স্বামী পেতে বিড়ি বাঁধার দক্ষতা!

9-3বাঙালি মেয়েদের সুপাত্রী হওয়ার লক্ষণ আছে অনেকই। পড়াশোনা, গান শেখা, ভালো রান্না করা এসব নারীর গুণ। কিন্তু চিরাচরিত ধারনার সঙ্গে মিল নেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের করণদিঘির বাসিন্দাদের।

সেখানকার মেয়েদের ছোটবেলা থেকেই স্কুলে পাঠানো হয় না। পড়াশোনায় দেয়া হয় না কোনো উৎসাহ। মেয়েরা বড়দের সঙ্গে কাজ করতে করতে একসময় শিখে যায় ‌‘বিড়ি বাঁধা’।

বিড়ি বাঁধায় সুদক্ষ হয়ে উঠতে পরামর্শ দেয় পরিবারের লোকজন। ভালো বিড়ি বাঁধতে না জানলে জুটে না ভালো পাত্র।  দিনাজপুরের করণদিঘির চিরাচরিত এটিই প্রথা।

এ কুসংস্কারের কারণেই অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের বিদ্যালয়মুখী করতে চান না।

জানা গেছে, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্কুলের খাতায় নাম তুলে অভিভাবকরা বাড়ির মেয়েদের বিড়ি বাঁধার কাজেই নামান। এতে পরিবারের রোজগার যেমন বাড়ে, তেমনি বিয়ে দিতে ভালো পাত্র পেতেও সুবিধা হয় না। এমনই মনে করেন অভিভাবকরা।

করণদিঘির যেকোনো গ্রামে গেলে চোখে পড়বে স্কুল পড়ুয়া মেয়েরা বাড়ির উঠানে বসে বিড়ি বাঁধার কাজে ব্যস্ত। পাত্রপক্ষ মেয়েদের পড়াশোনার বিষয়ের থেকে বেশি আগ্রহ দেখায় কী পরিমাণ বিড়ি বাঁধায় দক্ষ মেয়েটি।

সে কারণেই পড়াশোনার চেয়ে বিড়ি বাঁধাকে বেশি গুরুত্ব দেয় অভিভাবকরা। তবে করণদিঘির মানুষকে এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতন করার চেষ্টা যে হয়নি তা কিন্তু নয়। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি কয়েকটি শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ও চালু করা হয়েছে।

Developed by: