বরষার ফুল
তোর এলো চুল
বারবার অধমের
হৃদয়ে আকুল!
ভাবি যদি ভুল
তুই তুলতুল
আবেগের হিসাবেই
টেনে দিবি মূল।
বরষার ফুল
তোর কানে দুল
নেচে যায় বাতাসেই
কূল বা অকূল!
বরষার ফুল
অভিজাত কুল
ভালোবেসে যায় শুধু
প্রেমিক বাবুল।
প্রথমে সে একাই ছিল,
একে একে আরও কজন গেল
কিনে নিলো মুক্তি কবজ,
কষ্ট করতে হলো না তাদের,
উপরতলার লোক হয়ে
যাওয়া তো খুবই সহজ।
তখনও তারা মাত্র কজন
তখনও তারা নিন্দনীয়,অস্পৃশ্য
আমাদের বিচারের কাঠগড়ায়
অপরাধী তারা, মানুষ ঠকায়।
ক্রমে বড় হতে থাকল তাদের দল
ভারী হলো পাল্লা তাদের,
সততার বাণীর আবেদন হলো নিস্ফল।
একে একে সকলেই কিনে নিলো
মুক্তি কবজ।
এভাবে উপরে উঠাতো খুবই সহজ।
যারা ছিল বাকি, তারা বলে
আমরাই বা কেন থাকি?
সবাই গেল চলে।
আমিই রইলাম পড়ে
দিন বদলের আশা করে।
সবাই দিল ফাঁকি,
আমিই রইলাম বাকি।
রইলাম আমি একা, ওরা
হাসে আমায় নিয়ে বলে
ওরে বোকা।
পড়িতে চাই, পড়াতে চাই-
ইহার চেয়ে সুখ কোথাও নাই।
পড়িতে পড়াইতে মরিলেও সুখ
ইহার তুলনা কোথাও নাই।
জ্ঞান হলো দীপ্ত আলো
শিক্ষায় তা জাগিয়ে তোল।
দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত
পড়ালেখা করো না ক্ষান্ত।
আজ যারা চোর লুটতরাজ
নিশ্চয় ছিল চরম ফাঁকিবাজ।
বালিশ কাÐ ঘটিয়ে তারা
জাতির করেছে সর্বনাশ।
পড় পড় ভালো করে-
আত্মশুদ্ধি চিরতরে,
মানবতার বিকাশ করে
ধন্য করো আপনারে।
বাংলাদেশে জন্ম তাই আমিও গর্বিতবোধ করি
সুজলা-সুফলা এই সবুজ-শ্যামল পুণ্যভ‚মি
নদী-নালা, খাল-বিল আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ধরি
বাঙালির আশীর্বাদ বঙ্গবন্ধু এসেছিলে তুমি।
তুমি এসেছিলে বলে আমরা স্বাধীন জাতি আজ
মুক্তির মিছিলে যাও জীবনের ঝুঁকি হাতে নিয়ে
স্বাধীনতা প্রিয় শব্দ স্বজাতির হাতে তুলে দিয়ে
অগণিত বাঙালির প্রাণের স্পন্দন বঙ্গরাজ।
বঙ্গবন্ধু শব্দ থেকে অবশেষে জাতির জনক
তোমাকে স্বজনভাবে মেঘনা পদ্মার নীল ঢেউ
আকাশের তারা সাক্ষী সমকক্ষ নয় অন্য কেউ
তুমি ছাড়া কে নড়ায় সেই ইয়াহিয়ার টনক।
পরিশেষে নতশিরে হানাদার প্রাণ ভিক্ষা চায়
জনকের দুঃসাহসে সন্তানেরা স্বাধীনতা পায়।
প্রিয় আত্মজেরা বুকের ওমে যখন জড়িয়ে থাকে,
তইরান আবাবিল পাখি ডানা ঝাপটায় গাজার দুঃস্বপ্নের অন্তরীক্ষে
আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দিয়ে
বিশ্বাসঘাতকতার দাবানলে পুড়ছে ফিলিস্তিন।
মনুষ্যত্ববিহীন ইসরায়েলের পৈশাচিকতায় রচিত আজ বর্বর উপাখ্যান;
বেয়নেট বুলেট গ্যাসে আল-আকসার মিম্বরে বিবর্ণ পূর্ণিমা,
বিরুদ্ধ সময়ের অপেক্ষা ইমাম মাহদীর আগমনি;
আমাকে বিদীর্ণ করে সত্তর হাজার দাজ্জালের এক চক্ষুরোষ,
প্রতিবাদহীন মেনে নেয়া সেলাইবিহীন চাদরের মুখোশ।
রক্তডুমুরের ডালে ঝরছে নিষ্পাপ আত্মার ক্রন্দনের উৎসব,
ইমাম মাহদীর অপেক্ষমান ছায়ার মুখাবয়বে অসহায়ত্বের ছাপ!
কফিনবন্দি লাশে জলের ঘূর্ণায়মান নাজাতের আহাজারি,
প্রার্থনার হাতগুলো ঊর্ধ্বাকাশে
দ্যাখো আত্মাহীন শরীর গলে
পাথরের গভীরে লেপ্টে থাকা নিনাদে।
নিখোঁজ মানবতার বিজ্ঞাপনে
অসুরের মন কাঁদে না কভু বিষাদে।
স্বরধ্বনির ভেতর শব্দের ব্যুৎপত্তি ধর্ম না খোঁজা রক্তাক্ত মুখে,
একদিন নতুন সূর্যোদয়ের প্রাতে জাগবে আলো প্যালেস্টাইনের বুকে।
বাহিরের আবরণে কারুকাজ মাখা
আচরণে চাই তার ভালো ভাব রাখা?
ব্যবহারে বংশের পরিচয় এলে-
ভালোটাই যেন-এর প্রতিপদে মেলে?
তেলে-বেগুনেই যদি জ্বলে ওঠে কেউ
থাকে না তো সেখানেই নমনীয় ঢেউ?
আছড়িয়ে পড়ে দেখি কারও আচরণে
ফুটে ওঠে চেহারায় যা ছিল তা মনে?
মনে পুষে থাকা ক্ষোভ মুছে ফেলে তাই-
মিলেমিশে থাকতেই সমঝোতা চাই?
করোনায় এমনিতে দূরে দূরে সব
হারিয়েই গেছে যেন খুশি কলোরব?
কে যে বাঁচি কতদিন? জানা নেই জানি,
তবু কেনো বিভেদের দেয়ালটা টানি?
করোনার কাছে তবে শিক্ষাটা নিতে-
বিবেকের কাছে চাই তাই বলে দিতে?
সকালবেলা ঘুমটা ভাঙে দোয়েল পাখির শিষে,
বাতাসেতে দোয়েলের শিষ থাকে যেন মিশে।
এই কারণে ভোরের হাওয়ায় মনটা যায় তো ভিজে,
ভোরের হাওয়ায় মন ভেজাতে ভালো লাগে কী যে!
রোজ সকালে দোয়েল পাখি ডুমুরগাছের ডালে,
শিষ দেয় পাখি, হেলেদুলে নাচে ছন্দতালে।
মিষ্টি-মধুর সুর শুনিতে ভালো লাগে আহা!
পাখির প্রতি আকাশ সমান আমার বুকের মায়া।
নিজকে ভাবি স্বার্থক জন্মে দোয়েলেরই দেশে,
সাদা-কালো দোয়েল পাখি যাবো ভালোবেসে।
মন খারাপের দিনে আমার
মন খারাপের দিনে,
মন কিছুতেই হয় না ভালো
বন্ধু তুমি বিনে ।।
কারণ ছাড়া বুকের ভিতর
কেমন কেমন লাগে
পাখি হয়ে উড়াল দিতে
বড় ইচ্ছে জাগে।
তখন ঋণী হতে চাই গো আমি
ঋণী হতে চাই গো তোমার ভালোবাসার ঋণে।
আমার মন খারাপের দিনে ।।
মধ্যিরাতে চোখের পাতা
ঘুম হারিয়ে গেলে
মনপবনের নাও ভাসাতাম
কেউ বা কাছে এলে
তখন ইচ্ছে করে একমুঠো সুখ
ইচ্ছে করে একমুঠো সুখ তোমায় দেবো কিনে।
আমার মন খারাপের দিনে ।।
বৃষ্টি ঝরে বৃষ্টি ঝরে
হাওয়ার তালে তালে
বৃষ্টি ঝরে যখন তখন
মাঝির নাওয়ের পালে।
বৃষ্টি ঝরে সকাল-বিকাল
ফসল ভরা মাঠে
বৃষ্টি ঝরে রাত-দুপুরে
নবাবপুরের হাটে।
বৃষ্টি ঝরে ঝনঝনাঝন
লাল-সবুজের দেশে
বৃষ্টি এলেই দৃষ্টি তো দেই
বৃষ্টি ভালোবেসে।