বিভাগ: ছবি গ্যালারী

কোয়ান্টাম সাফল্যের অনন্য ভুবনে লেখক : সীতাব আলী প্রকাশকাল : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ প্রচ্ছদ : আদনান মোহাম্মদ মূল্য : ২৫০ টাকা পৃষ্ঠা : ১৬০

কোয়ান্টাম সাফল্যের অনন্য ভুবনে
লেখক : সীতাব আলী
প্রকাশকাল : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯
প্রচ্ছদ : আদনান মোহাম্মদ
মূল্য : ২৫০ টাকা
পৃষ্ঠা : ১৬০

মালয়েশিয়ায় এক বছরে ৭৮৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

lash nm nahid

মালয়েশিয়ায় গত এক বছরে ৭৮৪ বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সে দেশে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৮৪ বাংলাদেশি।

হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে, সড়ক দুর্ঘটনা ও নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করতে গিয়ে এসব শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছেন বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে। তন্মধ্যে স্ট্রোক করে বেশিরভাগ প্রবাসী মারা গেছেন বলে এক হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রবাসে বাংলাদেশিদের মৃতের পরিসংখ্যানের তালিকায় প্রথমে আছে সৌদি আরব। দ্বিতীয় অবস্থানেই মালয়েশিয়ার অবস্থান বলে জানিয়েছে দূতাবাস সূত্র।

এর পরে রয়েছে যথাক্রমে আরব আমিরাত, ওমান ও কুয়েতের অবস্থান।

প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে এমন বেশ কয়েকটি সংগঠন জানায়, গত চার বছরে যত প্রবাসীর লাশ এসেছে, তাদের মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অন্তত ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয়েছে আকস্মিকভাবে।

তাই মানসিক চাপ কমাতে অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং প্রবাসী শ্রমিকদের মানসিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা তৈরি করার ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘শুধু যে স্ট্রোকের কারণে প্রবাসীরা মারা যায় তা নয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ও সড়ক দুর্ঘটনাও রয়েছে।

মৃতদের লাশ বাংলাদেশে পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রবাসীদের লাশ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি ও জনহিতৈশীদের সহযোগিতায়ও লাশ দেশে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।

লাশ দাফনের জন্য মৃত ব্যক্তিদের পরিবার বিমানবন্দরে ৩৫ হাজার টাকা এবং পরে যারা বৈধভাবে কোম্পানিতে কাজ করেছেন তারা তিন লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পায় বলে তথ্য দেন এ কর্মকর্তা।

যে অবৈধ প্রবাসী কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করেন তাদের বেলায় কোম্পানির মালিকের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ে দূতাবাস সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকে বলে জানান তিনি।

হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কসূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে দুই হাজার ৩১৫ জন, ২০১০ সালে দুই হাজার ২৯৯ জন, ২০১১ সালে দুই হাজার ২৩৫ জন, ২০১২ সালে দুই হাজার ৩৮৩ জন, ২০১৩ সালে দুই হাজার ৫৪২ জন, ২০১৪ সালে দুই হাজার ৮৭২ জন, ২০১৫ সালে দুই হাজার ৮৩১ জন, ২০১৬ সালে দুই হাজার ৯৮৫ জন, ২০১৭ সালে দুই হাজার ৯১৯ জন এবং ২০১৮ সালে তিন হাজার ৫৭ জনের মরদেহ দেশে ফিরেছে।

২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরব থেকে এসেছে ১০০৮, কুয়েত থেকে ২০১, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২২৮, বাহরাইন থেকে ৮৭, ওমান থেকে ২৭৬, জর্ডান থেকে ২৬, কাতার থেকে ১১০, লেবানন থেকে ৪০ সহ মোট তিন হাজার ৫৭ জনের লাশ দেশে ফিরেছে।

এ ছাড়া মালয়েশিয়া থেকে এক বছরে এসেছে ৭৮৪ জনের লাশ।

লালাবাজার ইউনিয়ন উন্নয়ন টাস্ট ইউকে’র বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত

1

গত ৫ই নম্ভেম্বর ২০১৮ সোমবার লালাবাজার ইউনিয়ন উন্নয়ন টাস্ট ইউকে এর প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্টিত হয় ইস্ট লন্ডনের একটি স্থানীয় হলে । সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মুক্তার সাইস্তার সভাপতিত্বে অনুষ্টানের শুরুতে কোরান তেলাওত করেন ফয়ছল আলী আহমেদ ।সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ রফিক উদ্দিন এর পিতা সদ্য প্রয়াত আলহাজ্ব রইছ মিয়া সাহেবের আত্নার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন হাবিবুর রহমান ।
ট্রাস্টে বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ ও অনুষ্টান পরিচালনার পাশাপশি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ রহমান এবং ট্রাস্টের বার্ষিক হিসাব পেশ করেন কোষাধ্যক্ষ রফিক উদ্দিন ।
উক্ত অনুষ্ঠানে লন্ডন এবং লন্ডনের বাইরে থেকে আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে
স্বাগত বক্তব্যে রাখেন ট্রাস্টের সভাপতি আব্দুল মুক্তার সাইস্তা এবং ট্রাস্ট পরিচলনা ও ট্রাস্টের আগামী কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে রাখেন আব্দুল হক আবু, আব্দুল আহাদ,  ফখর উদ্দিন ফারুক, আরশ আলী, সাইস্তা মিয়া, মিয়া মোহাম্মদ চন্দন, ও মোহাম্মদ সামসুল হুদা

টাওয়ার হেমলেট এর সাবেক স্পীকার খালেছ উদ্দিন তিনি তার বক্তব্যে বলেন
আমি খুবই আনন্দিত ও অবিভুত এত দ্রুত সময়ে বিপুল সংখ্যক ট্রাস্টি সদস্য হয়েছেন এবং সে জন্য তিনি সংগঠনের সকল কর্তকর্তা সাধুবাদ জনান ।

তাকবীর হোসেন দুলাল বলেন গত অভিষেক ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্টানে আসা তার মেয়ে অন্যান্য ছেলে মেয়ে সাথে পরিচিত হয়ে এবং এলার সবাইকে এক সাথে দেখ খুবই আনন্দিত হয়েছে তাকবীর হোসেন দুলালের কথার সূত্র ধরে ফয়ছল আলী আহমেদ বলেন এদেশে বেড়ে উঠা আমাদের প্রজন্মকে
ট্রাস্টের সাথে যুক্ত করতে পারলে এলার সবার সাথে তাদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং ট্রাস্টও আরও গতিশীল হবে ।

বিলেতে বেড়ে উঠা প্রজন্মের সাদেক আহমেদ বলেন লালাবাজার ইউনিয়ন উন্নয়ন টাস্ট ইউকে এর সাথ যুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ট্রাস্টের সাথে যুক্ত হওয়ায় আমাদের এলার সবার সাথে পরিচিত হতে পেরেছি । উক্ত অনুষ্ঠানে ট্রাস্টে গঠনতন্ত্র বাংলা ও ইংরেজী চুড়ান্ত অনুমোদন করা হয় ।
এছাড়াও আরও বক্তব্যে রাখেন লাল মিয়া, নাছির উদ্দিন,  রফিক উদ্দিন, বদরুল হক শাহীন, শহিদুল ইসলাম, মিরাজ নানু, আব্দুল কাইয়ুম সুনেল, মামুন রহমান, এম মোসাইদ খান, দারা হোসেন পলাশ, মুহিবুর রহমান, উম্মর আলী রিপন, সুভাস কান্তি নাথ, আব্দুল কালাম, জসিম উদ্দিন জুনায়েল, একমান আলী প্রমুখ ।

উল্লেখ্য লালাবাজার ইউনিয়নে ফ্রী চক্ষু শিবির পরিচালনার সিদ্বান্ত গৃহিত হয় এবং এর জন্য
জন্য প্রায় ৭লাখ টাকার আর্থিক প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন উপস্থিত সদস্যরা ।
নৈশভোজ শেষে অনুষ্টানের সামাপ্তি ঘোষণা করা হয় ।

2

খয়রুন নেছা স্মৃতি প্রাথমিক মেধাবৃত্তি-২০১৮ এর বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন

1

গত ৩রা নভেম্বর শনিবার দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের অন্তর্গত লালার গাও গ্রামেআব্দুল গফুর কিন্ডার-গার্টেন এন্ড জুনিয়র হাই স্কুল কর্তৃক পরিচালিত “খয়রুন নেছা স্মৃতি দ্বিতীয় বৃত্তি পরীক্ষা-২০১৮ এর বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের হল রুম সফল ভাবে সম্পন্ন হয় ।আব্দুল গফুর কিন্ডারগার্টেন এন্ড জুনিয়র হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক এবং উক্ত মেধাবৃত্তির প্রবর্তক
জনাব আসিক মিয়া সাহেব সহ শিক্ষিত সূধিমহলের উপস্থিতিতে ৩ টি গ্রেডে মোট ১২জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
লালাবাজার ইউনিয়ন এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ.কের পক্ষ থেকে ১ম গ্রেডে উত্তীর্ণদের সার্টিফিকেট সহ ৪০০০ টাকা করে ৪ জনকে বৃত্তি দেওয়া হয়।
কবি এম মোসাইদ খান এর পক্ষ থেকে ২য় গ্রেডে সার্টিফিকেটসহ ৩০০০ টাকা করে ৪ জন বৃত্তি দেওয়া হয়।
এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলী স্মৃতি ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে ৩য় গ্রেডে উত্তীর্নদের ২০০০ টাকা করে ৪ জনকে বৃত্তি দেওয়া হয়। এছাড়া উল্লেখিত প্রত্যেকটি বৃত্তিতে আর্থিক সহায়তা করেন আলহাজ্ব রইছ মিয়া স্কুল& কলেজের পরিচালক রফিক উদ্দিন ও বৃহত্তর লালাবাজারের সুনামধন্য “ল্যান্ডমার্ক শপিং কমপ্লেক্স “।
উক্ত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুনামধন্য মুরারি চাঁদ কলেজের সম্মানিত স্যার “প্রফেসর সুধাংশু শেখর তালুকদার,বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, সহ অনেক শিক্ষিত গুনিজন।তাছাড়া এই অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করতে আব্দুল গফুর কিন্ডারগার্টেন এন্ড জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা গান পরিবেশন করে। উপস্থিত অতিথিদের নৈতিকতা সম্পন্ন বক্তব্য এবং সতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।

2

2018-04

ময়নূর রহমান বাবুল’র গুচ্ছকবিতা

VLUU L200  / Samsung L200
প্রয়োজন

একটা নিস্তব্ধ রাত আমার দরকার
প্রচ- ঘুম আজ আমার দুটি চোখে
শিয়াল ডাকে ডাকুক, পূর্ণিমা হোক
ভোরের আশায় তবু ঘুমাবো সুখে।

একটা দেশ চাই, দেশের মাঝে গ্রাম
গ্রামে থাকবে উপচেপড়া ফুল ফসল
মানুষ হবে নির্মোহ, ভরা সতেজ প্রাণ
উড়বে সেথায় রঙিন প্রজাপতি দল।

মানুষ চাই, চাই আমি অনেক বীর
বীরেরা এনে দেবে নিরুপদ্রব রাত
ছবির মতো গ্রাম, গ্রামের মতো দেশ
বিপ্লবেই আসবে আলো, আসে প্রভাত।

একটা ভোর চাই, সূর্য উঠা ভোর
নির্মল বায়ু আর মিষ্টি সোনালি রোদ
বাঁচার তাগিদে আমার এসব চাই
যদি না পাই, তবে নেব প্রতিশোধ।

হিংসা, ক্লেশ, শোষণের চাই পরিবর্তন
বায়ু আলো ভরা ভোর আমার প্রয়োজন।

ভেজা খাম

যখন আমার এ চিঠিখানা তুমি পাবে
হরহর করে ডাকহরকরা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে
পৌঁছে দেবে, ভেজা খামখানা তোমার হাতে।
প্রেমাতুর হাতে খুলবে তুমি, আলতো হাতে,
যেন ছিঁড়ে না যায়, আমার দেয়া চিঠি খানি।

এখন ভরা বরষা, চারদিকে থৈ থৈ জল,
জলেতে ডুবেছে বসত বাড়ি, পথ ঘাট
হরিদের নলকূপ, গৌরীদের পাঠশালা
এটুকুন কবরের জায়গাও নাই বলে-
জলে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে ওপাড়ার রমিজের লাশ।

অজোর ধারায় গড়ায় বৃষ্টি, পড়ে টাপুর টুপুর
এ যেন ঘাঢ় আঁধারে বাঁঝে কারো পায়ের নুপুর
সারা অঞ্চল, বানে ভাসা সব এলাকার নদী ও পুকুর
চারিদিকে হাহাকার, দিশেহারা মানুষ কাঁদিছে যন্ত্রণায়।

এ ভেজা খাম, ভিজেনি বৃষ্টিতে বরষার
ভাদরের বরিষণের মতো আমার দু’চোখে
অঝোর ধারায় নেমে আসা নোনাজল
ভিজিয়ে দিয়েছে খাম, এই চিঠি, এই লেখা।

গলাডুবা জলে দুবেছে সব তাল নারিকেল
ঝড়ের ঝাপটায় আর বানের স্রোতে
সুপারি গাছের মাথায় ধর্ষিতার চুলের নমুনা
ফোটা ফুল কদমের হয়েছে সলিল সমাধি
নিষ্ঠুর স্রোতে ভেসে গেছে সব লালপদ্ম
স্থলচর প্রাণীগুলো ভাসছে অথৈ জলে…

এমন বানতাড়িত হাহাকার সময়েও এ অঞ্চলে
নেতা আসে, ক্যামেরার ফ্ল্যাশগুলো বারবার হাসে
ভোরের পত্রিকার প্রথম পাতায় তাদের ডাউস রঙিনছবি
আর ভিক্ষা-বিতরনের খবর সযত্নে ছাপা হয়,
কিন্তু ছাপা হয়না কৈতরির জলে ডুবে লাশ হওয়ার
কিংবা অনাহারে আত্মহত্যা করা শিউলির খবর,
বানের আগে নদিভাঙ্গনে মথুর নাথের বাড়ী হারাবার
কিংবা আগাম অতিবৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া ফসলের কথা,
বড়লোকের খবরের ভিড়ে বানভাসা পরী মৌরিদের খবর
আমার এ ভেজা খামখানা খুলে তুমি জেনে নিও…

পাথর সময়

পৃথিবীর সব ঘড়ি এখন স্লথ
সময় দেখেনা কেউ
সূর্য আসেনা পূবের আকাশ জুড়ে
সাগরে উঠেনা ঢেউ।

উত্তর দক্ষিন পূর্ব পশ্চিমে পড়ে
সা¤্রাজ্যবাদের শ্বাস
ডান বাম সব একাকার আজ
শোষকের উচ্ছ্বাস।

লেলিন স্তালিন ফিদেল কাস্ত্রো
চে গুয়েভারা
দিকে দিকে আজ অভাব বিপ্লবীর
কাঁদিছে সর্বহারা।

ভিয়েতনাম থেকে কম্বোডিয়া
গড়তে চীনা প্রাচীর
শোষন মুক্তির ইতিহাস রচিবে
আমার দেশের বীর।

কেঁটে যাবে এই পাথর সময়
বিপ্লব দেশে দেশে
যুগের লেলিন, চে গুয়েভারা
আসছে শ্রমিক বেশে।

বোধ

পাটিগনিতে শেখা বিবিধ নিয়মের অংক
দুধে পানি মিশিয়ে লাভ ক্ষতির হিসাব
বানরের তেলামাখা বাাঁশ বেয়ে উঠানামা
সুদকষা ঐকিক লসাগু গসাগু-র ধারাপাত।

এ্যলজাবরা এ-স্কোয়ার বি-স্কোয়ার
প্লাসে প্লাসে আর প্লাসে মায়নাসে
হিমাঙ্কের দশ ডিগ্্রী নিচে বরফ ঠেলে
জীবনের চাকা ঘুরছে এখন দিনরাত।

লাভ ক্ষতি, সুদকষা, ঐকিক নিয়ম
হোলথিন স্কোয়ারের সূত্রগুলো সব
খুবই বেমানান বাস্তব জীবনে আজ
হারিয়ে যাওয়া কিশোর প্রেমের মতো।

যা কাজে লাগবে তা নিতে পারিনি সাথে
বাস্তবের কিছুই শিখতে পারিনি কখনো
নিজ দেশে জন্মেও করতে পারিনি বসবাস
জ্ঞানের পাঠ ফেলে কুবচন জপেছি অবিরত।

বিদ্যাপীঠ ব্যস্থ সদা আকাশ-কুসুম পাঠে
জীবন বাস্তবতা জ্ঞানের মন্দিরে তালা এটে।
বলদের মতো বয়ে বেড়াই সনদের বোঝা
লক্ষ্য আদর্শহীন পাখামেলা পিঁপড়ার মতো !

স্মৃতিগুলো আমার

কর্পূর দেয়া ছিলনা বলে আমার তোরঙ্গে
পুরনো স্মৃতিগুলো সব
তেলাপোকা, উইপোকা, পোকামাকড়ে মিলে
খেয়ে দেয়ে ভষ্ম করেছে।
কতো মধুর স্মৃতি ছিলো
জমানো কতো সোনার স্মৃতি
রূপোর স্মৃতি মণিমুক্তা খচিত।

সুখের স্মৃতিগুলো আজ নাই
খেয়েছে ইঁদুরে অথবা-
কর্পূরের মতো মিলিয়ে গেছে
মিশে গেছে বাতাসে।

দুলি অঞ্জলি, কেউ এখন আর স্মৃতিতে নেই
সুনা হিরু’র নাম ই তো আর মনে নেই আজ..

সামনে বাকি অনেক কাজ,
সামনে আগাই, পিছন ফিরে তাকাই
সাথে আছে কিছু বিরহের স্মৃতি
মনে পড়ে শুধু হারানোর কথা-
কুরে কুরে মোচড় মারে শুধু-
বিচ্ছেদের ব্যথা, হারানোর বেদনা
ও গুলো খায়নি ঘূণে, তিতা বলে
মিষ্টি স্মৃতিগুলো একেবারেই আজ আর নাই
টক্ ঝাল বিস্বাদের গুলোই শুধু বয়ে বেড়াই।

তোমাকেই

তোমাকে বার বার কবিতায় তুলে আনি
অথবা উঠে আসো তুমি আমার কবিতায়।
মনের কুঠরীতে লুকিয়ে রাখি
তবু বেরিয়ে আসো বারবার।

তোমাকে লুকোতে আমার কবিতায়
উল্টো করে লিখি তোমার নাম
কবিতা প্রেমিক পাঠক, কেমন যেন
বুঝে নেয় আমার চালাকি
তারা ঠিক নামটি পড়ে নেয় গল্পে কবিতায়,
জীবন্ত তুমি কথা বলো অবিরাম
পাঠকও হাসে, মাতে, তোমার সাথে
যতই লুকোতে চাই, রাখতে চাই গহীন বুকে
ততই বেরিয়ে আসো তুমি
ততই প্রকাশ করি তোমাকে।

প্রধানমন্ত্রীর নামে ভবন দক্ষিণ সুরমায়

বাসিয়া ডেস্ক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জালালপুর হাইস্কুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সফরের প্রাক্কালে শনিবার দুপুরে ভবনটি উদ্বোধন করেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও প্যানেল স্পিকার মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হয়েছে।

উদ্বোধনকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাহমুদ সামাদ এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অবদান রেখে যাচ্ছেন, আওয়ামীলীগ সরকার ব্যাতিত কোন সরকার করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনার কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।

শনিবার ‘দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা ভবন’ উদ্বোধনকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন জালালপুর স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নেছারুল হক বুস্তান।

প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকৌশলী আব্দুর রব, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শহিদুর রহমান শাহীন, আওয়ামীলীগ নেতা শাহ ছমির উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বাবুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ওয়েছ আহমদ প্রমুখ।

05

Abdul Malik Mour

8-9

Photo

8-1

Developed by: