
‘ইয়েস’ ক্যাম্পেইন বা স্বাধীনতার পক্ষের প্রচারণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন এসএনপি’র প্রধান স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার এলেক্স স্যালমন্ড। ‘নো’ বা বেটার টুগেদার ক্যাম্পেইনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্কটিশ লেবার পার্টির নেতা সাবেক চ্যাঞ্চলার এলেস্টার ডার্লিং। স্বাধীনতার পক্ষে এবং বিপক্ষে চলা দীর্ঘ দুই বছরের ক্যাম্পেইনের এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে নিজ নিজ যুক্ত তুলে ধরতে উভয় পক্ষ মরিয়া।
ইয়েস ক্যাম্পেইনের প্রধান এলেক্স স্যালমন্ড বলেছেন, স্বাধীন হলেও স্কটল্যান্ডের মূদ্রা হিসেবে থাকবে পাউন্ড স্টারলিং এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক হবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে থাবেন ব্রিটিশ রানী। ওয়েস্টমিন্সটার সরকারের সাথে একটি বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে তারা এসব রাখতে চান। এর বিপরীতে ‘বেটার টুগেদার’ ক্যাম্পেইনের নেতা এলেস্টার ডার্লিং এ ধরনের চাওয়াকে স্বাধীন স্কটল্যান্ডের জন্য একটি অবাস্তব চাওয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে এলেক্স স্যালমন্ড বলছেন, স্কটিশরা স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিলে ব্রিটিশ সরকার যদি তাদের দাবিগুলো না মানে তাহলে তারা ব্রিটেনের যে রাষ্ট্রীয় ঋণ রয়েছে-তার দায় বহন করবেন না। এ কারণে ব্রিটিশ সরকার স্বাধীন স্কটল্যান্ডের দাবি মানতে বাধ্য হবে বলে তিনি মনে করেন।
ব্রিটেনে ভোটার হওয়ার বয়স সাধারণত ১৮ বছর হলেও স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে ১৬ বছর বয়সীরাও ভোট দিতে পারবেন। সবমিলিয়ে প্রায় ৪ দশমিক ১ মিলিয়ন ভোটার গণভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোটার নিবন্ধন শেষ হচ্ছে।
অন্যদিকে গত ২৬ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে ডাকযোগে ভোট দেয়ার জন্য পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। গণভোটে স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ গণভোটকে স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য শেষ সুযোগ বলে মন্তব্য করেছেন এসএনপি নেতা এলেক্স স্যালমন্ড। আর অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, স্কটল্যান্ডের মানুষ যদি স্বাধীনতার বিপক্ষে রায় দেয় তাহলে স্কটিশ পার্লামেন্টের হাতে তিনি আরো ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন।