মিজান মোহাম্মদ : কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের যুব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের বোলারদের বোলিংতোপে ৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় নামিবিয়ার ইনিংস। মিরাজ-শাওন-আরিফের স্পিনজালে দিশেহারা নামিবিয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ডেভিন (১৯) ও লরেন্স (১৭) ছাড়া কেউই দুই অংকের কোঠায় যেতে পারেননি।
গ্রুপ সেরার লড়াই মাঠে নেমে স্বাগতিকদের যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় প্রতিপক্ষ নামিবিয়া।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ধাক্কাটা দিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এটনকে শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন তিনি। দলীয় ৬ রানের মাঠায় ওপেনারদের জুটি ভাঙার পরপরই দলীয় ১০ রানের মাথায় গ্রিন ফিরে যান রান আউটের শিকার হয়ে। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় শাওন গাজীর মায়াবি স্পিনে কাটা পড়লেন ওপেনার নিকো ডেভিন। দুই প্রান্তে স্পিন আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে নামিবিয়ার ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় উইকেটের ধাক্কা সামলাতে না চতুর্থ বারের মতো আঘাত হানেন অধিনায়ক মিরাজ। লিঙ্গেনকে এলবিডাব্লিউর ফাদে ফেলেন তিনি।
শাওনের দ্বিতীয় শিকার লিন্ডে ফেরেন দলীয় ৫১ রানের মাথায়। ব্যক্তিগত ৪ রান করেন তিনি। এরপর অধিনায়ক মিরাজ নিজেকে সরিয়া আরিফের হাতে বল দেন। প্রথম ওভারেই লরেন্সকে সরাসরি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তিনি। ৫৯ রানে নেই ৬ উইকেট।
রানের চাকা ৫৯-এর রেখেই সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে। ব্রিটসকে শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আরেক স্পিনার সাঈদ সরকার। এরপর ৬১ রানে ৮, ৬৪ রানে ৯ ও ৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায় নামিবিয়া।
সকালে টস জিতে বাংলাদেশের দলনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান নামিবিয়াকে।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: মেহেদি হাসান মিরাজ, পিনাক ঘোষ, জয়রাজ শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, জাকির হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, সাঈদ সরকার, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, সালেহ আহমেদ শাওন।
নামিবিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দল: লফটি এটন, নিকো ডেভিন, জ্যান গ্রিন, লোহান লরেন্স, জারগেন লিন্ডে, মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন, কার্ল ব্রিটস, অলিভিয়ার, ফার্নকুইচ রাউটেনবাচ।