বরেণ্য কবি অধ্যাপক নৃপেন্দ্রলাল দাশকে মাকুন্দা পদক প্রদান

বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮ম মাকুন্দা পদক প্রদান করা হয় হয়েছে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বরেণ্য কবি বহুগ্রন্থ প্রণেতা অধ্যাপক নৃপেন্দ্রলাল দাশকে। গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর বিকালে বাসিয়া প্রকাশনী কার্যালয়ে এক অনাড়ম্ভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পদক প্রদান করা হয়। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গুনীজনদেরকে মূল্যায়ন করে নতুন প্রজন্মকে গুণীজনদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে এ ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। পদক ছোটো হোক কিংবা বড় হোক সেটা দ্রষ্টব্য বিষয় নয়। বিষয় হলো হৃদতার কিংবা আন্তরিকতার। সমাজে যারা কিছু করতে পারে না তারা সমালোচনা করে। তারা অন্যের ভালো কাজে কিংবা সৃজনশীল কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠে। ওরা পরগাছার মতো খুব সহজে চলে যায়। স্মৃতিচিহ্ন রেখে যেতে পারে না। ইদানীং সাহিত্যের ঠিকাদারিত্ব নিয়েছে কিছু সংখ্যক অসাহিত্যিকরা। আর এরাই সমালোচনামূখর। দিবা-রাত্রি সমালোচনার কাজেই তারা ব্যস্ত। তবে প্রকৃত সাহিত্যচর্চা যারা করেন তারা বিশাল মনের অধিকারী থাকেন। তারা সৃজনশীল কাজে প্রতিরোধ করেন না বরং প্রতিযোগীতা করেন। তখন সৃজনশিল্পের বিকাশ ঘটে। মাসিক মাকুন্দা সম্পাদক গীতিকার মো. খালেদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও গীতিকবি হরিপদ চন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ কবি পুনিল রায়, কবি ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান সাঈদ, মাসিক বাসিয়া সম্পাদক গীতিকার মোহাম্মদ নওয়াব আলী, কবি ও অধ্যাপক জান্নাত আরা খান পান্না, কবি ও অ্যাডভোকেট আব্দুল মালিক, অধ্যাপক ও বিজ্ঞান লেখক নন্দ কিশোর রায়। সাহিত্য আলোচক আরিফ কামাল লালনের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশ নেন কবি আলাউদ্দিন তালুকদার, গল্পকার কানিজ আমেনা কুদ্দুস, কবি এম আলী হোসাইন, সাংবাদিক আনিসুল আলম নাহিদ ও নাফিস ইকবাল। অনুষ্টানে এ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘ইলিশের দেশের কবি’ নামক স্মারক সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।আপনার আদর্শ অনুসরণযোগ্য। বিত্তে নয়, চিত্তেই আপনি প্রশান্তি খুঁজেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার জৌলুস ছেড়ে চলে আসলেন দেশে, সিলেটে, মাটির সঙ্গে বসবাসে।
শতায়ু হোন-কামনা।

Developed by: