শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা ১২ অক্টোবর সৌদি আরব যাচ্ছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কামরুলকে আনতে সৌদি আরব যাচ্ছেন পুলিশ সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘শিশু রাজন হত্যা মামলাটিতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র তৈরিতে আমরা তৎপর। নানা নিয়মনীতি মেনে এ আসামিকে নিয়ে আসতে পারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টারই অংশ।’
গত ৮ জুলাই রাজনকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের বাসিন্দা শিশু রাজন সবজি বিক্রি করত। তার লাশ গুম করার সময় ধরা পড়ে একজন। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদি আরব চলে গেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাঁকে ধরে পুলিশে দেন।
কামরুলের দেশ ছেড়ে পালানোয় ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ২৭ জুলাই সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন, উপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও এসআই মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
রাজন হত্যার ঘটনায় তদন্ত শেষে মোট ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের উদ্যোগে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রিয়াদ এনসিবির সহযোগিতা চেয়ে রেড নোটিশ ইস্যুর জন্য অনুরোধ জানানো হয়। পুলিশ সদরের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যম হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্দী বিনিময়ের জন্য সৌদি কতৃর্পক্ষকে অনুরোধ করে। এর প্রেক্ষিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ কামরুলকে ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।