পৌরশহরের ব্যবসায়ী হিসেবে এ মুখগুলো সকলেরই খুব পরিচিত। কাস্টমারদের পাশাপাশি অন্য ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সুখে-দুঃখে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর চিত্র সচরাচর লক্ষ করা যেত। সোমবার ভোররাতে নারায়নগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জনের ৬ জন স্পটেই নিহত হন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দুজন। বেঁচে থাকলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত কয়েকদিন থেকে বাঙ্গালদেশে মিয়ানমারের কয়েকলাখ রোহিঙ্গা মুসলমান আশ্রয় নিয়েছেন। সমগ্র দেশ থেকে মানবতার ডাকে সারা দিয়ে মানুষ রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে।। শীতের তীব্রতা অনুধাবন করে উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কম্বল বিতরণ করতে গিয়েছিলেন এ তরুনরা। কম্বল বিতরন শেষে বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা।
এদিকে, ৬ তরুনের মৃত্যুর খবর জানার পর থেকে বিয়ানীবাজারজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। স্মৃতিকাতর অনেক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করছেন অনেকেই। যে ছবিগুলো এখন শুধুই ছবি! যে ছবিগুলো এখন শুধুই স্মৃতি
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্য করতে মানবতার ডাকে সাড়া দিতে বিয়ানীবাজার থেকে বস্ত্র সংগ্রহ করে কক্সবাজার গিয়েছিলেন বিয়ানীবাজারের ৮ তরুন। এদের বেশিরভাগই বিয়ানীবাজার পৌরশহরের তরুন ব্যবসায়ী।
রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায় কম্বল বিতরণ করে ৮ তরুন তাদের সাথে থাকা মাইক্রেবাস (ঢাকা মেট্টা চ ১৬-০২৫২) নিয়ে বিয়ানীবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সোমবার ভোর রাতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার কান্দাইল বাস স্ট্যান্ডের কাছাকাছি স্থানে অপরদিক থেকে একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় বিয়ানীবাজারের ৮ তরুনের ৬ জন স্পটেই নিহত হন। মারাত্মক আহত অবস্থায় অপর দুজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
নিহতরা হলেন- বিয়ানীবাজার পৌরশহরের জামান প্লাজার রূপসী ফ্যাশনের মালিক মাথিউরা গ্রামের আবদুল করিম, শখ কসমেটিকসের স্বত্তাধিকারী ছোটদেশের খায়রুল বাশার খান খয়ের, মতিন ক্লথ স্টোরের স্বত্তাধিকারী্র ভাগনে শ্রীধরা গ্রামের জুবের আহমদ, ডিস্ট্রিবিউটর কাকরদিয়ার ইকবাল হোসেন, কসবার বাবুল আহমদ ও মাইক্রোবাস চালক বাবুল হোসেন।
আহতরা হলে্ জামানপ্লাজার হাফিজ ক্লথ ষ্টোরের স্বত্তাধিকারী হাফিজ উদ্দিন এবং জারি ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী দেলওয়ার হোসেন।