উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনাকে হারিয়েও কাঙ্খিত জয় না পাওয়ায় বিদায় নিতে হলো বায়ার্ন মিউনিখকে। অন্যদিকে ফাইনালের টিকেট পেল মেসির বার্সেলোনা। আগামী ৬ জুন বার্লিনে ফাইনালে পঞ্চম শিরোপা জেতার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ আর জুভেন্টাসের মধ্যে জয়ী দল।
দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে জিতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে গেছে লুইস এনরিকের দল। সেমি-ফাইনালের প্রথম পর্বে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ৩-০ গোলে হেরে আসা জার্মান চ্যাম্পিয়নদের প্রয়োজন ছিল চার গোলের ব্যবধানে জয়। প্রাণপণ খেলে ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতলেও তাই হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পেপ গার্দিওলার দলকে।
মঙ্গলবার বায়ার্নের ঘরের মাঠে জোড়া গোল করে বার্সেলোনাকে ফাইনালে নেয়ার কাজটা ভালোভাবেই করেছেন ব্রাজিলের তারকা স্ট্রাইকার নেইমার। তবে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। সপ্তম মিনিটে জাভি আলনসোর ক্রসে হেড করে গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন মেহদি বেনাতিয়া। তবে পঞ্চদশ মিনিটেই মেসি, সুয়ারেস ও নেইমারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। মেসির ডিফেন্স চেরা পাস ধরে লুইস সুয়ারেস বল পাঠিয়েছিলেন নেইমারকে। এগিয়ে আসা নয়ারকে ফাঁকি দিতে কোনো সমস্যা হয়নি ব্রাজিল তারকার। গোল খেয়ে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে বায়ার্ন। তবে ফিলিপ লামের ক্রসে টমাস মুলারের হেড ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন। ২৭তম মিনিটে গোলে প্রথম শটটি নেন মেসি। তবে নয়ারের তা ঠেকাতে তেমন কষ্ট করতে হয়নি। তবে ২৯তম মিনিটে আলিয়াঞ্জ আরেনাকে নিশ্চুপ করে দেন নেইমার। নিঃস্বার্থ সুয়ারেসের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি।
বিরতির পর ম্যাচের ৬০তম মিনিটে বায়ার্নকে সমতায় ফেরান লেভানদোভস্কি। ডি-বক্সের ঠিক ভেতরে হাভিয়ের মাসচেরানোকে ফাঁকি দিয়ে বাঁকানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন পোল্যান্ডের এই স্ট্রাইকার। বায়ার্ন এগিয়ে যাওয়া গোলটি পায় ৭৪তম মিনিটে। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দারুণ শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন টমাস মুলার।
আগামী ৬ জুন বার্লিনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পঞ্চম শিরোপা জেতার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ আর জুভেন্টাসের মধ্যে জয়ী দল।