সিলেট এম এ জি ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ৭ ঘন্টার দুর্ভোগে পড়েছিলেন অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক রুটের ২০৩ জন যাত্রী।
রাত পৌণে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইট (বিজি-১৬০৭) এসে পৌঁছলে যাত্রীরা হাফ ছেড়ে বাঁচেন। ফ্লাইটটি রাত দেড়টার দিকে সিলেট ছেড়ে যায় বলে বিমানের কন্ট্রোল টাওয়ার সূত্র জানিয়েছে। বিমানের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওসমানী বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইট(বিজি-১৬০৭) সিলেট ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ে সিলেট ছেড়ে যেতে পারেনি। সবমিলিয়ে ওই বিমানের যাত্রী সংখ্যা ছিলেন-২০৩ জন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক যাত্রী ছিলেন-১৮৩ জন। আর ২০ জন ছিলেন অভ্যন্তরীন রুটের যাত্রী। এদের মধ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যও ছিলেন। বিমান সিলেট অঞ্চলের কমার্শিয়াল ইনচার্জ (সেলস এন্ড রিজার্ভেশন) এমডি শাহনেওয়াজ মজুমদার জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানের সন্ধ্যা ৬টার ফ্লাইট বাতিল করা হয়। তবে রাত পৌণে ১২টার দিকে আরেকটি বিমান(বিজি-১৬০৮)পাস নিয়ে ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই বিমানের ফিরতি ফ্লাইটে আটকে পড়া যাত্রীরা ঢাকায় যান। সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা ২টা ৫০ মিনিটে বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি সিলেটে আসেন। তাঁর সাথে তাঁর মেয়ে এবং নাতি-নাতনী ছিলেন। হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরাণ (র.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সন্ধ্যা ৬টায় বিমানের আরেকটি ফ্লাইটে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। সিডিউল অনুযায়ী তিনি যথারীতি বিমানবন্দরেও হাজির হন। কিন্তু, যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে বিমানটির ফ্লাইট বাতিল করা হলে দুর্ভোগে পড়েন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পর রাত ১১টা ৪৫মিনিটে একটি বিমান ঢাকা থেকে এলে কিছুটা স্বস্তিবোধ করেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। বিমান সিলেট অফিসের ম্যানেজার জানান, আন্তর্জাতিক যাত্রীদের মধ্যে বেশীরভাগই লন্ডনের যাত্রী। শনিবার সকাল ১০টায় এসব যাত্রীদের লন্ডন যাওয়ার কথা। কানেকটিং ফ্লাইটে বিলম্বের কারণে লন্ডনগামী যাত্রীদের শিডিউলের কোন হেরফের হবে না বলে জানান তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ফ্লাইটে সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যাত্রার বিষয়ে তাদের কিছু জানা ছিল না। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বিমান থেকে নামার পর শুক্রবার বিকালে বিমানবন্দরের ভি.আই.পি লাউঞ্জে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অবস্থান করছিলেন। এ সময় বি চৌধুরীর সাথে মেয়রের সাক্ষাত হয়। সাক্ষাত হওয়ার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বি. চৌধুরী মেয়র আরিফকে জড়িয়ে ধরেন। তাদের মধ্যে কুশলাদি ও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এ সময় সাবেক রাষ্ট্রপতির কন্যা ও নাতনীরাও উপস্থিত ছিলেন। পরে বিমানবন্দরের ভি.আই.পি লাউঞ্জ থেকে তিনি হযরত শাহজালাল (রহ:) ও হযরত শাহপরান(র.) এর মাজার জিয়ারতে বের হন। সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিমানবন্দরে হঠাৎ করেই সাবেক রাষ্ট্রপতির সাথে তার সাক্ষাত হয়। পরিবারের কয়েক সদস্যকে নিয়ে শুধুমাত্র মাজার জিয়ারতের জন্যে তিনি সিলেটে এসেছিলেন। 


