আটলান্টাকে শান্তির শহর ঘোষণা দিলেন ইউনূস

ebe8efea1e6b08d7966e26ffb2bc69e5যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টাকে শান্তির শহর ঘোষণা দিয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

২০১৫ সালের শান্তিতে নোবেজলয়ীদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক হিসেবে আটলান্টার নাম ঘোষণা অনুষ্ঠানে সম্প্রতি এ ঘোষণা দেন তিনি। আয়োজিত অনুষ্ঠানে খ্যাতনামা কূটনীতিক অ্যান্ড্রু ইয়াং, নাথান ডিল, জর্জিয়ার গভর্নর প্রমুখসহ ৭৩০ জন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নোবেলজয়ীদের ওই শীর্ষ সম্মেলনে ড. ইউনূস সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সঙ্গে যৌথভাবে সহ-সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করবেন। আর সম্মেলনের চেয়ারের দায়িত্বে থাকবেন মিডিয়া মুঘল টেড টারনার।

সম্মেলনের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব থাকছে ইউনূস ক্রিয়েটিভ ল্যাব অব আটলান্টা, আটলান্টা শহর কর্তৃপক্ষ ও শান্তিতে নোবেলজয়ীদের স্থায়ী সচিবালয়ের ওপর।

বেসামরিক ও মানবাধিকার ক্ষেত্রে শহরের সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতি ইঙ্গিত করে ইউনূস বলেন, বিভিন্ন কারণে আটলান্টা নোবেলজয়ীদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনের দাবি রাখে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আটলান্টার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এখানে মার্টিন লুথার কিং, জিমি কার্টার, অ্যান্ড্রু ইয়াং ও টেড টার্নারদের মতো ব্যক্তিদের হাত ধরে শান্তি আন্দোলন শুরু হয়েছে এবং চলছে। এটাই আটলান্টার ঐতিহ্য, এটাই আটলান্টার সমৃদ্ধি।

তিনি এ সময় আটলান্টাকে শান্তির শহর বলে ঘোষণা দেন।

সম্মেলন ‍সূত্র জানায়, বৈশ্বিক শান্তি বিষয়ক নোবেলজয়ীদের ওই শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের অন্তত দুই হাজার নেতা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে শান্তি বিষয়ে মতবিনিময়ে অংশ নেবেন প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী।

এই সম্মেলনের ঘোষণা অনুষ্ঠানে যোগদানের পাশাপাশি স্থানীয় একটি সরকারি রেডিওতে প্যানেল সংলাপে অংশ নেন ড. ইউনূস। তিনি আটলান্টা রোটারি ক্লাব আয়োজিত একটি বৈঠকেও যোগ দেন। এছাড়া, আটলান্টায় সিএনএন সদরদফতরে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারও দেন।

Developed by: