যৌন হয়রানির শিকার কিশা

এক সংগীত প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন মার্কিন পপ গায়িকা কিশা, যার সঙ্গে গেল এক দশক ধরে কাজ করছেন তিনি।

ডক্টর লুক নামে পরিচিত সংগীহ প্রযোজক লুকাজ সেবাশ্চিয়ান গটওয়াল্ডের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন ২৭ বছর বয়সী কিশা। ক্যারিয়ারের শুরুতে ডক্টর লুকের সঙ্গেই হয়েছিল তার প্রথম অ্যালবামের চুক্তি। দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিষ্ঠিত এই সংগীত প্রযোজককে কিশার পথ প্রদর্শক হিসেবেই ধরে নেওয়া হতো।

টিএমজি বলছে, কিশা অভিযোগ করেছেন, গত ১০ বছর ধরে তাকে যৌন হয়রানির পাশাপাশি শারীরিক এবং মানসিক নির্যাত করেছেন ৪১ বছর বয়সী ডক্টর লুক।

অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রায়ই কিশাকে মাদক গ্রহণে বাধ্য করতেন লুক যেন তিনি যৌন হয়রানির ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ করতে না পারেন।

ইউএস উইকলি বলছে, কিশার দাবি একবার ডক্টর লুকের দেওয়া একটি মাদক গ্রহণের পরদিন সকালে নিজেকে তিনি নগ্ন অবস্থায় লুকের বিছানায় আবিষ্কার করেন। তার সঙ্গে কি ঘটেছে তা মনে করতে না পারলেও শরীরে ক্ষত দেখতে পান কিশা।

কিশা আরও বলেন, হয়রানির ঘটনা গোপন না রাখলে তার ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন লুক। এমনকি তার পরিবারের ক্ষতি করারও হুমকি দেওয়া হয়।

ডক্টর লুকের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই রেষারেষি চলছিল কিশার। ২০১২ সালে কিশা টুইট করে ভক্তদের জানিয়েছিলেন, তার গান ‘ডাই ইয়াং’ তিনি নিজের ইচ্ছায় গাননি। বরং তাকে বাধ্য করা হয় গানটি গাওয়ার জন্য।

এরপর ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে কিশাকে লুকের লেবেল থেকে বের করে আনার জন্য ‘ফ্রি কিশা’ নামে একটি অনলাইন পিটিশন করে ভক্তরা।

যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে কিশার আইনজীবী বলেন, “এই অভিযোগটি করা হয়েছে লুকের যাবতীয় অত্যাচার এবং হয়রানির বিরুদ্ধে যা গত ১০ বছর ধরে তিনি কিশার ওপর করেছেন। এখন নিজের জীবন এবং ক্যারিয়ারের উপর নিয়ন্ত্রণ চান কিশা।”

কিশার গাওয়া ‘টিক টক’, ‘উই আর হু উই আর’ এবং ‘ইওর লাভ ইজ মাই ড্রাগ’-এর মত হিট গানগুলো প্রযোজনা করেছেন ডক্টর লুক।

Developed by: