নবাবী সম্পত্তিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা

ভোপাল, ২৬ এপ্রিল- আলাদতের নির্দেশে জারি করা হল পতৌদির ছোট নবাব সাঈফ আলী খানের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর দখলদারির নির্দেশ। প্রায় দুই মাস আগে কাস্টোডিয়ান অফ এনিমি প্রোপারটি অফ ইন্ডিয়া নবাবের ভোপাল এস্টেট নিয়ে সরকারের মামলা করে পতৌদি পরিবারের বিরুদ্ধে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোপালের এই এস্টেটি সরকারি জমির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু তা মানতে নারাজ নবাব পরিবার। সাঈফ আলী খানের ভাষ্যমতে, সম্পত্তিটি উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জন করেছেন। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলন তিনি।

পতৌদির এই এস্টেটের মধ্যে রয়েছে প্যালেস, কিছু বাড়ি ও কৃষিজমি। ১৯৬১ সালে এই বিশাল এস্টেটটি পান সাঈফ আলী খানের দাদী সাজিদা সুলতান। সম্পত্তিটি তার আগে ছিল ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লা খানের অধিকারে। সাজিদা তার দ্বিতীয় সন্তান। হামিদুল্লার মৃত্যুর পরে সম্পত্তির মালকিন হয় সাজিদা। আর সাজিদার সঙ্গে বিয়ে হয় ইফতিকার আলির সঙ্গে। ইফতিকার ছিলেন পতৌদি পরিবারের অষ্টম সন্তান। বংশক্রমের এই সূত্র ধরে বিশাল এই সম্পত্তির মালিক এখন সাঈফ।

১৯৬৮ সালে তৈরি একটি বিশেষ আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের পর মহারাজা বা নবাবদের সম্পত্তি রাজ্য সরকারের মালিকাধীন হয়ে যাবে। আর এই আইন অনুসারে নবাবদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন সরকার। আইনানুযায়ী সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘ভারত স্বাধীন হওয়ার পর মহারাজা ও নবাবদের সম্পত্তি আইন বলে সরকারের অধীনে চলে আসা উচিত। তাই নবারের এই সম্পত্তি সরকারের প্রাপ্য’।

তবে নিজের অধিকার হাতছাড়া করতে নারাজ সাঈফ। তাই তিনিও চলছেন আইনের পথে। তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। আপাতত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও বেশ কিছু আইনি জটিলতা কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আদালতকে।

Developed by: