‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অব’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সিলেটী মেয়ে নাদিয়া

5833বৃহস্পতিবার ৮ অক্টোবর ২০১৫ ॥ ব্রিটেনের ব্যাকার তৈরি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সিলেটের বিয়ানীবাজারের মেয়ে নাদিয়া হোসেন। তার এ জয়ের পর বাংলাদেশি তিন কন্যার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট জয়ের পর ব্রিটেনে নতুন আরেকটি রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশি এই নারী।

নাদিয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ব্রিটেনে। লুটনে কেটেছে নাদিয়ার শৈশব ও কৈশোর। তার স্বামী আবদাল একজন কারিগরি ব্যবস্থাপক। বর্তমানে স্বামী সন্তান নিয়ে উত্তর ইংল্যান্ডের লিডসে বসবাস করলেও অধিকাংশ সময়ই থাকেন লুটনে।

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশি সংবাদিক মুনজের আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃটেনের লুটন শহরের চালনি গার্লস হাইস্কুলে অধ্যয়নকালে নাদিয়া কেক ও নানা ধরনের পিঠা পুলি বানাতেন। তিন সন্তানের জননী নাদিয়া এ জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তার বাবা সিলেটের বিয়ানীবাজারের মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার জয়ে মোহাম্মদপুরে বয়ে যাচ্ছে বেশ আনন্দের জোয়ার।

বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতা ‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অব’র ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া হোসেইন। শুধু অংশ গ্রহণের মধ্যে তিনি সীমাবদ্ধ থাকেননি, তিনি ওই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করেছেন।

বিবিসি-১ এর ‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অব’ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া নাদিয়ার ভক্ত শুধু বাঙালি কমিউনিটি বা ব্রিটিশ ভোজন রসিকরা এমনটা ভাবলে ভুল করবেন। খোদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও এখন নাদিয়া’র একজন ভক্ত। ব্রিটেনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে নাদিয়ার জন্য শুভকামনা জানিয়ে মন্তব্যও করেছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘একজনই জিতবে, সে নাদিয়া। কারণ তীব্র চাপের মধ্যেও সে শান্ত থাকতে পারে’।

এছাড়া অনুষ্ঠানের কতটা জনপ্রিয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যকলাপেই তা বোঝা যায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দলের কনফারেন্সে বক্তব্য দেয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি ‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অব’ প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব উপভোগ করাও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কয়েক মিলিয়ন দর্শকের সঙ্গে নিজ পরিবার সদস্যদের নিয়ে তিনি নিয়মিতই টিভিতে দেখেছেন অনুষ্ঠানটি। মধ্যাহ্নের আগে ছেলেমেয়েদের টেলিভিশন দেখা নিষেধ হলেও ‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অব’ এর কারণে এই নিষেধাজ্ঞাও শিথিলও করেছিলেন ডেভিড ক্যামেরন।

Developed by: