ঘুমুতে দেয় না অবিবাহিত সুখ
দক্ষিণের জানালা খোলা রাখি
বিবিধ মায়ারা দরজা খুলতে চায়
আকাশ দেখি, আকাশে তাকাই।
রাতের নিরবতা এতো জ্বালা দেয়!
প্রকাশিত হতে চায় বুকের মুখোশ
ফেরারী যাতনারা কলিংবেল টিপে
ভয়ের কাঁথা আরো জড়িয়ে ধরি।
পরকীয়া উস্কানি হৃদয়ের পাড়ায়
সয়ে যাই নিরবে কার মুখ চেয়ে?
বিশ্বাসের নৌকা বেধে রেখেছি ঘাটে
এলোমেলো নদীতে ভাসিয়ে দেইনি।
প্রেরণা
ব্যথা স্বপ্ন যখন পরস্পর
দাড়াও এসে সপ্নের পাশাপাশি
মানচিএটা মেলে জীবনের
আঁকাবাঁকা শেখাও অলিগলি।
তুমি হলে কবিতার এক বই
মন খারাপে নিপুণ আবৃত্তি
অস্তিরবেলার ইতিবাচক ভাবনা,
প্রেরণাতে স্বচছল দৃশ্যায়ন।
জ্যোৎস্নায় পুড়ি যখন মধ্য রাতে
শেখাও তুমি ভালোবাসার গান।
বাকি রয়ে গেছে
কোথাও বাকি রয়ে গেছে কোথাও
নামহীন মমতার মোড়
সভ্যতার মোড়কে লেপ্টে থাকা
সভ্যতা থেকে বহুদূর।
আচ্ছন্ন অন্ধকার বুকের ভেতর
কিভাবে ডাকি আলোর ডাক
নষ্টের সড়ক বাক নেয় যেদিকে
নিচ্ছি সেদিকে আমিও বাক।
কোথাও বাকি রয়ে গেছে কোথাও
পথহীন মানুষের মোড়
মানুষ মোড়কে লেপ্টে থাকা
মানুষের থেকে বহুদূর।
তবু বেঁচে রই
মনে হয় কেনো এতো মরে যাই
তবু বেঁচে রই আহা বেঁচে রই,
হতাশার শীতে ভুগতে ভুগতে
সারাদিন –
দীর্ঘনিঃশ্বাসের কাঁথা জরিয়ে পড়ে রই।
এই চোখ আহা মায়াবী চোখ
দেখেও দেখি না
হৃদয়ের ক্যনভাসে আঁকা হয়ে যায়,
মুছে ফেলি, আঁকি না।
বোধের মমি গলে গলে পড়ে যায়
যাতনার পাশাপাশি হেটে
স্বপ্নের বুকে ব্যথা শুধু বাড়ে
ভুলের পাঠগুলো ঘেটে।
মনে হয় কেনো এতো মরে যাই
পাতকের ভালোবাসা সয় না
আবীর নিরুদ্দেশ হেটেই চলে
চেনা পথে আর রয় না ….