সিলেট মহানগর বিএনপির ‘সিংহাসনে’ ইতোপূর্বে একাধিকবার বসেছেন তিনি। দায়িত্ব পালনে নিজের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি না থাকলেও তাকে বাদ দিয়ে একবাব অন্যজনকে করা হয় সভাপতি। তবে সময়ের ব্যবধানে আবারও তিনি মহানগর বিএনপির ওই শীর্ষপদে বসেন ‘আহবায়ক’ হিসেবে হিসেবে। আর এবার ব্যালটের নির্বাচনে সংগঠনের শীর্ষ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চান সিলেট বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী।
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে রোববার। সম্মেলনে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন দলটির জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতৃত্ব।
মহানগর সভাপতি পদে এবার প্রার্থী হয়েছেন ডা. শাহরিয়ার হোসেন। তার সাথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির দু’সদস্য নাসিম হোসাইন ও আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকি।
ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ২০০৭-০৮ সালে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তিতে তাকে বাদ দিয়েই মহানগর সভাপতি করা হয় এমএ হককে। তবে ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর ফের মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পান শাহরিয়ার। বর্তমানে তার নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে সিলেট মহানগর বিএনপি।
তবে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতর আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই পুলিশের খাঁচায় বন্দি হন ডা. শাহরিয়ার। ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর নগরীর চৌহাট্টা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবরণ করার পর তিনি ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী দলীয় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিবৃতি দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ বিএনপির বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
এবার সভাপতি পদের প্রার্থী হওয়া ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী অনেকটা অগ্নিপরীক্ষার মুখে রয়েছেন বলে নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে জানান যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট মহানগর ও জেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, ডা. শাহরিয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সাথে যুক্ত। তবে যখনই দলের দুঃসময় এসেছে তখন তিনি নিজেকে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে দূরে রেখেছেন। নিজের ঘনিষ্ট কিছু ব্যক্তির সাথেই তিনি যোগাযোগ রাখতেন। তাই এবার মহানগর সভাপতি পদে বিজয়ী হতে থাকে ঘাম ঝরাতে হবে।
তবে এ ব্যাপারে ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী সিলেটভিউ২৪ডটকমকে বলেন, ‘আমাকে সিলেট মহানগরীর আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। সেই দায়িত্ব আমি সঠিকভাবে পালন করেছি।’
সিলেট বিএনপির সম্মেলনকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপির ওই নেতা বলেন, ‘দলের মধ্যে যত বিভক্তি ছিলো এখন আর সেটা নেই। সকল দ্বদ্বের অবসান ঘটিয়ে আমরা এখন সুন্দরভাবে সম্মেলন সম্পন্ন করতে চাই।
আহ্বায়ক হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় এবার তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন উল্লেখ করে ডা. শাহরিয়ার বলেন, আমার বিশ্বাস নেতাকর্মীরা আমাকে সমর্থন দেবে। আর আমি বিজয়ী হলে সিলেট মহানগর বিএনপিকে আরো সুসংগঠিত করব। এছাড়াও অঙ্গ সংগঠনগুলো দ্বন্দ্ব-কোন্দল মুক্ত কওে নতুন ভাবে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করব।-কেআরএস/এএস

