স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যটি হেনরি, মিচেল ম্যাকক্লেনাগানের দারুণ বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষেই নিউ জিল্যান্ডের জয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর মার্টিন গাপটিলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অতিথিদের ১০ উইকেটে হারিয়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।
সোমবার হ্যাগলি ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৭ ওভার ৪ বলে ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এটি তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন রান। মাত্র ৮ ওভার ৪ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউ জিল্যান্ড।
ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রীতিমত খুনে মেজাজে ছিলেন গাপটিল। টম ল্যাথামের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১১৮ রানের জুটিতে প্রায় শতকই পেয়ে যাচ্ছিলেন। মাত্র ৩০ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংসে অতিথিদের চোখের জল নাকের জল এক করে ছেড়েছেন তিনি।
৯টি চার ও ৮ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতকে পৌঁছনোর রেকর্ড গড়েন গাপটিল।
১৭ বলে অর্ধশতক করেন গাপটিল। এক সময় ১২ বলে ৪৬ ছিল তার! এবি ডি ভিলিয়ার্সের বিশ্ব রেকর্ড (১৬ বলে অর্ধশতক) ভাঙার সুযোগটা তাই হারিয়েছেন বলা যায়। তবে ম্যাককালামকে (১৮) পেছনে ফেলে নিউ জিল্যান্ডের দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড ঠিকই গড়েছেন তিনি।
১৭ রানে অপরাজিত থাকেন অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ল্যাথাম।
২৫০ বল হাতে রেখে জেতে নিউ জিল্যান্ড। বল অব্যবহৃত রাখার দিক থেকে এটি ওয়ানডেতে সপ্তম বড় জয়। প্রথম দল হিসেবে নিউ জিল্যান্ড তিন বার ২৫০ বা তার বেশি বল হাতে রেখে জিতল। আর এর প্রতিবারই তারা জেতে ১০ উইকেটে।
গাপটিল ঝড়ে ওভার প্রতি ১৪.১৬ করে রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। ওয়ানডেতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান রেট। ওয়ানডের সর্বোচ্চ চারটি রান রেটই কিউইদের দখলে।
এর আগে হেনরি, ম্যাকক্লেনাগানের মারাত্মক বোলিংয়ে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেটে হারানো শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ কোনোমতে একশ’ পার হয়। ২০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কেউই। পাঁচ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুলেও তার কেউ ২০ পর্যন্ত যেতে পারেননি।
সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে নুয়ান কুলাসেকারার ব্যাট থেকে।
৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার হেনরি। ম্যাকক্লেনাগান ৩ উইকেট নেন ৩২ রানে।