রমিজ রাজা। যিনি বিশ্বজুড়ে নোংরা মনের ধারাভাষ্যকার হিসেবে নিজের একটা জায়গা করে নিয়েছেন! বিদেশি থেকে শুরু করে স্বদেশী ক্রিকেটারদের সম্পর্কেও নোংরা মন্তব্য করতে তার জুড়ি মেলা ভার। বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে কথা বলতে গেলেই তার সুর দ্বিগুণ কর্কশ হয়ে যায়। যেমনটা হচ্ছে পাকিস্তান সুপার লিগে। তামিম-সাকিবের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।
রমিজ এমন কাণ্ড তার কমেন্ট্রি ক্যারিয়ারে বহুবার করেছেন। পড়ুন তেমন কিছু কাহিনী:
১. একবার ধারাভাষ্য দেয়ার সময় কনডমের বিজ্ঞাপনের স্লোগান আওড়ান রমিজ। লজ্জার মাথা খেয়ে বলেন, ‘এই দুজন দেখালো কীভাবে নিরাপদে করতে হয়। কীভাবে নিরাপদে করতে হয় তার সত্যিকারের উদাহরণ এই জুটি!’
২.স্বদেশী হাফিজ এবং জামশেদকে নিয়ে একবার নিকৃষ্টতম মন্তব্য করেন ওই রমিজ। দুজনের ধীরগতির জুটির বর্ণনা দিতে যেয়ে বলেন, ‘হাফিজ আলতো করে ঠেলেছে। তার সঙ্গী জামশেদ আজ খুশি হয়েছে!’
৩. মিসবাহ-উল হককে নিয়ে একবার উল্টা-পাল্টা কথা বলে ঝামেলায় পড়েন। সেবার তার মন্তব্য ছিল, ‘মিসবাহকে বাইরে থেকে শান্ত মনে হচ্ছে। ভেতরেরটার অবস্থা জানি না!’ সমালোচকরা দাবি করেন, রমিজ ওই দিন মিসবাহকে অবজ্ঞা করতে যেয়ে ‘বিশেষ অঙ্গের’ কথা বলেন।
৪. কেউ চার মারলে আর কমেন্ট্রিবক্সে কোনো মহিলা থাকলে রমিজ নাকি প্রায়ই বলেন, ‘নরম বলকে জোরে আঘাত করা হয়েছে!’
৫. বিশ্বক্রিকেটের অপাদমস্তক ভদ্রলোক বলে পরিচিত শচীন টেন্ডুলকারও রমিজের হাত থেকে রেহাই পাননি। শচীনের চুলের স্টাইলকে কটাক্ষ করে রমিজ একদিন বলেছিলেন, ‘মডেলিংয়ের জন্য তার চুলের স্টাইল অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।’