
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আশায় মিসরের কায়রোতে যে আলোচনা চলছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সেই আশা একেবারেই শূন্যে মিলিয়ে গেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এর জবাবে হামাস বলেছে, তাদের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারাও তাদের লড়াই চালিয়ে যাবে।
গাজার চারদিকে ইজরাইলের যে ভু-অবরোধ আছে, তা তুলে নেয়ার দাবি করছে হামাস।
এদিকে গাজায় জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তা ক্রিস গুয়েনেস বলেছেন, গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে।
তিনি বলেন, হাসপাতাল ক্লিনিক এবং অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৪০ শতাংশের বেশি চিকিৎসা কর্মী অক্ষম হয়ে পড়েছেন।
ইসরায়েলি ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় নিহত ২ শতাধিক
গাজায় শুক্রবারের সাময়িক যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে পড়ার পর ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলেছেন। এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটেছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায়।
ইসরাইলি হামলার অন্যতম লক্ষ্যস্থল ছিল রাফাহ, যেখানে ফিলিস্তিনিদের হাতে একজন ইসরাইলি সৈন্য ধরা পড়েছে বলে মনে করা হয়।
নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোক। প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের কারণে রাফাহর প্রধান হাসপাতালটি থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে গাজায় ইসরাইলি বিমান ও স্থল অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১ হাজার ৬৫০ ছাড়িয়ে গেছে, যার অধিকাংশই বেসামরিক লোক। ইসরাইলি পক্ষে ৬৩ জন সৈন্য ও ২ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
শুক্রবার ৭২ ঘণ্টার যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি বলবৎ হয়েছিল তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভেঙ্গে পড়ে। দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে।
অন্যদিকে এরই মধ্যে মিসরের উদ্যোগে শুরু হয়েছে নতুন একটি যুদ্ধবিরতির চেষ্টা।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসি বলেছেন, সবশেষ এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে গাজায় রক্তপাত বন্ধ হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, মিসরের এই পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই।
হামাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে একটি ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদল আজই কায়রো পৌঁছাচ্ছে। তবে ইসরাইল কোনো প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
রাফাহে দুজন ইসরাইলি সৈন্যও নিহত হয়েছে। এ ছাড়া একজন ইসরাইলি সৈন্য ফিলিস্তিনিদের হাতে ধরা পড়েছে। হামাস বলছে, গাডার গোলডিন নামে ওই নিখোঁজ ইসরাইলি সৈন্যটি কোথায় আছে বা তার কি হয়েছে- এ সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। সে যুদ্ধে নিহত হয়ে থাকতে পারে- এ কথাও বলা হয়।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ওই সৈন্যটিকে সম্ভবত ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা ধরে নিয়ে গেছে।
ইসরাইলি বাহিনী ‘আয়রন ডোম’ নামে যে রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে তা আজ বীরশেবা এবং তেলআবিবের আকাশে ৩টি রকেট ঠেকিয়ে দিয়েছে। – See more at: http://www.dainiksylhet.com/details/newsdetails/1228#.U93E_UDj5kg