আমি কেবলই তোমার দোষ খুঁজি
খুঁজি না শুধু আমার,
আমি কেবলই রানির দোষ খুঁজি
খুঁজি না শুধু রাজার।
প্রিয় আত্মজেরা বুকের ওমে যখন জড়িয়ে থাকে,
তইরান আবাবিল পাখি ডানা ঝাপটায় গাজার দুঃস্বপ্নের অন্তরীক্ষে
আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দিয়ে
বিশ্বাসঘাতকতার দাবানলে পুড়ছে ফিলিস্তিন।
মনুষ্যত্ববিহীন ইসরায়েলের পৈশাচিকতায় রচিত আজ বর্বর উপাখ্যান;
বেয়নেট বুলেট গ্যাসে আল-আকসার মিম্বরে বিবর্ণ পূর্ণিমা,
বিরুদ্ধ সময়ের অপেক্ষা ইমাম মাহদীর আগমনি;
আমাকে বিদীর্ণ করে সত্তর হাজার দাজ্জালের এক চক্ষুরোষ,
প্রতিবাদহীন মেনে নেয়া সেলাইবিহীন চাদরের মুখোশ।
রক্তডুমুরের ডালে ঝরছে নিষ্পাপ আত্মার ক্রন্দনের উৎসব,
ইমাম মাহদীর অপেক্ষমান ছায়ার মুখাবয়বে অসহায়ত্বের ছাপ!
কফিনবন্দি লাশে জলের ঘূর্ণায়মান নাজাতের আহাজারি,
প্রার্থনার হাতগুলো ঊর্ধ্বাকাশে
দ্যাখো আত্মাহীন শরীর গলে
পাথরের গভীরে লেপ্টে থাকা নিনাদে।
নিখোঁজ মানবতার বিজ্ঞাপনে
অসুরের মন কাঁদে না কভু বিষাদে।
স্বরধ্বনির ভেতর শব্দের ব্যুৎপত্তি ধর্ম না খোঁজা রক্তাক্ত মুখে,
একদিন নতুন সূর্যোদয়ের প্রাতে জাগবে আলো প্যালেস্টাইনের বুকে।
বাহিরের আবরণে কারুকাজ মাখা
আচরণে চাই তার ভালো ভাব রাখা?
ব্যবহারে বংশের পরিচয় এলে-
ভালোটাই যেন-এর প্রতিপদে মেলে?
তেলে-বেগুনেই যদি জ্বলে ওঠে কেউ
থাকে না তো সেখানেই নমনীয় ঢেউ?
আছড়িয়ে পড়ে দেখি কারও আচরণে
ফুটে ওঠে চেহারায় যা ছিল তা মনে?
মনে পুষে থাকা ক্ষোভ মুছে ফেলে তাই-
মিলেমিশে থাকতেই সমঝোতা চাই?
করোনায় এমনিতে দূরে দূরে সব
হারিয়েই গেছে যেন খুশি কলোরব?
কে যে বাঁচি কতদিন? জানা নেই জানি,
তবু কেনো বিভেদের দেয়ালটা টানি?
করোনার কাছে তবে শিক্ষাটা নিতে-
বিবেকের কাছে চাই তাই বলে দিতে?
সকালবেলা ঘুমটা ভাঙে দোয়েল পাখির শিষে,
বাতাসেতে দোয়েলের শিষ থাকে যেন মিশে।
এই কারণে ভোরের হাওয়ায় মনটা যায় তো ভিজে,
ভোরের হাওয়ায় মন ভেজাতে ভালো লাগে কী যে!
রোজ সকালে দোয়েল পাখি ডুমুরগাছের ডালে,
শিষ দেয় পাখি, হেলেদুলে নাচে ছন্দতালে।
মিষ্টি-মধুর সুর শুনিতে ভালো লাগে আহা!
পাখির প্রতি আকাশ সমান আমার বুকের মায়া।
নিজকে ভাবি স্বার্থক জন্মে দোয়েলেরই দেশে,
সাদা-কালো দোয়েল পাখি যাবো ভালোবেসে।
মন খারাপের দিনে আমার
মন খারাপের দিনে,
মন কিছুতেই হয় না ভালো
বন্ধু তুমি বিনে ।।
কারণ ছাড়া বুকের ভিতর
কেমন কেমন লাগে
পাখি হয়ে উড়াল দিতে
বড় ইচ্ছে জাগে।
তখন ঋণী হতে চাই গো আমি
ঋণী হতে চাই গো তোমার ভালোবাসার ঋণে।
আমার মন খারাপের দিনে ।।
মধ্যিরাতে চোখের পাতা
ঘুম হারিয়ে গেলে
মনপবনের নাও ভাসাতাম
কেউ বা কাছে এলে
তখন ইচ্ছে করে একমুঠো সুখ
ইচ্ছে করে একমুঠো সুখ তোমায় দেবো কিনে।
আমার মন খারাপের দিনে ।।
বৃষ্টি ঝরে বৃষ্টি ঝরে
হাওয়ার তালে তালে
বৃষ্টি ঝরে যখন তখন
মাঝির নাওয়ের পালে।
বৃষ্টি ঝরে সকাল-বিকাল
ফসল ভরা মাঠে
বৃষ্টি ঝরে রাত-দুপুরে
নবাবপুরের হাটে।
বৃষ্টি ঝরে ঝনঝনাঝন
লাল-সবুজের দেশে
বৃষ্টি এলেই দৃষ্টি তো দেই
বৃষ্টি ভালোবেসে।
হে সময় আপন মানুষ নিও না দূরে,
মায়াজাল ফেলে যাও এপারে
অন্ধকারকে ছিঁড়ে ফেলে দাও
টুকরো টুকরো করে কালের ওপারে
ছুঁড়ে ফেলে দাও,
হাত-পা ভেঙে যাক অন্ধকারের।
বিষণœতা ঠেলে আলো আসুক
হৃদয় দেখুক হৃদয়কে,
যত ভুল মিশে যাক মাটির সাথে।
চোখ চোখকে দেখুক
সুপ্তপল্লব কত ভালোবাসা করেছে জমা,
বাসনার পসরা সাজানো অভীকপথ
এপথ ধরে আপন হেঁটে যাক
হেঁটে যাক সুখ।
কুয়াশা আঁধারে ঢেকেছে নীলিমা
মনে বিষণœ ছায়া,
দুঃশ্চিন্তায় অন্ধকার মন
পাবে না মায়ের মায়া।
শূন্যতা আজ ভর করে বুকে
অব্যক্ত আর্তনাদ মোর,
মমতাময়ী জননী আর
আসবে না নিজ ঘর।
দেহান্তরে চলে গেল মা
দুনিয়ার মায়া ছাড়ি,
সোহাগী মায়ের সুন্দর বুলি
শুনব না আর বাড়ি।
তুমি যদি রাজহংসী হও
আমি হব গাংচিল
আমার ডানার রক্ত
ঝরে পড়বে পৃথিবীর মানচিত্রে।
ফোটা ফোটা বৃষ্টিতে ফোটা ফোটা বৃষ্টিতে
রক্তবিন্দুগুলো পড়ে
বাংলার সমস্ত শ্যামলিমা করে দিবে লাল
বেদনার কবিতা হবে
ধানক্ষেত মাঠ।
তোমাকে পাবার কোনো আশা নেই
দেখাও হয় না কালে ভদ্রে
তব্ওু কাতর এ হৃদয়
তোমার স্পর্শের বৃষ্টি।
সুখের নদীর উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখি
খেয়া পারাপার বন্ধ।
সমুদ্রতটে বসে তখন
বিছাই শীতল পাটি।
তোমার ছবি মনে ভেসে
রৌদ্রছায়ায় হাটি।
তবুও- তোমার ঘাড়ে চিবুক রেখে
সূর্যাস্ত দেখি।
বিকেলের লাল আভায়
আবীর রাঙাই তোমার মুখে।
বুকের কাছে নেই তুমি
তবুও গড়ি তোমার বুকে
শান্তির বসতবাটি।