লাগাতার অবরোধের মধ্যে বিএনপি জোট হরতাল বাড়ানোয় এসএসসির বৃহস্পতিবারের পরীক্ষার বিষয়ে বিকালে সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী মঙ্গলবার বলেন, বুধবার বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বৃহস্পতিবারের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
অবরোধের মধ্যে হরতাল ঘোষণায় এর আগে এসএসসির ১০ দিনের ১৩৫টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ১৩৮টি বিষয়ে পরীক্ষা রয়েছে।
চলমান অবরোধের মধ্যে হরতালে চলতি এসএসসির ১০ দিনের দিনের অর্থাৎ শুরুর সবগুলো পরীক্ষাই পিছিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হরতালে এসএসসি পরীক্ষা নিচ্ছে না সরকার।
অবরোধ ও হরতালের মধ্যে এবার এসএসসির পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছে কেবল পাঁচ দিন; তাও ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার।
আগের তিন সপ্তাহের মতোই মঙ্গলবার বিএনপির নামে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতাল বাড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার এসএসসিতে বিজ্ঞান/সাধারণ বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) এবং মাদ্রাসা বোর্ডে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা রয়েছে।
আর এসএসসি ভোকেশনালে নতুন সিলেবাসের ট্রেড-২ দ্বিতীয় পত্রের ৩১টি বিষয় এবং পুরাতন সিলেবাসে ট্রেড-২ দ্বিতীয় পত্রের ৩১টি বিষয় এবং ভোকেশনালে দাখিলে ট্রেড-১ দ্বিতীয় পত্রের ৩১টি এবং ট্রেড-১ দ্বিতীয় পত্রের ৩১ বিষয়ের পরীক্ষা নির্ধারিত রয়েছে।
২৭ হাজার ৮০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
এর আগে ২, ৪, ৮, ১০, ১২ ও ১৫, ১৮, ২২ ও ২৪ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা হরতালের কারণে পিছিয়ে যায়।
সরকার, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান থাকলেও তাতে বিএনপির সাড়া মেলেনি। বরং গত ৫ জানুয়ারি থেকে অবরোধ চালিয়ে আসা দলটি পরীক্ষার এই মাসে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই হরতাল চালাচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের হারতালের কারণে গত দুই বছরও বেশ কয়েকটি পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে যায়।