দেশে ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি যে কোনো মূল্যে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার অনুষ্ঠান প্রতিহত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার মাঠের পবিত্রতা রক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী ওলামা লীগ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন সমমনা সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এমন দাবি জানিয়েছে ওলামা লীগ।
বক্তারা আরো বলেন, ‘ভ্যালেন্টাইন ডে তথা বেহায়াপনা দিবস চালু করায় এ দিনে প্রকাশ্যে বেহায়াপনা, একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরা, সম্ভ্রমহরণে মত্ত হওয়া, মদ খাওয়া, নাচানাচি করা, হোটেলগুলোতে ডিজে পার্টি করা, নিজেদের বিবস্ত্রভাবে উপস্থাপন করাসহ হাজারো অশ্লীলতার মাধ্যমে আবহমানকালের বাঙালির পারিবারিক-সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা মুহাম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী বলেন, ‘সমাজে আবাধ অশ্লীলতার ব্যপকতা আরো ছড়িয়ে দিতে দেশ বিরোধী কুচক্রীরা ১৪ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যা অত্যান্ত হতাশাজনক।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘১৯৮৩ সালে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রথম আন্দোলন ও আত্মাহুতির দিন ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। এই দিনে নিহত হয়েছিলেন জয়নাল, জাফর, মোজাম্মেল আইয়ুবসহ নাম না জানা অনেকে। বিএনপি ক্রমাগত পচে যাওয়ায় কালের বিবর্তনে এই দিনটি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালন না করে খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা ড. শফিক রেহমান ১৯৯৩ সালে যায়যায়দিন প্রত্রিকার মাধ্যমে এ দেশে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করছে। খালেদা জিয়া মার্কা পোশাক ও বেহায়া সাজ-গোজ বাজারজাত করে তরুণ-তরুণীদের অশ্লীলতায় নিমজ্জিত করা হচ্ছে।’
অবিলম্বে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় মাহফুজ আনামকে গ্রেপ্তার, ‘ইসলাম ধর্ম ও সরকার বিরোধী’ প্রথম আলো এবং দি ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটি নিষিদ্ধেরও দাবি জানায় সংগঠনটি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সভাপতি মাওলানা নূর মুহাম্মদ আহাদ আলী সরকার, সম্মেলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দস সাত্তার, বঙ্গবন্ধু ওলামা ফউন্ডেশনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী প্রমুখ।