যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর গাজায় নিহত ১০৭

ff8888aa995d04dcb84e4959f9f0f0e2-Gazaফিলিস্তিন-শাসিত গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর নতুন করে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। এতে ১০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আজ শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৭ জুলাই থেকে গাজায় শুরু হওয়ায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এক হাজার ৬৫০ জন ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। তাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।
জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যুদ্ধবিরতি শুরু হতে না-হতেই গাজায় আবার নির্বিচারে হামলা চালায় ইসরায়েল। গতকাল রাতভর ও আজ সকালেও গাজায় হামলা হয়েছে। নতুন করে শুরু হওয়ায় এই হামলায় মোট ১০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সাড়ে তিন শতাধিক।
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য হামাস ও ইসরায়েল পরস্পরকে দায়ী করেছে।
ইসরায়েলের দাবি, গতকাল সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর তাদের এক সেনাসদস্যকে ধরে নিয়ে গেছে হামাস। এ ঘটনায় হামাসকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে তেল আবিব।
এদিকে ইসরায়েলের নিখোঁজ হওয়া ওই সেনাসদস্যের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একই সঙ্গে তিনি গাজায় বেসামরিক মানুষদের রক্ষায় আরও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
হামাসের সশস্ত্র শাখার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের নিখোঁজ হওয়া সেনাসদস্যের ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
গত ২৬ দিনে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এক হাজার ৬৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আট সহস্রাধিক মানুষ। এ ছাড়া লাখো ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, এই সময়ে তাদের ৬৩ জন সেনা ও তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
গাজা থেকে হামাস রকেট ছুড়ছে—এই অজুহাত তুলে ৭ জুলাই ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ নামের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রথম দিকে তা বিমান হামলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও হামাসের সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার কথা বলে ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয় স্থল অভিযান।

Developed by: