বিভাগ: প্রবাস

ভূমধ্যসাগর থেকে আরও ১১৪ বাংলাদেশি উদ্ধার

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় আরও ১১৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিউনিশিয়ার জলসীমা থেকে ৮৩ জন এবং লিবিয়ার জলসীমা থেকে ৩১ জনকে উদ্ধার করা হয়। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। রোববার তিউনিশিয়ান নৌবাহিনীর সদস্যরা ১৭৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৮৩ জন বাংলাদেশি। এসময় নৌবাহিনী দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি উদ্ধারকারীরা। নৌবাহিনীর মুখপাত্র মোহামেদ যেকরি বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাটি ভেঙে গেলে সেটি ডুবে যেতে থাকে।

তেল অনুসন্ধানকারী রিগ থেকে সংকেত পেয়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করেন। একই দিন লিবিয়ার কোস্টগার্ড ভূমধ্যসাগরে অভিযান চালিয়ে ২৭১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করে। এর মধ্যে ৩১ জন বাংলাদেশি। উদ্ধারকৃতদের ত্রিপলির ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, গত শুক্রবার তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ভাসমান অবস্থায় ২৬৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশিসহ ২৬৭ জনকে উদ্ধার করে।

সুইজারল্যান্ডে এমপি হলেন প্রথম বাংলাদেশি নারী সুলতানা

সুইজারল্যান্ডে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন প্রবাসী বাংলাদেশি সুলতানা খান। জুরিখ জোন থেকে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ জুন) নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়।  সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিতদের মধ্যে সুলতানা খান তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। সুইজারল্যান্ডে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমপি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন সুলতানা। সুলতানা খানের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। তার বাবার নাম এসএম রুস্তম আলী, মাতা রাজিয়া সুলতানা। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। সুলতানার জন্ম ঢাকার মিরপুরে।

তিনি ঢাকা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সাল থেকে স্বামী প্রবাসী সাংবাদিক, সংগঠক এবং ব্যবসায়ী বাকি উল্লাহ খান এবং দুই ছেলেসহ সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে বসবাস করছেন তিনি। সুলতানা খান সুইজারল্যান্ডের মূল ধারার বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত। বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশকর্মী হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন। সুইজারল্যান্ডে এবং ইউরোপে বাংলাদেশের শিল্প ও সাহিত্য চর্চার জন্য ‘বাংলায় স্কুলের’ তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পরিচালনা পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করছেন সুলতানা।

সুলতানা বলেন, আমি প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই এখানে বসবাসকারী সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের, যারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। এছাড়া সুইজারল্যান্ডের জনগণ যারা আমাকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য ভোট দিয়েছেন। আমার এই অর্জন তাদের সকলের জন্য। সংসদের বিশেষ অধিবেশনে নারী সাংসদ হিসেবে নারী অধিকার রক্ষায় তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। সুলতানা বলেন, নারী অধিকারের বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করা। আমি সুইজারল্যান্ডে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার ও স্মৃতি স্থাপনা স্থাপনের প্রস্তাব রাখব, যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এখানে এলে বাংলাদেশের গৌরবের ইতিহাস জানতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া নারীদের ভাগ্য উন্নয়নেও কাজ করতে চাই। দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। তারা পিছিয়ে থাকলে দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সুলতানা খানের এই অর্জনে সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিসহ স্থানীয় নাগরিকগণ অভিবাদন জানিয়েছেন। এছাড়া ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শুভানুধ্যায়ী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা শুভকামনা জানিয়েছেন ।

বিশ্বনাথ আমার অহংকার :: আফিয়া বেগম শিরি ::

সিলেট শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে বিশ্বনাথ উপজেলার অবস্হান। ৮টি ইউনিয়নের সমন্নয়ে গঠিত এ জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ব্যাপক পরিচিতি আছে। ইউনিয়ন সমূহের নাম হচ্ছে – রামপাশা ইউনিয়ন, লামাকাজী ইউনিয়ন, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন, অলংকারী ইউনিয়ন, দেওকলস ইউনিয়ন, দৌলতপুর ইউনিয়ন, দশঘর ইউনিয়ন, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন।

জমিদার বিশ্বনাথ চৌধুরীর ভূমির উপর প্রথমে বাজার স্হাপিত হওয়ায় বাজারের নামকরন করা হয় বিশ্বনাথ বাজার। সেই বাজারে একটি পুলিশ ফাঁড়ি হয় এবং সেই পুলিশ ফাঁড়ি সিলেটের অন্যান্য পুলিশ ফাঁড়ির মতো বিশ্বনাথ পুলিশ ফাঁড়ি থানায় রুপান্তিত হয়, তাই বিশ্বনাথ চৌধুরীর নামানুসারে থানারও নামকরন হয় বিশ্বনাথ থানা। বিশ্বনাথ বাজার এখন একটি সমৃদ্ধশীল বাজারে পরিনত হয়েছে। সড়কপথের ব্যাপক সুযোগ সুবিধা থাকায় বিশ্বনাথ যাতায়াতের ব্যবস্হা অনেকটা সহজতর হয়েছে।

বিভিন্ন গ্রন্হ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তৎকালীন সময়ে এ উপজেলায় হিন্দু, মুসলমান জমিদার দের বসতি ছিলো। পর্যায়ক্রমে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লোকজন প্রবাসে পাড়ি জমায় এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে উপজেলাকে সমৃদ্ধশালী করে তোলে। বর্তমানে বিশ্বনাথ থানা সিলেট জেলার এক অন্যতম উপজেলা হিসেবে প্রসিদ্ধ। বিশ্বনাথ উপজেলা সবার কাছে প্রবাসী অধ্যুষিত থানা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। দার্শনিক স্হান সমুহের মধ্যে রামপাশার বিখ্যাত দেওয়ান হাছন রাজার জমিদার বাড়ি, ৩৬০ আউলিয়ার সফর সঙ্গী হযরত শাহ কালু ও হযরত শাহ চান্দ-র মাজার, গৌরগবিন্দ দীঘি, উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার।

আলোকিত ব্যক্তিত্ব :— এডভোকেট নুরুল ইসলাম খান এমপি, আ ন ম সফিকুল হক রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী পরিষদের অতিরিক্ত সচিব মইন উদ্দিন, ইলিয়াছ আলী এমপি, শফিকুর রহমান চৌধরী এমপি, ইয়াহিয়া চৌধরী এমপি, রোশনারা আলী বাংলাদেশী বংশোদভূত বৃটিশ রাজনীতিবিদ, দেওয়ান হাছন রাজা চৌধুরী- মরমী কবি ও সঙ্গীত শিল্পী, দেওয়ান একলিমুর রাজা চৌধুরী -রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যি, দেওয়ান তৈমুর রাজা চৌধুরী -রাজনীতিবিদ ও মরমী গীতিকার, রাগিব আলী-সমাজ সেবক ও শিল্পপতি, ডক্টর শাহদীন মালিক -আইনজীবি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ, ডক্টর তুহিন মালিক -আইনজীবি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ। এ ছাড়া দেশে বিদেশে আরো অনেক গুনীজন আছেন যারা বিভিন্ন সেক্টরে সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন।

প্রবাসে বিশ্বনাথ সংগঠনগুলো নিজের থানা উন্নয়নে নিরলস কাজ অব্যাহত রাখছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপজেলাটি যেমনই অনেক এগিয়ে আছে তেমনই চিকিৎসা সেবার ভূমিকা অপরিসীম।
এ উপজেলায় মোট ৪৩৬ টি গ্রাম আছে। তন্মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকার নাম সিঙ্গের কাছ। পাশ্ববর্তী অনেক গুলো গ্রাম যেমন শেখের গাউ,মাঝ গাউ,পশ্চিম গাউ, খান পাড়া,করপাড়া,কাজির গাউ গোয়াহরি ভাটিপাড়া খাগহাটা,বুরাইয়া,সিংরাওলী,নোয়াগাউ,সাতপাড়া,পলির গাউর প্রানকেন্দ্র হিসেবে সিংগের কাছ অতি সুপরিচিত। এলাকাটিকে একই বাক্যে সবাই চেনে। এখানে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মসজিদ চিকিৎসা কেন্দ্র সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্নয়ে সমৃদ্ধশীল একটি এলাকা বলে খ্যাত।

সিংগের কাছের নামানুসারে বাজারের নামকরন হয়েছে সিংগের কাছ বাজার। অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ জ্ঞানী গুনী জনের জন্ম স্হান সিংগের কাছ প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা বলে প্রসিদ্ধ। এই এলাকার অনেক লোক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। প্রবাসীদের অর্থায়নে গড়ে ওঠেছে বিলাসবহুল অট্টালিকা। ব্যবসা বানিজ্য আয় রোজগারের দিক দিয়ে এলাকাটি পিছিয়ে নেই। স্হানীয় ব্যবসায়ীদের নিষ্টা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে সিংগের কাছ বাজার বর্তমানে এলাকার উন্নতম বাজার হিসেবে গন্য করা হয়। বাজার সংলগ্ন মাকুন্দা নদীর ব্রিজ বাজারের অন্যতম আকর্ষন যা বাজারের পশ্চিম, উত্তর দক্ষিণ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চালের যাতায়াতের আমুল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। চলাচল ব্যবস্হা যেমনি উন্নতি হয়েছে তেমনি নদীর দু’পাড় ঘেষে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এলাকার মানুষের আর্থিক অবস্হা সচ্ছল হওয়ায় চাহিদাও বেড়ে গেছে। কল কারখানা, শপিং কমপ্লেক্স বিশাল আকারে দোকান-পাট ও চিকিৎসা ব্যবস্হা সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান গড়ে উঠায় সর্বসাধারণ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।অত্যাধুনিক জিনিস পত্র কেনাকাটার জন্য এখন আর শহরে যেতে হয় না। সিংগের কাছ বাজার এবং এলাকায় সরকারী বেসরকারী অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্হাপিত হওয়ায় শিক্ষার মান দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে।

কিছুদিন পূর্বে প্রবাসীদের উদ্যোগে এলাকায় নতুন একটি হেলথ সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। যার নামকরন হয়েছে সিংগের কাছ “হেলথ সেন্টার”। মনোরম পরিবেশে আধুনিক প্রযুক্তির সব ব্যবস্হা সমপন্ন সেন্টার টি ইতিমধ্যে সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এখানে বিনা মুল্যে গরীব দুস্হদের চিকিৎসার ব্যবস্হা করা হবে। রাস্তাঘাট যাতায়াত ব্যবস্হা অতীতের তুলনায় অনেক উন্নীত করা হয়েছে। সিংগের কাছ থেকে সিলেট যাতায়াত ব্যবস্হা বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক সহজতর হয়েছে।

সিংগের কাছের অন্তরভুক্ত মাকুন্দা নদীর উত্তর পারের অদুরে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ বিজড়িত গ্রামের নাম হচ্ছে সিংরাওলী। আমার জন্মস্হান। যার সাথে আমার নাড়ীর সম্পর্ক। যেখানে আমার শৈশব কৈশোরের রঙ্গিন কিছু সময় কেটেছে। যে গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আরেক কৃতিমান পুরুষ ছিলেন আমার বাবা মরহুম আলহাজ্ব মৌলভী সিকন্দর আলী। যার অবদান এই ক্ষুদ্র পরিসরে লিখে শেষ করতে পারবো না। যিনি একাধারে একজন প্রখ্যাত আলেম, সিংরাওলী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষানুরাগী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক সর্বজন পরিচিত এক উজ্জ্বল ব্যাক্তিত্বের অধিকারী। বিশ্বনাথ উপজেলার সিংগের কাছ এর সিংরাওলী গ্রামের মৌলভী সাব নামে এক বাক্যে দেশে বিদেশে সবার পরিচিত।

সিংরাওলী গ্রামের মাটির গন্ধ প্রতিনিয়ত আমাকে মোহিত করে। এই গ্রামের অলি গলি পথ দিয়ে কতো যে হেটেছি খেলেছি তা আজও স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে। প্রাইমারী স্কুল শেষ করে সিংগের কাছ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময়টা বেশ রোমাঞ্চকর। সেই থেকে সিংগের কাছ এর বাজার এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের সাথে আত্মার বন্ধন সব সময়ের। স্কুলের শিক্ষক ক্লাস মেট থেকে শুরু করে সবার সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। হাই স্কুলে অধ্যায়নরত অবস্হায় ৮ম শ্রেনীতে পড়াকালীন সময়ে প্রবাসী হয়ে যাওয়ায় পিছনে ফেলে আসতে হয় স্বর্ণালী দিনগুলো। আজ শুধু সেই সব স্মৃতিময় দিনগুলো পিছু টানে। মনের আঙিনায় বার বার দোলা দেয়। প্রবাসের রঙীন চাকচিক্যময় জীবনে সুখ সাচ্ছন্দে ভরপূর হলেও জন্মভূমি তথা শেকড়ের টান প্রতিনিয়ত অনুভব করি। কবির ভাষায় বলতে ইচ্ছে হয়,
“এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্ম ভূমি”

লেখক : কবি, ইংল্যান্ড প্রবাসী।

যুক্তরাজ্যের ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের বইমেলায় বাসিয়া প্রকাশনী স্টলে থাকছে রোমান্টিক কবি মোহাম্মদ ইকবালের ৫টি কাব্যগ্রন্থ

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য আয়োজিত বাংলাদেশী বইমেলা আজ দুপুর ১২ থেকে থেকে শুরু হচ্ছে পূর্ব লণ্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে। মেলা চলবে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। মেলায় বাসিয়া প্রকাশনী স্টলে প্রবাসী রোমান্টিক কবি মোহাম্মদ ইকবালের ৫টি কাব্যগ্রন্থ পাওয়া যাবে। কাব্যগ্রন্থগুলো হলো সংবিধিবন্ধ নসিহত, স্রষ্টার শৈল্পিক হাত, নিরংশু ক্ষপায়, জাফরানি মৌচাক, ইস্কাপনের বউ। বইগুলো আপনি সংগ্রহ করতে পারেন।

যুক্তরাজ্যের ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের বইমেলায় বাসিয়া প্রকাশনী স্টলে থাকছে কবি এম মোসাইদ খানের ৮টি গ্রন্থ

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য আয়োজিত বাংলাদেশী বইমেলা আজ দুপুর ১২ থেকে থেকে শুরু হচ্ছে পূর্ব লণ্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে। মেলা চলবে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। মেলায় বাসিয়া প্রকাশনী স্টলে প্রবাসী কবি এম মোসাইদ খানের ৮টি গ্রন্থ পাওয়া যাবে। গ্রন্থগুলো হলো রোদের জখম (কাব্যগ্রন্থ), ভুলের ঘণ্টা (ছড়া), তালপাতার ঘোড়া (ছড়া), মিনতি (গান), জলের পেরেক (কাব্য), আয়না বিভ্রম (কাব্য), পংক্তিস্বজন (কবিতা-সম্পাদিত), প্রবাসী কবিদের নির্বাচিত প্রেমের কবিতা (সম্পাদিত)। বইগুলো আপনি সংগ্রহ করতে পারেন।

যুক্তরাজ্যের ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের বইমেলায় বাসিয়া প্রকাশনী স্টলে থাকছে কবি আসমা মতিনের ৪টি কাব্যগ্রন্থ

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য আয়োজিত বাংলাদেশী বইমেলা আজ দুপুর ১২ থেকে থেকে শুরু হচ্ছে পূর্ব লণ্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে। মেলা চলবে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। মেলায় বাসিয়া প্রকাশনী স্টলে প্রবাসী কবি আসমা মতিনের ৪টি কাব্যগ্রন্থ পাওয়া যাবে। গ্রন্থগুলো হলো হরিৎ প্রান্তরের মেয়ে, মনোরতœ, হরতানি ঘাট, আমরাবতী। বইগুলো আপনি সংগ্রহ করতে পারেন।

যুক্তরাজ্যের ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের বইমেলায় বাসিয়া প্রকাশনী স্টলে থাকছে কবি এ কে এম আবদুল­াহর ২টি কাব্যগ্রন্থ

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য আয়োজিত বাংলাদেশী বইমেলা আজ দুপুর ১২ থেকে থেকে শুরু হচ্ছে পূর্ব লণ্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে। মেলা চলবে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। মেলায় বাসিয়া প্রকাশনী স্টলে প্রবাসী কবি এ কে এম আব্দুল­াহর ২টি কাব্যগ্রন্থ পাওয়া যাবে। গ্রন্থগুলো হলো যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি, মাটি মাচায় দণ্ডিত প্রজাপতি। বইগুলো আপনি সংগ্রহ করতে পারেন।

যুক্তরাজ্যের ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের বইমেলায় বাসিয়া প্রকাশনী স্টলে থাকছে তরুণ ছড়াকার জুসেফ খানের ৪টি ছড়াগ্রন্থ

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য আয়োজিত বাংলাদেশী বইমেলা আজ দুপুর ১২ থেকে থেকে শুরু হচ্ছে পূর্ব লণ্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে। মেলা চলবে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। মেলায় বাসিয়া প্রকাশনী স্টলে প্রবাসী তরুণ ছড়াকার জুসেফ খানের ৪টি ছড়াগ্রন্থ পাওয়া যাবে। গ্রন্থগুলো হলো রকমারি, ছাইপাঁশ, খড়কুটো, সোৎপ্রাস। বইগুলো আপনি সংগ্রহ করতে পারেন।

প্রস্তুতি সম্পন্ন, আগামীকাল লন্ডনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা

পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আট সেন্টারে এখন চলছে হাতুড়ি-পেরেকের ঠোকাঠুকি, নির্মাণ এবং সাজগোজ। এই কর্মযজ্ঞের উপলক্ষ একটিই – বইয়ের মেলা। আগামীকাল রবিবার শুরু হবে ব্রিটেন প্রবাসী বাঙালির প্রাণের এ মেলা; বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৯।

আগামীকাল (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটায় মেলা উদ্বোধন করবেন আমাদের সংগঠনের (সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য) প্রধান উপদেষ্টা মহান একুশের অমর গানের রচয়িতা বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষকে সম্মান জানিয়ে এবারের বইমেলা, সাহিত্য সাংস্কৃতিক উৎসবটি আমরা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ বারের মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি। থাকছেন তিন সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন- যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম, টাওয়ার হ্যামলেট্স কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র জন বিগস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাবিভাগের চেয়ারম্যান ভীষ্মদেব চৌধুরী, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ড. শাহাদুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সম্পাদক নঈম নিজাম এবং লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী সহ দেশ বিদেশের বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক এবং কমিউনিটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতি, ঢাকা; বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন এবং বিলেতের সকললেখক-পাঠক- সাংবাদিক- কবি- সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মী এবং কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের মানুষের সহযোগিতায় আয়োজিত মেলায় এ বছর অংশগ্রহণ করছে-বাংলা একাডেমি, আগামী প্রকাশনী, অন্যপ্রকাশ, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ, আহমেদ পাবলিশিং হাউস, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স, অনিন্দ্য প্রকাশ, উৎস প্রকাশন, অনার্য পাবলিকেশন্স, সিলেট কালচারাল অ্যান্ড হেরিটেজ একাডেমি, পারিজাত প্রকাশনী, পুঁথিনিলয়, নালন্দা, শব্দশৈলী, বাসিয়া প্রকাশনী এবং পাণ্ডুলিপি প্রকাশনসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি প্রকাশনা সংস্থা। এছাড়াও রয়েছে বিলাতের বঙ্গবন্ধু বইমেলা, প্রবাস প্রকাশনী, সিলেট কালচারাল এন্ড হেরিটেজ একাডেমি, মেট্রোমেঘ, কবিতাস্বজন, স্পন্দনসহ বেশকিছু স্টল। থাকবে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’।

এবছর মেলাকে কেন্দ্র করে প্রবাসী অনেক লেখকের বই প্রকাশিত হয়েছে। আমার নিজেরও একটি বই (সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান ও সৌধ) বেরিয়েছে ৯ম বাংলাদেশ বইমেলাকে উপলক্ষ করে।

দু’দিন ব্যাপী এই মেলা ও উৎসব চলবে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। পাশাপাশি স্টুডিও থিয়েটারে প্রথমদিন থাকবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনাসভা, পদকপ্রদান, স্বরচিত কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সব শেষে বিলেতের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সঙ্গীতা। বিষয়: ‘বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে সরকারের পরিকল্পনা’। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. শেখ মুসলিমা মুন, ডেপুটি সেক্রেটারি, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।দ্বিতীয় সেমিনার শুরু হবে বিকেল ২:৩০। বিষয়: ‘অনাবাসী সাহিত্য’। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিলেতবাসী কবি হামিদ মোহাম্মদ। তৃতীয় সেমিনার শুরু হবে বিকাল ৩.৩০। বিষয়: লেখক ও প্রকাশক সম্পর্ক।

দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় পর্বে আরও রয়েছে লেখক, কবি ও শিল্পীদের নিয়ে কবিতাপাঠ, গল্পবলা এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান।

গতবারের মত এবছরও একটি দুষ্টচক্র মেলা বানচালের অপচেষ্টা করেছে। নানা অপপ্রচার চালিয়েছে। গতবারও এই চক্র ব্যর্থ হয়েছে। এবারও তারা ব্যর্থ হচ্ছে। সচেতন সাংবাদিকমহল এবং সমাজের সচেতন মানুষেরা আমাদের সঙ্গে আছেন, সকলের সহযোগিতায় মেলা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রিয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, লেখক ও সাংবাদিক এবং বন্ধু মহলে, বহু সংস্কৃতির লালনভূমি যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে আমাদের এই বইমেলা ও উৎসবের মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা ও লালনের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ-প্রজন্মকে শিকড়ের সন্ধান দেয়ার পাশাপাশি বিশ্ববাঙালির মেলবন্ধন রচনা করা। আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য কাজ করা। অতীতের মতো আপনাদের কাছে সকল প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি।

৯ম বাংলাদেশ বইমেলা ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক উৎসব সফল করার জন্য আমাদের সংগঠনের সভাপতি লেখক ও গবেষক ফারুক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক কবি ইকবাল হোসেন বুলবুল এবং বইমেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুকিদ চৌধুরী সহ সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দরা যার যার অবস্থান থেকে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ গত ৮ বারের মত এবছরও আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারব।

প্রিয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, লেখক- সাংবাদিক এবং বন্ধু মহল, আগামীকাল বইমেলায় আপনাদের সবাইকে আমার অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। দেখা হবে, কথা হবে ব্রাডি আর্টস অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারের মেলা প্রাঙ্গণে।

প্রবাসীদের নিয়ে বাসিয়ার প্রাণবন্ত আড্ডা প্রবল দেশপ্রেমের জন্য প্রবাসীরা দেশের মাটি মানুষ, সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে চিন্তা করেন

প্রবল দেশপ্রেমের জন্য প্রবাসীরা দেশের মাটি মানুষ, সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে চিন্তা করেন। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম আছে বলেই সীমাহীন ব্যস্ততার মাঝেও তারা জন্মভূমি নিয়ে ভাবতে পারেন। দেশের উন্নয়নে অভূত পূর্ব অবদান রাখতে পারেন। তাদের এই অবদান অস্বীরকার করা যাবে না। কারণ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশের জন্য প্রাণখুলে কাজ করেন বলেই দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রবাসীরা যাতে দেশে আসলে সাচ্ছন্দে চলতে পারেন, তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকে এ ব্যাপারে আমাদের হাতকে প্রসারীত করতে হবে।
আজ ২১ আগস্ট বুধবার বিকালে বাসিয়া প্রকাশনী কার্যালয়ে মাসিক বাসিয়া ও বাসিয়া টোয়ান্টিফোর ডট কমের উদ্যোগে আয়োজিত প্রবাসীদের নিয়ে সাহিত্য আড্ডা আড্ডাবাজরা একথাগুলো বলেন।
আড্ডার শুরুতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত, ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মাসিক বাসিয়া ও বাসিয়া টোয়ান্টিফোর ডট কমের সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ নওয়াব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আড্ডায় অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের তিন লেখক ও একজন জনপ্রতিনিধি। তারা হলেন কবি ও লিটল ম্যাগ সম্পাদক ওয়ালি মাহমুদ, নওরোচের তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ফলিক চৌধুরী ছালিক, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আনোয়ার শাহজাহান, কবি ও সংগঠক এম মোসাইদ খান।
আড্ডায় অংশ নেন কবি ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান সাঈদ, কবি লায়েক আহমেদ নোমান, কবি আবিদ ফায়সাল, কবি ও লিটল ম্যাগ সম্পাদক খালেদ উদ-দীন, শেখ মো. কাওছার আহমদ, মুকিত খান, মাহবুবুর রহমান, মারুফ আহমদ ও সাইফুর রহমান ইমরান প্রমুখ।
আড্ডা শেষে সকলকে বাসিয়া প্রকাশনীর বই উপহার প্রদান করা হয়।

Developed by: