গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৯৬৪ রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। এটিও সংক্রমণের নতুন রেকর্ড।
এর আগে রবিবার একদিনে সর্বাধিক ১৫৩ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল। এছাড়া কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। ১ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ জুলাই করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩২ জনে। গত ৩ জুলাই এই সংখ্যা ছিল ১৩৪ জন। রবিবার দেশে সর্বোচ্চ ১৫৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৬৪ জন, যা দেশে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪২ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ২টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সাতদিনে দেশে যথাক্রমে ৮ হাজার ৬৬১, ৬ হাজার ২১৪, ৮ হাজার ৪৮৩, ৮ হাজার ৩০১, ৮ হাজার ৮২২, ৭ হাজার ৬৬৬, ৮ হাজার ৩৬৪ ও ৫ হাজার ২৬৮ রোগী শনাক্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৬৪ জনের মধ্যে ৫৫ জনই খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ৪০, চট্টগ্রামে ১৮, রাজশাহীতে ১৬, বরিশালে ৯, সিলেটে ৮, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০৯ পুরুষ এবং ৫৫ নারী। এদের মধ্যে ১৫ জন বাসায় মারা গেছেন। ১ জনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৫ হাজার ২২৯ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৭৮৫ জন এবং নারী ৪ হাজার ৪৪৪ জন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮৩ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৭, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৮, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪ জন রয়েছেন।