বিভাগ: বই পত্র

সৃষ্টির বিয়ের খরচ সাড়ে ৬শ’ কোটি

9-2মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে খরচ করার আগ্রহ কার না থাকে। পিতা সব সময়ই চান একটু বেশি খরচ করতে। কিন্তু সাধ্যের মধ্যে না থাকলে তা সম্ভব হয়ে উঠে না। বিয়ের ধুমধামের এমন খরচ করেছেন ভারতের এক পিতা। তিনি ভারতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।

ইস্পাত পুঁজিপতি লক্ষ্মী মিত্তালের ছোটভাই প্রমোদ মিত্তাল। তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় স্পেনের বার্সোলোনায়। মেয়ে সৃষ্টি মিত্তালের (২৬) সঙ্গে স্পেনের বার্সোলোনার বিশিষ্ট ব্যাংক বিনিয়োগকারী গুলরাজ বেলের (৩৬) বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিশাল আকৃতির একটি কেক কেটে নব দম্পতি তিনদিন ধরে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।  রান্না ও পরিবেশনার জন্য ২ শ’ তারকা শেফকে ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে আনা হয়। আনন্দ-উৎসবে আনা হয়েছিল কাইলি মিনোগ, জাবেদ আখতার, জুহি চাওলা, রানী মুখার্জি, সাইফ আলী খান ও শাহরুখ খানের মতো তারকাকে।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে মেয়ের পিতার ব্যয় হয়েছে ৫ শ’ কোটি রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা।

২০০৪ সালের জুনে তার বড়ভাই লক্ষ্মী মিত্তালের মেয়ে ভানিসার বিয়ে উপলক্ষে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

নারীর পেটে ১৫২টি পেরেক!

9-1মুম্বাই, ৯ আগষ্ট- পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন কোন কালা জাদু ভর করেছে তাঁর ওপর। আসলে কিছু ধাতব বস্তু গিলে ফেলেছিলেন তিনি। আর তার ফলেই অদ্ভুত আচরণ করতে থাকেন ৩৫ বছরের ওই মহিলা। অবশেষে হাসপাতালে এক্সরে করে চিকিৎসকরা দেখতে পান অন্তত ১৫২টি ধাতব বস্তু রয়েছে তাঁর পেটে। পেলভিকের হাড়ের কাছে ঝুলে ছিল সেগুলো। মোট ৯৬টি ছোট পেরেক, ২৩টি বড় পেরেক, স্ক্রু, কয়েন, চুলের ধাতব পিন ও একটি চাবির ছবি আসে এক্সরেতে। পেটে ব্যাথা ও নিশ্বাসে কষ্ট নিয়ে রাজীব গান্ধী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। রক্তাল্পতা ও অপুষ্টির চিহ্ন স্পষ্ট ছিল তাঁর শরীরে। অস্ত্রপচারের আগে ক্রমাগত রক্ত, রক্তজাত দ্রব্য, প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টির ওষুধ দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা হয় তাঁকে। অবশেষে ৯০ মিনিটের অস্ত্রপচারে চিকিৎসকরা বের করে আনেন বস্তুগুলি। বহুবছর ধরে তাঁর অদ্ভুত আচরণের জন্য তাঁকে মন্দিরে নিয়ে গিয়েছে তাঁর পরিবার। গত ৫ বছর ধরে মানসিক চিকিৎসাও চলছিল তাঁর।

ইন্দোনেশিয়ান মেয়েদের ফাঁদে বাংলাদেশি ছেলেরা

9-05 প্রেমের ফাঁদ পেতে সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে সরে পড়ে ইন্দোকন্যারা। তারপর? তারপর আবারও স্বপ্ন গড়ার গল্প দেখে বাংলাদেশি ছেলেরা, হয়তো সেটা কখনো হয় দুঃস্বপ্ন! স্বপ্নের মালয়েশিয়ার বাস্তব চিত্র এমনি নিষ্ঠুর।

মালয়েশিয়ার রাস্তায় স্বপ্ন ওড়ানো বাংলাদেশিদের জীবনের ডায়েরির পাতা উল্টিয়ে দেখা যাচ্ছে, যে ছেলেটি দেশে কখনো কোনো ধরনের কাজ করেনি, এখন সে মালয়েশিয়ার রাস্তায় ঝাড়ুদারের কাজ করে। নিয়তির খেলাকে ভাগ্য মনে করে কাজ করে চলে সে। কারণ, স্বপ্নের দেশে পাড়ি জমাতে এক গাদা সুদের টাকা জমিয়ে এসেছে সে, সঙ্গে ‘বন্ধক’ দিয়ে এসেছে মা-বাবার সুখ-শান্তিও। যে কোনো উপায়ে মা-বাবার মুখের হাসি ফেরাতে হবে, সুদের টাকা শোধ করে নত করে দিতে হবে মহাজনের রক্তচক্ষু। কেউ হয়তো এই সংগ্রামী জীবনে টিকে থাকে, আবার কেউ থেমে যায় মাঝপথেই। স্বপ্নের দেশে এসে স্বপ্নের পুঁজি জীবনটাকেই শেষ করে দেন কেউ কেউ।

অনেকে মালয়েশিয়ায় থেকে গেছেন বছরের পর বছর। এমনও নজির আছে, ২০ বছর মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন, কিন্তু একবারের জন্যও দেশে ফেরেন নি। দেখতে যান নি প্রিয় মা-বাবার মুখ। এরা মালয়েশিয়ায় বিয়ে করে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। এদের পাঠানো রেমিটেন্সে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। আরেক ধরনের বাংলাদেশি আছেন যারা স্বপ্ন বুনতে এসে অন্যের স্বপ্ন বোনার ‘বলি’ হয়ে যান। খোলাসা করে বললে, ইন্দোকন্যাদের বলি হন।

মালয়েশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ান, ভিয়েতনাম বারমিজ, ফিলিপিনো, ইন্ডিয়ান, থাইসহ অনেক দেশের মেয়েদের বসবাস। ছেলেদের মতো ব্যবসা-বাণিজ্যেও এখানে চাইনিজ মেয়েরা অনেকটা এগিয়ে। ব্যবসা বাণিজ্যের মতো পোশাক-পরিচ্ছদেও খানিকটা এগিয়ে চাইনিজ মেয়েরা। অবশ্য এরা সংক্ষিপ্ত জামা পরলেও প্রতারণা-ধোঁকাবাজি বোঝে না। আর চাইনিজ মেয়েরা সাধারণত চাইনিজ ছেলেদের সঙ্গেই প্রেম করে। আর ইন্ডিয়ানদের মতো এখানকার ফিলিপিনো মেয়েরাও খানিকটা সংগ্রামী। তবে, এদের পছেন্দের তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশি ছেলেরা। কী কারণে?

ফিলিপিনো ক্যাটলিক মরিয়াম বলেন, বাংলাদেশি ছেলেরা অনেক স্মার্ট ও কঠোর পরিশ্রমী। তারা স্ত্রীদের দেখাশোনা করে। মরিয়ামের মতে, তাদের ধর্মের সঙ্গে মুসলিম ধর্মের অনেক মিল আছে বলে বাংলাদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে তেমন একটা বাধা থাকে না।  বাংলাদেশিরা অনেক কঠোর পরিশ্রম করে। স্ত্রীদের কোথাও কাজ করতে দেয় না।

এছাড়া, স্থানীয় ছেলেদের আলস্যের কারণে বাংলাদেশিদের প্রতি তাদের দুর্বলতা আরও বাড়তে থাকে। তবে মালায়সিয়াতে , কিছু বাংলাদেশি মালয় মেয়েদের বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিয়ে দেশে চলে যায় বলে ওই স্বামীহারা মেয়েদের অবস্থা বিবেচনা করে ২০০৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশিদের বিয়ের উপর কড়াকড়ি  আরোপ করে। কিছু ব্যক্তির প্রতারণার কারণে বাংলাদেশিদের ওপর থেকে মালেশিয়ান মেয়েদের শ্রদ্ধা, ভক্তি ও বিশ্বাস উঠে যায়।

বাংলাদেশি ছেলেদের প্রতি রহস্যজনকভাবে এখনও আগ্রহ রয়েছে ইন্দোনেশিয়ান মেয়েদের। মালয়েশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ানদের আগমনের পথ অনেক বেশি সহজ প্রতিবেশী হওয়ার কারণে। ইন্দো মেয়েরা অনেক বেশি কর্মঠ। তাদের চাতুর্য এর চেয়েও বেশি। মালায়সিয়াতে বেশিরভাগ বাংলাদেশি ছেলের বান্ধবী ইন্দোনেশিয়ান।  পেনাং, জোহর বারু, কেদাহ প্রদেশের শিল্প কারখানাগুলোতে হাজারো বাংলাদেশি ও ইন্দোনেশিয়ান কাজ করে।

আমিন মোস্তফা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এক ইন্দোনেশিয়ান মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন। ইন্দোনেশিয়ান ওই মেয়ের ভরণ-পোষণে অর্থও ঢালছেন। ওই মেয়ের প্রেমের ফাঁদে পড়ে টাকা উড়াচ্ছেন- এমনটি স্পষ্ট না বললেও পুরোপুরি অস্বীকার করেন নি আমিন।

সূত্র বলছে, আমিনের মতো ইন্দো মেয়ের প্রেমের ফাঁদে পড়ে হাজারো বাংলাদেশি ছেলে ফতুর হয়ে গেছে। জামাল  জানান, ইন্দো মেয়েরা সাধারণত থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলে যে কোনো বাংলাদেশি ছেলের সঙ্গে একত্রে বসবাস করবে। কিন্তু ভরণ-পোষণের অর্থ ফুরিয়ে গেলে অন্য কারও সঙ্গে চলে যেতে একটুও দ্বিধা করবে না।

সূত্র জানায়, অর্থের বিনিময়ে নিজের সতীত্ব বিক্রি করতেও দ্বিধা করে না অভাবতাড়িত ইন্দো মেয়েরা। সম্ভ্রমের বিনিময়ে নিজের বাবা-মা ও  ছেলে-সন্তানের জন্য নিয়মিত টাকা উপার্জন করে ইন্দো নারীরা। অনেক বাংলাদেশী ইন্দোনেশিয়ান মেয়ের প্রেমের ফাঁদে পড়ে  সব হারিয়েছেন, বাবা-মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সব কিছু হারিয়ে এখন তিনি পথের ফকির।

এক বাংলাদেশীজানান, দীর্ঘদিন ধরে ইন্দোনেশিয়ান মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে তিনি কখনো জানেন নি যে ওই মেয়ের স্বামী ও তিন সন্তান আছে। প্রেমের ফাঁদ পেতে তার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়েছেন ওই নারী। আরও স্বীকার করেন, এমন প্রেমের ফাঁদ পেতে বাংলাদেশি ছেলেদের অর্জিত অর্থ নিজ দেশে পাঠায় ইন্দোকন্যারা। আর শেষ অবধি পথে বসতে হয় বাংলাদেশি ছেলেদের।

চীনা শহরে দাড়ি-বোরকায় নিষেধাজ্ঞা

9-04চীনের নিয়ন্ত্রিত শিনজিয়াং প্রদেশের একটি শহরে পুরুষের দাড়ি রাখা ও নারীর বোরকা পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রদেশটির সীমান্তবর্তী খাসগার এলাকায় সম্প্রতি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা এবং পুলিশি অভিযানে প্রায় ১০০ ব্যক্তি নিহত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রদেশটির কারামে শহরে পুরুষের দাড়ি ও নারীর বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে বুধবার বলা হয়েছে, কারামের কর্তৃপক্ষ পাঁচ ধরনের মানুষের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বোরকা, মাথায় স্কার্ফ, হিজাব ও চাঁদ-তারাখচিত কাপড় পরা লোকজন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবেন। এ ছাড়া বড় দাড়ি রাখা লোকজন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন। গত সোমবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই পাঁচ শ্রেণির লোক শহরটির বাস ও অন্যান্য গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারবেন না। খেলাধুলাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা বলবত্ হতে পারে।
এ ছাড়া শিনজিয়াংয়ের নেতৃত্ব বিদ্যমান জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের একটি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে।
এর আগে শিনজিয়াংয়ে ইসলামধর্মাবলম্বী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের রোজা পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।

সমাজসেবী আব্দুল মালিক ময়ূরের দাফন সম্পন্ন

8-9বাসিয়া ডেস্ক :  বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন রাউতর গাঁও গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও কামাল বাজার যুব ফোরামের মহাসচিব আলহাজ্ব আব্দুল মালিক ময়ূর (৪৯) বুধবার ভোর ৪টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লা..রাজিউন)। তিনি মরহুম হাজী ছোয়াব আলী ও মরহুমা শফিকুন নেছার ২য় পুত্র। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেছে গেছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় স্থানীয় পঞ্চগ্রাম ঈদগাহে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাযার নামাজের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ও সামাজিক সংগঠনের নেতবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুল মালিক ময়ূর দীর্ঘ দিন ধরে কিডনী, ডায়বেটিকস ও হার্টের রোগে ভোগছিলেন। সম্পতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিলেট শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে আই.সি.ই’তে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে তাকে নিয়ে যাওয়ার পথে ভোর ৪টায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীর পরিচালনায় জানাযার নামাজের পূর্বে বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহছানুল মামহবুব জুবায়ের, জেলা দক্ষিণ জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, অলংকারী ইউপি চেয়ারম্যান লিলু মিয়া, সিলেট গোল্ডেন টাওয়ারের এম.ডি নূরুল ইসলাম খান, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি মাওলানা বুরহান হোসেন, মাওলানা তৈয়বুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রব, কবির আহমদ কুব্বার, প্রবাসী পল্লী’র নেক্সট বিল্ডার্স এর এম.ডি গিয়াস উদ্দিন আহমদ রানা, মরহুমের ছোট ভাই আবুল কালাম।

জানাযার নামাজে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ নূর উদ্দিন, রামপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার খান, লালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল আফিয়ান চৌধুরী, ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সুহেল, সিলেট জেলা উত্তর জামায়াতের আমীর মাওলানা আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, জেলা দক্ষিণ জামায়াত নেতা মাওলানা ফারুক আহমদ, হাসমত উল্লাহ, নাজিম উদ্দিন, বালাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুস সাত্তার, বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল কাইয়ূম।

এ মাসেই ঢাকায় ফিরছেন শাবনূর

Decrease font Enlarge font

8-7চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরছেন শাবনূর। ঢাকায় এসেই ‘লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন’ পরিবেশে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন তিনি। এবার একটি নতুন ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাও করতে দেখা যাবে তাকে। আগেরবার দেশে থাকাকালেই পরিচালক সমিতির সদস্য হয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

শাবনূরের বাবা শাহজাহান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘মাঝে বেশ কয়েকবার শাবনূরের দেশে ফেরার কথা ছিল। এমনকি বিমানের টিকিট কেটেও পরে তা বাতিল করা হয়। টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য চিকিৎসকরা ওকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ছয় মাস পর্যন্ত আইজানকে নিয়ে যেন অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। তাই দেশে ফিরতে পারেনিও। সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তাই এখন ওর দেশে ফিরতে চিকিৎসকদের তরফ থেকেও আপত্তি নেই।’
এদিকে শাবনূরের বর অনিক মাহমুদ স্ত্রী ও সন্তানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। কারণ ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে আইজনাকে কোলে নেওয়ার সুযোগ পাননি তিনি। শাবনূর ও আইজান চলতি মাসের কত তারিখ ফিরবেন তা অবশ্য গোপনই রাখা হয়েছে।

২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর চুপিসারে অনিককে বিয়ে করেন। ‘বধূ তুমি কার’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল। জানা গেছে, শাবনূর ফিরে এলে পারিবারিকভাবে তার ও অনিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পুত্রসন্তানের মা হন শাবনূর। তার ছেলের নাম রাখা হয় আইজান নেহান।

শাবনূরকে সর্বশেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’য়। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত এ ছবিতে তার সহশিল্পী ছিলেন ফেরদৌস ও মৌসুমী।

পোষা কুকুরের বিনোদনে দেড়কোটি টাকা!

7-6মার্কিন সংগীত শিল্পী মারিয়া ক্যারি তাঁর পোষা সাত কুকুরের বিনোদনের জন্য খরচ ধরেছেন দেড় কোটি টাকা। কুকুরগুলোকে বিনোদনের ছুটি কাটানোর সুযোগ দিতে আলাদা বিমান ভাড়া করে যুক্তরাজ্যে আনাচ্ছেন তিনি। সেখানে ভালো হোটেলে রেখে তাদেরকে পছন্দের খাবারও খাওয়াবেন তিনি। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪৪ বছর বয়সী সংগীত তারকা মারিয়া ক্যারি তাঁর সাতটি কুকুরকে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত একটি কুকুরের হোটেলে রাখবেন। এ ছাড়াও কুকুরগুলোকে আলাদা বিমান করে আনতে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে তাঁর।
যুক্তরাজ্যের হোটেলে রাখার পর কুকুরগুলোর জন্য বিশেষ বিনোদনের সুযোগও করে দিচ্ছেন ক্যারি। বিখ্যাত শেফের হাতে নিজস্ব পছন্দের খাবার, ব্যক্তিগত থাকার জায়গা প্রভৃতি সুবিধাও পাচ্ছে ভাগ্যবানরা।
একটি সূত্রের বরাতে কন্ট্যাক্টমিউজিক জানিয়েছে, ‘স্নান করানো, ঠিকমতো সাজানো, বেড়াতে নিয়ে যাওয়াসহ হোটেলে এদের নিজস্ব রুমে ঘুমানোর ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও, মারিয়া ক্যারির পাঠানো খাবারের মেনু অনুযায়ী বিশেষ খাবার তৈরি করে খাওয়ানোর জন্য শেফও থাকবে। পাশাপাশি বিশেষ বিমানে ভ্রমণ তো থাকছেই।’

জীবন-মরণে হাতে হাত

7-3প্রথমে প্রেম, তারপর হাতে হাত রেখে সংসার জীবন শুরু। দীর্ঘ ৬২ বছর সুখে-দুঃখে ঘরসংসার করে হাতে হাত রেখেই বিদায় নেন তাঁরা।

দীর্ঘজীবী এই দম্পতি হলেন ৯০ বছরের ডন ও ৮৭ বছরের ম্যাক্সিন সিম্পসন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা।

অসুস্থ এই দম্পতি কিছুদিন হাসপাতালে ছিলেন। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাঁদের বাড়িতে নিয়ে হয়। পাশাপাশি বিছানায় একে অন্যের হাত ধরে ঘুমিয়েছিলেন ডন ও ম্যাক্সিন। ভয় ছিল একে অন্যকে ছেড়ে যাওয়ার। তাই দুজনে দুজনের হাত ধরেছিলেন শক্ত করে। যেন একে অন্যকে বলেছিলেন, ‘ছেড়ো না এই হাত।’

গতকাল বুধবার খুব ভোরে নাতনি মেলিসা স্লোন ঘরে ঢুকেন। তিনি বুঝতে পারেন দাদি ম্যাক্সিন আর নেই। ধীরে ধীরে তাঁকে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পাশের বিছানায় ডন নীরবে শুয়েছিলেন। স্ত্রীকে সরিয়ে নেওয়ার সময় তিনি তাকে শেষবারের মতো ছুঁয়ে দেখেন। মাত্র চার ঘণ্টা পরে চলে যান ডনও।

বিবিসিতে অনলাইনের খবরে জানানো হয়, কেইআরও টিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মেলিসা বলেন, ‘এই হলো সত্যিকারের ভালোবাসা।’ তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার বেকারসফিল্ডে দুজনের দেখা হয়। সে বছরেই একে অন্যকে বিয়ে করেন তারা। ডন পেশায় ছিলেন একজন প্রকৌশলী। স্ত্রী ম্যাক্সিন সেবিকা। নিজেদের কাজ শেষে যখন তাঁরা বাড়ি ফিরতেন, বাড়িটা তখন সত্যিই স্বর্গ হয়ে উঠত।

শুরুতে কিছু দিন জার্মানিতে ছিলেন ডন ও ম্যাক্সিন দম্পতি। সেখানে কাছাকাছি এক অনাথ আশ্রম থেকে তাঁরা যমজ শিশুকে দত্তক নেন। পরে আবার তাঁরা বেকারসফিল্ডে ফিরে যান। তাদের এক ছেলে ও পাঁচজন নাতিনাতনি রয়েছে।

গাজায় গণহত্যা ও বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ভাষা ফকির ইলিয়াস

7-2এটা কোনো যুদ্ধ নয়। এটা স্পষ্টতঃ গণহত্যা। যা হচ্ছে- তা মেনে নেয়ার কথা নয়।
তারপরও বিশ্বের বড় বড় শাসকরা যেন নির্বাক। গণহত্যা চলছেই। প্রতিবাদ যে হচ্ছে না – তা নয়। কিন্তু তাতে তারা কর্ণপাত করছে না, যারা এই যুদ্ধ থামাতে পারে।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে আমরা একটি কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম।
‘আগ্রাসন বিরোধী কবিতা’।
এই কঠিন সময়ে বিশ্বের অনেক দেশেই শিল্পী, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী,শিক্ষক,শ্রমজীবি, পেশাজীবি, কবি, লেখক সকলেই প্রতিবাদী। তাদের চোখে-মুখে তীব্র ক্ষোভ।
নিউইয়র্কেও কবিদের এই প্রতিবাদী পংক্তিমালা আবারও জানিয়ে দিয়েছে, এই বিশ্বে আগ্রাসনের স্থান নেই। এই বিশ্ব হবে আগামী প্রজন্মের জন্য শান্তির নিবাস। ৩১ জুলাই ২০১৪ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়-‘আগ্রাসন বিরোধী কবিতা’ পাঠ। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে কবি-আবৃত্তিকার’রা অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে।
জ্যাকসন হাইটসের ‘মুক্তধারা’য় সন্ধ্যা সাড়ে সাত’টায় শুরু হয় এই আয়োজন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্ব ছিল আমার উপর। শুরুতেই সদ্য প্রয়াত কবি নবারুণ ভট্টাচার্যের প্রতি সম্মান জানানো হয়। তাঁর লেখা বিখ্যাত কবিতা -‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’- থেকে পংক্তিমালা পাঠ করলাম আমি নিজেই।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই এই কাব্যপাঠ আয়োজনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়।
এটা স্বীকৃত বিষয়- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা কবিতা চর্চার ধারাবাহিকতা অত্যন্ত উজ্জ্বল।
গেল প্রায় তিন দশক সময়ে – এখানের অভিবাসী বাংলা ভাষাভাষি কবিরা ‘স্বৈরাচার
বিরোধী কবিতা’ ,’গণতন্ত্রের পক্ষে কবিতা’, ‘মৌলবাদ বিরোধী কবিতা’, সাম্প্রদায়িক ঐক্যের পক্ষে কবিতা’, ‘ একুশের কবিতা’, ‘বিজয়ের কবিতা’, ‘স্বাধীনতার কবিতা’,
‘মুক্তিযুদ্ধের কবিতা’ ,’গণজাগরণের কবিতা’ – প্রভৃতি অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছেন
এবং কবিতা পড়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায়ই ছিল এই উদ‌্যোগ।
একজন সৃজনশীল মানুষ মানেই তিনি, সকল আগ্রাসনের প্রতিবাদ করেন। সব মানুষেরাই শান্তি-সম্প্রীতি চান। বিশ্বে যারা ক্ষমতাবান, তাদের উচিৎ যুদ্ধ বন্ধে শীঘ্রই উদ‌্যোগ নেয়া। কারণ গাজায় যে গণহত্যা চলছে- তা যুদ্ধাপরাধের শামিল। পাঠপূর্ব আলোচনায় এমন কথাই ব্যক্ত করেন কবিরা। তারা বলেন, আরব মুল্লুকের নেতাদের
এই নীরবতা, শংকা অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পড়েন- কবি সোনিয়া কাদির,কবি মিলি সুলতানা,কবি মাকসুদা আহমেদ, কবি জুলি রহমান, লেখক আদনান সৈয়দ, কবি আহমেদ ছহুল,
কবি লিয়াকত আলী, কবি শাহেদ চৌধুরী, কবি কাজী আতিক, কবি ফকির ইলিয়াস,
কবি শামস আল মমীন, ও কবি তমিজ উদদীন লোদী ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে নিজেদের লেখা কবিতা পাঠিয়ে অংশ নেন তরুণ দুই কবি-
সোহরাব সুমন ও মনসুর আজিজ। এছাড়া আহ্বানে সাড়া দিয়ে খুব দ্রুত কবি নাওমী
শিহাব নাঈ এর দুটি কবিতা বাংলাদেশ থেকে অনুবাদ করে পাঠান- অনুবাদক ও কবি
সোহরান সুমন।
যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান আবৃত্তিকারদের পদচারণায় অনুষ্ঠানটি ছিল বেশ প্রাণবন্ত। বিশিষ্ট
আবৃত্তিকার জি এইচ আরজু পড়েন-কবি মাহমুদ দারবিশ ও কবি ফকির ইলিয়াসের
কবিতা। শক্তিমান আবৃত্তিকার মিজানুর রহমান বিপ্লব পড়েন- কবি খলিল জিবরান ও
কবি তমিজ উদদীন লোদী’র কবিতা। সুপরিচিত আবৃত্তিকার মোশাররফ হোসেন পড়েন
কবি মাহমুদ দারবিশের কবিতা।তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল আবৃত্তিকার হাসান শাহরিয়ার তৈমুর পড়েন- কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কবি সুকান্ত ও মার্কিনী কবি নাওমী শিহাব নাঈ এর দুটি কবিতা।নান্দনিক আবৃত্তিকার শুক্লা রায় পড়েন- কবি মাহমুদ দারবিশের কবিতা। সংগঠক খান শওকত পড়েন- কবি নবারুণ ভট্টাচার্যের কবিতা।
তরুণ আবৃত্তিকার এজাজ আলম পড়েন- কবি মাহমুদ দারবিশ ও কবি মনসুর আজিজ এর কবিতা। সৃজনশীল আবৃত্তিকার তাহরীনা পারভীন পড়েন- কবি নাজিম হিকমত ও কবি সোহরাব সুমন এর কবিতা ।
কবিতা পাঠের পূর্বে কবি তমিজ উদদীন লোদী বলেন, এই অসম অস্ত্রমহড়া গোটা বিশ্বের মানবতাবাদীদের জন্য চরম শংকার কারণ। এটা চলতে পারে না। তিনি বলেন,
আজ আরব বিশ্ব যদি ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদে মুখর হতো- তাহলে পরিস্থিতি ভিন্নরূপ
নিতে বাধ্য হতো। কিন্তু বেদনার বিষয় হচ্ছে, তারা তা করছে না। তিনি এই নারী-শিশু হত্যা বন্ধের আহ্বান জানান।
যে কথাগুলো আমি সেদিনও বলেছি, আমরা হাত উঁচু করে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবো। আমরা আমাদের জাগ্রত কলমে লিখে যাবো সকল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের দ্রোহ। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কবিতার বিকিরণ ছড়িয়ে দিতে চাই। অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- সাপ্তাহিক ঠিকানা
সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, একুশে টিভির প্রতিনিধি ইমরান আনসারী, টাইম টিভি’র প্রতিনিধি, সংগঠক ডাঃ মনসুর আলী, সংগঠক ও ব্লগার তানভীর রাব্বানী, রফিকুল ইসলাম, তরুন কবি স্বপ্ন কুমার প্রমুখ।
আড়াইঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠানটি স্পনসর করেছিলেন ‘মুক্তধারা’ ও এর কর্ণধার বিশ্বজিত সাহা । মুক্তধারা উত্তর আমেরিকায় সৃজন ও মননশীলতার প্রতীক। তারা আবারও
অভিবাসী কবিদেরকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন।
॥ দুই ॥
গাজায় এই গণহত্যা বিশ্বকে কোথায় নিয়ে যাবে ? এমন প্রশ্ন অনেকের। একটি খবর আমাদের নজরে পড়ছে। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসসহ সেখানকার অন্যসব প্রতিরোধ আন্দোলনকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করতে প্রস্তুত ইরান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী জাফারি এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, “ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোকে ইরান বিভিন্ন দিক দিয়ে সহায়তা করতে চায়। মুসলমানদের রক্ষার ক্ষেত্রে তেহরান শিয়া-সুন্নির বিষয়টি কখনো আলাদা করে দেখে না।”
গাজার চলমান সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে ইরানের এ কমান্ডার বলেন, বর্তমান ঘটনাবলী ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ শক্তি সীমাহীন এবং দিন দিন তা বাড়ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, অবরুদ্ধ গাজা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অভ্যন্তরে যে পরিমাণ রকেট ছোঁড়া হয়েছে এবং ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যেভাবে স্থল অভিযানের সময় লড়াই করেছে তাতে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর শক্তি বেড়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
জেনারেল জাফারি বলেন, গাজা এবং ইরাকের চলমান ঘটনাবলী আমেরিকা ও ইসরাইলের যৌথ প্রকল্প। তবে, শিয়া-সুন্নির ঐক্যের মুখে শিগগিরি দখলদার ইসরাইল সরকারের পতন হবে এবং ইরান সেদিনের জন্য প্রস্তুত।
বিষয়টি ভাবার তো বটেই। কোথায় চলেছে বিশ্ব ? কেন বিশ্বের নীতি নির্ধারকরা
থামাতে চাইছেন না এই রক্তবন্যা ?
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফা এলাকায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত স্কুলে চালানো ইসরায়েলের হামলা অনৈতিক ও অপরাধমূলক বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, এই ধরনের মানসিক ভারসাম্যহীন কর্মকাণ্ড অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলের এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল বলেও জানান তিনি।
বান কি মুন বলেন, জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলের হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন। তিনি আরো বলেন, স্কুলের অবস্থান সম্পর্কে ইসরায়েলকে নিয়মিত অবহিত করা হয়েছে।
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আরও কিছু মীনমীনে ভাষার প্রতিবাদ এখানে পড়ুন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মহিলা মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের এ ধরণের ‘লজ্জাজনক গোলাবর্ষণে’ মর্মাহত। তিনি এ ঘটনার ‘একটি পূর্ণাঙ্গ ও ত্বরিৎ তদন্তের’ আহ্বান জানিয়েছেন।
সাকি বলেন, ইসরায়েলিদের অবশ্যই তাদের মান বজায় রাখতে ও বেসামরিক প্রাণহানি এড়াতে আরো অনেক কিছু করতে হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেছেন, জাতিসংঘের স্কুলে হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’।
তিনি জানিয়েছেন-ইসরায়েল বলেছে, স্কুলে হামলার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।
ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অনিচ্ছাকৃত যে কোন হামলার জন্য তেলআবিব দুঃখিত। তবে তিনি হামাসের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোকে ‘সন্ত্রাসী আখড়ায়’ পরিণত করার অভিযোগ করেছেন।
কী এক ভয়ানক পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে ফিলিস্তিন আর সে দেশের
সাধারণ মানুষেরা ! জুলুমেরও তো একাট সীমা আছে। ইসরাইলি জালেমেরা আর কত শিশু-নারী-অসহায় মানুষের রক্তে তাদের হাত রাঙাবে ?

চুলের ছাঁট পছন্দ হয়নি ভক্তদের

7-1অন্তত এ দিকটায় তিনি বরাবরই সাদামাটা ছিলেন। চুলের ছাঁট নিয়ে লিওনেল মেসি কখনোই খুব বেশি পরীক্ষায় যাননি। ক্যারিয়ারের শুরুতে মাথাভর্তি সিল্কি চুলেই চেনা যেত তাকে। এরপর বছরদুয়েক আগে চুল ছোট করে ফেলেন আর্জেন্টাইন এ সুপারস্টার। কিন্তু এবার একেবারে ভিন্ন ছাঁট দিয়েছেন মেসি। কাঁধের ওপর থেকে ছোট করে ফেলেছেন তিনি। বিশ্বকাপের পর নতুন এ হেয়ারস্টাইল নিয়েই স্প্যানিশ লীগে হাজির হচ্ছেন মেসি।
তার এই নতুন হেয়ারকাট নিয়ে এরই মধ্যে ঝড় উঠেছে ভক্তকুলে। অনেকেই মনে করছেন, রোনালদোর মতো স্টাইল করতে গিয়েই তিনি এ কাজ করেছেন। কেউ বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সরকারপ্রধান কিম জং উনের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে স্যোশাল মিডিয়ায় একেবারেই প্রশংসা পাচ্ছে না মেসির এই নতুন ছাঁট। স্পেন ও ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমগুলো রীতিমতো বিশ্লেষণে নেমেছে- কেন মেসি এমন হেয়ারকাট দিলেন?
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোর ধারণা, রোনালদো-নেইমারদের মতো বিজ্ঞাপনবাজার মাতাতেই মেসি তার চেহারায় কিছুটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন। তবে ব্যাপার যাই হোক মেসি কিন্তু এই হেয়ারকাট নিয়ে বেশ হাসিখুশি মেজাজেই রয়েছেন।

Developed by: