দেশ যদি বৃক্ষ হয়, তুমি তার প্রণেতা শিকড়,
তোমাকে দমিয়ে রেখে তাই যারা ঋদ্ধ হতে চায়
বিভ্রান্ত বিশ্বাসে তারা হৃৎপিণ্ডে বিদ্ধ হতে চায়,
বড়ো মর্মান্তিক সেই বিচারক কালের আঁচড়!
-দিলওয়ার
বাংলা সাহিত্যের ‘আধুনিক কবিতার’ অন্যতম প্রধান কবি দিলওয়ার-এর রচনাবলি নতুন করে পাঠ করা দরকার যেমন নতুন প্রজন্মের, তেমনি দরকার রাষ্ট্রের প্রধান শাসক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ মহোদয়ের।
কেন দরকার? যদি শুধুমাত্র ‘সুর : শেখ মুজিবুর’ এই একটি সনেট-এর সারমর্ম, প্রতিটি ছত্রের ব্যাখ্যা এবং কবিতাটির দিকনির্দেশনা তাঁরা বুঝতে ও উপলব্ধি করতে পারেন; তাহলে তাঁরা যেমন তেমনি দেশবাসীও উপকৃত হবেন এবং অন্যরকম শক্তিও খুঁজে পাবেন চিন্তা-চেতনা ও কর্মে।
‘স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন মোদের বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে কাঁপে পাকিস্তানি শত্র“।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু আমাদের গৌরবময় ইতিহাস নির্মাতা ও ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশই নন, তিনি বাঙালির ধ্যান-জ্ঞান, চিন্তা-চেতনা, আদর্শ-দর্শন, রক্ত-মাংস, শিরা-উপশিরাসহ বাঙালির আত্মার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ‘গানে গানে জাতির পিতা’ গ্রন্থের গানগুলোতে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ, সংগ্রামী জীবন ও সাহসী নেতৃত্ব, রাজনৈতিক দক্ষতা, বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা, ক্যারিশমেটিক ব্যক্তিত্ব ও বিশ্ব রাজনীতিবোধ প্রভৃতি বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মকাণ্ড অত্যন্ত সহজ-সাবলীল ভাষায় চমৎকারভাবে ওঠে এসেছে। একটি গানে বলা হয়েছে ‘চলো চলোরে বাঙালি চলো টুঙ্গিপাড়া যাই, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু রয়েছেন ঘুমাই।’ গানটি মুজিবপ্রিয়দের মন জয়ে সাফল্য লাভে ধন্য হবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
‘গানে গানে জাতির পিতা’ বইটি যেকানো রুচিবান পাঠকের সংগ্রহে রাখার মতো।
মোহাম্মদ নওয়াব আলী
প্রকাশক