বেইলি রোড: গ্রিন কোজি কটেজ এর কাঠামোগত ভিত্তি যেভাবে বহাল থাকে

বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর বহু ধরনের অনিয়ম ও গাফিলতির তথ্য উন্মোচিত হচ্ছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বলছে, গ্রিন কোজি কটেজ নামের আটতলা ভবনটিতে রেস্তোরাঁ ব্যবসার অনুমোদন ছিল না। এক থেকে সাততলা পর্যন্ত অফিসকক্ষ এবং আটতলায় আবাসিক স্থাপনার অনুমোদন ছিল।

অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থাই ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে মালিকপক্ষকে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

রেস্তোরাঁ ব্যবসার অনুমোদন না থাকার পরও অগ্নিনিরাপত্তাহীন এই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ চলছিল বছরের পর বছর ধরে। যার খেসারত হিসেবে অগ্নিকাণ্ডে এত মানুষের অকালমৃত্যু হলো।

কোনো ভবনে ফায়ার অ্যালার্ম বা অগ্নিসতর্কসংকেতের ব্যবস্থা থাকলে এবং ভবন থেকে বের হওয়ার জন্য ফায়ার এক্সিট বা বাইরের দিকে মুখ করা সিঁড়ি থাকলে আগুন লাগলেও সাধারণত মানুষের মৃত্যু হওয়ার কোনো কারণ থাকে না। ফায়ার অ্যালার্ম শুনে মানুষ নিরাপদে ফায়ার এক্সিট ব্যবহার করে বের হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু রাজধানীর বেইলি রোডের এই বহুতল ভবনে ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম ছিল না বা থাকলেও কাজ করেনি। সেই সঙ্গে বাইরের দিকে মুখ করা কোনো সিঁড়িও ছিল না।

Developed by: