সিলেটে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ, বেকার পাঁচ হাজার শ্রমিক

সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কোয়ারিগুলো থেকে খনিজ সম্পদ (বালু, পাথর, চুনাপাথর) উত্তোলনে সে দেশের উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পাথর পরিবহন, ভাঙা, লোড ও আনলোডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারও রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে আইনি জটিলতা নিরসন করে শিগগিরই পাথর রপ্তানি শুরু হবে— মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন সিলেটের আমদানিকারকরা।

আমদানিকারক সূত্রে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মেঘালয়ের উচ্চ আদালত কোয়ারিগুলো থেকে সব ধরনের খনিজ সম্পদ উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ জন্য গত বছরের ১২ আগস্ট থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের বিনিয়োগও আটকা পড়ে। তামাবিল দিয়ে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশের অভ্যন্তরে পাথর ও চুনাপাথর সংকট দেখা দেয়। তামাবিল দিয়ে আমদানি করা পাথর দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে এবং চুনাপাথর সিমেন্ট শিল্পে ব্যবহার হয়ে থাকে।

আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিলেটের স্থানীয় কোয়ারি থেকে উত্তোলিত পাথরের মূল্য দিন দিন বাড়তে থাকে। এ ছাড়া পাথর পরিবহন, ভাঙা, লোড ও আনলোডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন।

তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু জানান, ভারতের আইনি জটিলতায় প্রায় ছয় মাস ধরে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। কয়েক দিন আগে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সিলেট সফরে এসে দুই সপ্তাহের মধ্যে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ আশ্বাসের পর এক সপ্তাহ সময় পার হয়ে গেছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/শাদিআচৌ/ইআ

Developed by: