নির্বাচন ব্রিটেনে, উৎসব সিলেটে

নির্বাচন ব্রিটেনে, উৎসব সিলেটে
30ceb0f85758204ec772dcc51557b466বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা ছুটে যান ‘পুণ্যভূমি’ সিলেটে। হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তারা শুরু করেন প্রচারণা। বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন না থাকলেও সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণায় সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। ব্রিটেনের হাউস অব কমন্স নির্বাচনের ঢেউ লেগেছে প্রবাসী অধ্যুষিত এ অঞ্চলে। নির্বাচনে সিলেটী বংশোদ্ভূত পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ব্রিটেনে বিপুল সংখ্যক সিলেটীর বসবাস থাকায় এসব প্রার্থী ও তাদের স্বজনরা সিলেটকে প্রচারণার অন্যতম স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সিলেটীদের মন জয় করতে পারলে তারা ব্রিটেনে থাকা আত্মীয়স্বজনদের প্রভাবিত করবেন, এমন ধারণা থেকেই এখানে তৎপর প্রার্থীরা।

আগামী বছর মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগেও নির্বাচনে সিলেটীরা অংশ নিয়েছেন। তবে এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক পাঁচজন প্রার্থী ভোটে লড়ছেন। এদের মধ্যে ব্রিটেনে বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের কনজারভেটিভ পার্টি থেকে বার্কিং আসনে লড়বেন মিনা সাবেরা রহমান আর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নর্থাম্পটন সাউথ আসনে লড়বেন প্রিন্স সাদিক চৌধুরী।

অন্য তিনজন লড়বেন প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির হয়ে। পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে রোশনারা আলী, ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড একটন আসনে রূপা আশা হক এবং ওয়েলইউন হ্যাটফিল্ড আসন থেকে লড়বেন ব্যারিস্টার বাবুল মিয়া। মিনা রহমান গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সিলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

নির্বাচনের জন্য তিনি দোয়া চাইছেন, ভালোবাসা চাইছেন। অন্য প্রার্থীরাও বিভিন্নভাবে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আত্মীয়স্বজনদের মাধ্যমে তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। নিজেরাও ফোন করে সরাসরি কথা বলছেন এলাকার লোকজনের সঙ্গে। মিনা রহমান ২১ দিন বয়সে বাবা-মার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ রেড ব্রিজের প্রেসিডেন্ট ও বাংলা উইমেন্স নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন।

প্রিন্স সাদিক ১৯৭১ সালে ব্রিটেনে যান। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি লিবারেল ডেমোক্রেটের (লিভডেম) রাজনীতিতে জড়িত।

সিলেট জেলার বিশ্বনাথে জন্মগ্রহণ করা রোশনারা আলী সাত বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি দেন।লেবার পার্টির টিকিট নিয়ে বেথনাল গ্রিন-বো এলাকা থেকে হাউস অব কমন্সে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০১০ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

রূপা আশা হকের মা-বাবা ১৯৬০ সালের দিকে সিলেট থেকে ব্রিটেনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। রূপা ২০১০ সালে লন্ডন বারা অব ইলিংয়ের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। বাবুল মিয়ার পৈতৃক বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর গ্রামে।

Developed by: