ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা ত্রুটিপূর্ণ: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তিতে মাত্র দুইজন যোগ্য শিক্ষার্থী পাওয়ার পর শিক্ষার মান নিয়ে সমালোচনার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দুষলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার সচিবালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, “বাছাই প্রক্রিয়া (ঢাবির) ত্রুটিপূর্ণ ছিল, এজন্য (শিক্ষার্থীরা) ফেল করেছে। এটা আমাদের বিষয় নয়, এটা তারা (ঢাবি কর্তৃপক্ষ) দেখবে।”

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধীনে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার ফলে এই অনুষদভুক্ত ইংরেজি বিভাগে ভর্তির যোগ্যতাসম্পন্ন মাত্র দুজন শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, “শিক্ষার্থীদের সর্বনাশ করার এই পদক্ষেপ তারা (ঢাবি কর্তৃপক্ষ) বিবেচনা করবেন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পরিপূর্ণ না, এটা কোনো পরীক্ষাই না। এটা পাস ফেলের না, এটা বাছাই পরীক্ষা।

“আমরা চাই তারা (ঢাবি কর্তৃপক্ষ) দায়িত্বশীল হবেন। ছেলে-মেয়েদের হেস্তনেস্ত করতে ফেল বলে প্রচার করেছেন? শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলার জন্য এটা করল?”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

“তা না করলে প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করব, তবে এখনই এটা (আইন পরিবর্তন) করতে চাই না।”

ছেলে-মেয়েদের সর্বনাশ, হতাশাগ্রস্ত, নিরুৎসাহিত এবং বিদেশে তাদের অগ্রহণযোগ্য করার জন্য ওই ধরনের বাছাই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না। হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবেন না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে এবার প্রথম বর্ষে ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে, যাদের ১২৫ জনই কলা অনুষদের অধীন ‘খ’ ইউনিট থেকে আসার কথা। শুক্রবার অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বাকিদের নেয়া হবে।

এবার ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য নতুন শর্ত আরোপ করায় ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষায় এই বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা সম্পন্ন মাত্র দুজন শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে।

এ পরিস্থিতিতে ভর্তির যোগ্যতা শিথিল করার আভাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Developed by: