সিলেটে কবর থেকে লাশ উধাও : দুই জন কারাগারে

04সিলেটের বিশ্বনাথে নিহত দিনমজুর বৃদ্ধ আব্দুল মনাফ হত্যার ঘটনায় হরিপুর গ্রামের উস্তার আলী ও তার ছেলে মিন্টু মিয়ার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ নজরুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।

৪ আগস্ট সকালে ময়না তদন্তের জন্য কবর খোঁড়ার পর যথাস্থানে লাশ পাওয়া যায়নি আব্দুল মনাফের। কবরে লাশের পরিবর্তে পাওয়া গেছে কাফনের কাপড়, নীল রংয়ের পলিথিন ও প্লাস্টিকের সুতলি।

স্থানীয়রা জানান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুহেল মাহমুদ ও সিলেটের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে নিহত মনাফের কবর খোঁড়া হয়। এ সময় সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহমেদ সিরাজুম মুনির (রাহেল), বিশ্বনাথ থানার এসআই সুমন চন্দ্র সরকারসহ এলাকার কয়েক শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আদালতের নির্দেশে লাশ দাফনের ২ মাস ১৩ দিন পর মনাফের লাশের সন্ধানে কবর খোঁড়া হয়। উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত জবান আলীর পুত্র আব্দুল মনাফ (৫৫) গত ১৬ মে বিকেল থেকে নিখোঁজ হন। এরপর ১৮ মে সন্ধ্যায় বাদীর বসত ঘরের সম্মুখের গোয়াল ঘরে র্দুগন্ধ পেয়ে নিখোঁজ আব্দুল মনাফের স্ত্রী সেখানে গিয়ে দেখতে পান তার স্বামীর লাশ।

খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরদিন আব্দুল মনাফকে হত্যার অভিযোগে গ্রামবাসী হরিপুর গ্রামের অভিযুক্ত উস্তার আলী ও তার ছেলে মিন্টু মিয়াকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। অবশ্য পরে তারা আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন লাভ করেন।

এরপর আব্দুল মনাফকে হত্যার অভিযোগে তার ভাই আব্দুল হাশিম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে গত ২৫ মে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এ একটি দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন (বিশ্বনাথ সি.আর মামলা নং- ১৪১/২০১৫)। ওই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- হরিপুর গ্রামের উস্তার আলীর পুত্র টিটু মিয়া (২৫), তার পিতা উস্তার আলী (৫৫), ভাই মিন্টু মিয়া (২২), লুৎফুর (৩২) ও একই গ্রামের মৃত মজর আলীর পুত্র কবিরুল (৩৫)।

Developed by: