সৈয়দ হিলাল সাইফ। ছড়া,গল্প,কবিতা ও গান রচনা করেন। হাহ, হা ও হিলাল সাইফ ডট কম নামে রয়েছে প্রকাশিত দুইটি ছড়ার বই। বিটিভিতে গাওয়া বিভিন্ন কন্ঠশিল্পীর কন্ঠে রয়েছে একটি সিডি এলব্যাম। দেশে বিদেশে প্রকাশিত সবকটি বাংলা পত্র পত্রিকায়, লিটলম্যাগ,অনলাইনে রয়েছে সরব উপস্থিতি।
বাদ্য-বাজনা
হারমনি বাজে নাকী ডাকে শুনি পাতি হাস
ঢোলের আওয়াজ কানে লাগে ফাটে জাতি বাশ।
মন্দিরা মনে হয় ভাঙ্গা কাচ ভাংচে
শিল্পীর সাথে যেন খঞ্জর ভ্যেংচে।
একতারার ঘেনঘেন বে সুরে দোতারা
বাদ্যের নামে যতো ঘটিয়েছে কূ-তারা।
গীটারের টোন যেন কথা কয় মিটারে
ড্রামপাড শুনে লাগে টিন চালে ইটারে।
সঙ্গীত মানে যদি এই হালে বাজনা
নির্ঘাত আজথেকে নিতে হবে খাজনা।
কারা গায় গান আর কে বজায় বাদ্য
কার ছোঁয়া পরশে বে সুরা অবাধ্য।
বেন্ডের নামে যারা আকাম আর কূ-কামে
ভালোকরে না বাজালে বাতি দিবো মোকামে।
অবাক কাক
এইযে হাজার কাক
কর্কশ ডাকাডাক
করে কা… কা…
আমিতো অবাক
এইখানে কেন ডাক
ডাকে,কাকা!
দল বেধে সব কাক
উড়ছে ঝাঁকে ঝাঁক
ডাকাডাকি….
আমিতো অবাক
কাকেদের নাই টাক
কাকা-কাকি।
হিজল ফুল
বাড়ির পাশে নদী বহে
নদীর পাড়ে হিজল গাছ
হিজল গাছে ফুল ফুটেছে
ফিঙে পাখি করছে নাচ।
হিজল ডালে নাচছে পাখি
পরছে ঝরে হাজার ফুল
নদীর স্রোতে হিজল ফুলে
রঙিন হলো দুইটি কূল।
সাতসকালে পূব আকাশে
ঊষা যখন যায় ছেয়ে
ফুল কুড়ানো গাঁথতে মালা
জুটতো পাড়ার সব মেয়ে’
সেই নদীতে সাঁতার কাটে
দস্যি ছেলে মেয়ের দল
মাগুরা নদীর স্রোতে আজো
হিজল কল কল জল্।
রক্ত-তক্ত
খুনাখুনি রক্ত
এই নিয়েই তক্ত
তবু কিছু হয়ে যায়
অনুরাগী ভক্ত…।
ভক্তরা ভাগ হয়
অক্তে অক্তে
ভাগাভাগি থেকে রাঙে
রক্তে রক্তে।
কারো হয়ে বসে নেশা
কারো হয় পেশা
ক্ষমতার মোহ মায়া
লোভি এক ঘেষা ।
মাটির টানে
মাটির টানে যুদ্ধ করে
ছিলো যতো মুক্তি সেনা
লক্ষ্য প্রানের দামে হলো
এইতো আমার মুক্তি কেনা।
শহীদের সাথে নবীনের ছিলো
অলেখা এক চুক্তি
দেশ প্রেমে সব উদ্বুদ্ধ হবে
তুচ্ছ করে সব যুক্তি।
জনগনের দ্বারা সকলের জন্য
জনগনের সরকার
শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে
টিকিয়ে রাখা দরকার।
বেচে থাকা যত মুক্তি সেনা
কালের স্বাক্ষী গাজী
সকলেই কী দালাল হয়েছে !
সকলেই কী পাজী ?
যুদ্ধ যারা করেছিল তারা
শুধুই মাটির টানে
ক্ষমতার কোনো বেব্সা ছিলনা
শহীদ,বীরাঙ্গনারা জানে।