ভেঙে পড়া বিমান থেকে বেঁচে ফিরলেন তরুণী

28-05বিস্তৃত ধ্বংসস্তূপ। এরই ভেতরে চাপা পড়ে ৪৮টি দেহ। হঠাৎই যেন নড়ে উঠল ধ্বংসাবশেষ। ভাঙাচোরা টুকরো সরিয়ে প্রথমে বেরোল হাত, তারপর মাথা আর সব শেষে বাকি দেহাংশ। ইঞ্চি ইঞ্চি করে হামাগুড়ি দিয়ে বের হয়ে এলেন ৩৪ বছরের তরুণী হুং ইয়ু-তিং। তাইওয়ানের সাম্প্র্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় যে ১০ জন যাত্রী বেঁচে ফিরেছেন, তাঁদেরই একজন হুং। তাঁর কাহিনী শুনে শিউরে উঠছে অনেকেই।

হুংয়ের বাবা বলেন, ‘ভেঙে পড়ার সময় একটা বড়সড় গর্ত তৈরি হয়েছিল বিমানের দেহে। এরই ফাঁক গলে বেরিয়ে আসতে পেরেছিল হুং। তবে এতটাই আহত ছিল হুং যে সোজা দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না তার। সে অবস্থায় ধ্বংসাবশেষের বড় বড় টুকরা সরিয়ে বেরোনো সহজ ছিল না। তাই হামাগুড়ি দিয়েই বেরিয়ে আসতে হয়েছিল হুংকে।’

ধ্বংসাবশেষ থেকে বের হয়েই মেয়ে প্রথমেই ফোন করেন বাবা হুং চাং-মিংকে। বাবার কথায়, ‘আমায় ও ফোন করে বলল, বিমান ভেঙে পড়েছে। আমি বেঁচে আছি। হামাগুড়ি দিয়ে বের হয়ে এসেছি।’ শুনেই দৌড় দিয়েছিলেন মিং। কিন্তু তিনি পৌঁছানোর আগেই হুংকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন উদ্ধারকর্মীরা। ধ্বংসস্থলে পৌঁছে তিনি হাত লাগান উদ্ধারকাজে। এরপর হাসপাতালে যান মেয়েকে দেখতে। সূত্র : টেলিগ্রাফ।

Developed by: