ও বাদী পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ মামলার রায়ের এ দিন রাখেন বলে জানান আদালতের বিশেষ পিপি আব্দুল মালেক।
তিনি বলেন, “গত ১৭ নভেম্বর এই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। বিচার শুরুর নয় কার্যদিসের মধ্যেই এই মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে।”
রায়ের তারিখ ঘোষণার সময় মামলার আসামি সিলেট বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও মাহিব হোসেন মাসুম আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
গত ১৯ নভেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় ২৬ নভেম্বর। এ সময় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের জবানবন্দি শুনেছে আদালত।
আব্দুল মালেক বলেন, “সাক্ষী ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করেছি। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তিই হবে বলে আশা করছি।”
তবে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী শেখ আশরাফুল আলম বলেন, “মামলায় দুর্বল সাক্ষীসহ বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। আশা করছি আসামিরা খালাস পাবেন।”
সাঈদের বাবা আব্দুল মতিন বলেন, “আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।”
আসামি আতাউর রহমান গেদা ও আব্দুর রাকিব
চলতি বছরের ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ অপহৃত হয়। পরে অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর পর ১৪ মার্চ রাতে নগরীর ঝর্ণার পাড় সুনাতলা এলাকার একটি বাসা থেকে সাঈদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পরদিন সাঈদের বাবা আব্দুল মতিন কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এর মধ্যে তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।