এবার বাংলাওয়াশের অপেক্ষা

ঢাকা, ২০ এপ্রিল- পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়টা নিশ্চিত হয়ে গেছে এরই মধ্যে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এক সময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে দিয়ে উৎসবের মঞ্চটাও তৈরি হয়ে গেছে। যে দলটির বিপক্ষে টানা ১৬ বছর জয়ের মুখ দেখা হয়নি, সেই দলটিই কি না এমন অসহায় বাংলাদেশের সামনে! আনন্দের আতিশয্যে উদ্বেল হওয়ার মতোই ব্যাপার। নাহ্! কাজ যে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ধবলধোলাই? হ্যাঁ, ওই কাজটি যে এখনো বাকি! তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটো জেতা হয়ে গেছে। বাংলাওয়াশ হবে না, তা কী করে হয়!

এই বাংলাদেশ যে সত্যিই অন্যরকম, সেটা পাকিস্তানিরা জেনে গেছে শুক্রবার সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। ৭৯ রানে জিতেও সাকিব-মুশফিক-তামিমদের আশ্চর্য নির্লিপ্ততা পাকিস্তানিদের জন্য ছিল গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতোই। আজ পরিষ্কার ব্যবধানে সিরিজটা নিশ্চিত করেও মাশরাফিদের পরিমিত উল্লাসটা খুব ভালো করেই পাকিস্তানকে দিয়ে দিল এক নতুন বার্তা। ইমরান খান, জহির আব্বাস, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াসিম আকরাম, সাঈদ আনোয়ার, ওয়াকার ইউনুসদের উত্তরসূরিরা জেনে গেল, এই বাংলাদেশ আর সেই বাংলাদেশ এক নয়।

ঠিক এভাবেই দুবার নিউজিল্যান্ডকে ফুৎকারেই উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কাছে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা পেয়েছে একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজও। জিম্বাবুয়ের এই অভিজ্ঞতা আছে একাধিকবার। আয়ারল্যান্ড কিংবা কেনিয়া-স্কটল্যান্ডের প্রসঙ্গ না হয় বাদই দেওয়া গেল। ২০১০ আর ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মাটিতে পরপর দুটি সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাই করেছে। টানা সাতটি ম্যাচে পরাজয়ের গুরুভার যে নিউজিল্যান্ডের জন্য কতটা ভয়াবহ ছিল, সেটা সারা দুনিয়া দেখেছে এবারের বিশ্বকাপেই। পুরো বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে রীতিমতো অজেয় নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যামিল্টনের বিপক্ষে হয়েছিল ঘেমে-নেয়ে একাকার। এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই সুযোগ।

মাশরাফি কি পারবেন না, পাকিস্তানকে ‘ধইরে দিতি? ’

Developed by: