এম মনিরুজ্জামান মনি। জন্ম ৬ জুলাই ১৯৮৫। পিতা মো. আবদুল হক, মাতা মোছা. জাহেরা খাতুন। স্থায়ী নিবাস গ্রাম- শাইলানী, ডাক ও থানা- মধ্যনগর, জেলা- সুনামগঞ্জ। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে লেখক সর্বকনিষ্ঠ।
এম মনিরুজ্জামান মনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোন এক মানসিক যন্ত্রণায় নিপতিত হয়ে একাডেমিক লেখাপড়া থেকে ছিঁটকে পড়েন। অব্যক্ত যন্ত্রণার তুমুল ঝড়ের তাণ্ডবেই কলম তুলে নেন হাতে। লিখেন নাটক লাল সবুজের গাঁয়ে। নাটকটি নিজের নির্দেশনায় স্বীয় এলাকায় মঞ্চস্থ করেন। তখন সুধীসমাজে নাটকটি প্রশংসা কুড়ায়। কিন্তু তার মনের লেখনি ুধার কোন উপশম হয়নি। লোভের মোহ, পারিবারিক মর্যাদা ও সামাজিকতার যাতাকলে সম্ভাবনাময়ী যুবসমাজ নিস্পেষিত হয়ে জীবনকে কিভাবে নিশ্চিত অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তার ভয়ঙ্কর চিত্র উচ্চস্বরে সকলের কাছে পৌঁছে দিতেই উপন্যাস লিখতে মনোনিবেশ করেন। যার বহিঃপ্রকাশ নিরব পাথরের ফুল।
এ উপন্যাসে লেখক বুঝাতে চেয়েছেন মহান স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। সেই মানুষই পৃথিবীতে আগমনের পর থেকেই তার কণ্ঠে ধ্বনিত হয় সাফল্য চাই, আনন্দ চাই, জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে চাই। কিন্তু এর বিপরীতে প্রকৃতিগতভাবে ধ্বনিত হয় ব্যর্থতা ও যন্ত্রণা। কারণ জীবন চলার পথ কণ্ঠকাকীর্ণ। এই কণ্ঠকাকীর্ণ পথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবনের ওই চাওয়াগুলোকে অর্জন করতে হয়। অন্যথায় হৃদয়ে ধ্বনিত হয় মুক্তি চাই, স্বস্তি চাই, নিষ্কৃতি চাই। তারপর চলে মুক্তির পথ খোঁজা। সে পথও আবার পুষ্পমণ্ডিত নয়। সঠিক সিদ্ধান্ত ও দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে পুনরায় পথচলা শুরু করলেই অতীতের ব্যর্থতা-যন্ত্রণা পদদলিত হয়ে জীবনে আসে মুক্তি ও স্বস্তি। আর ভুল সিদ্ধান্ত ও ল্যহীন পথ চলায় তাকে নিয়ে যায় ঘৃণিত চির অবয়ের দিকে। নিষিদ্ধ ঘৃণিত কোন কিছু কখনই জীবনের কোন সমস্যা সমাধানের উপকরণ বহন করে না। ধ্বংসাত্মক শুধু ধ্বংসই ডেকে আনে। সাফল্য ও সমাধান তাতে আকাশ কুসুমের মতই থেকে যায়। তাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ণিকের ধরাধামে বিচরণকে সার্থক ও সুন্দর করাই হোক সকলের অঙ্গীকার।
নিরব পাথরের ফুল লেখকের প্রথম উপন্যাস।