কামিনী
সনাতন পথ ধরে তুমি এলে ফিরে ,
নিকুঞ্জ কাননে-
তপোবন কেঁপে কেঁপে ওঠে, নূপুর ঝংকারে ।
মহা ঋষি মুখ তুলে চায় ,
ধ্যান ভেঙে বলে কে এলে অবেলায় ।
সে বলে ,আমি কামিনি গো স্বামী ,
জটাধর মৃদুহাস্যে বলেন,ও কামিনী তুমি ।
কি নিতে চাও আজ বল্,
নাগের মনি ,না কি হলাহল ;
যদি হলাহল চাও
এক্ষুণি নিতে পার,
না হয় নিজের পথ ধর ,
আর যদি মনি চাও
৩৬ বছর তপস্যায়
তপোবনে থেকে যাও ।
কথা শুনে কামিনী উঠিল চমকিয়া ,
তা তা থৈ থৈ ছন্দে নাচে তপোবন জুড়িয়া ,
পাতাল হতে উর্ধ্বাকাশে যেন বিজুলি তড়িৎ ,
ঋষির বনতল পুড়িবে কি হায়
বড় সাধনার বন চিরহরিৎ ।
না না বলে মহাঋষি জ্বেলে তপস্যার মশাল ,
নিজেকে পুড়িয়ে করিল ভস্ম
নিজেই ছিড়িল তার ভবের শৃঙ্খল ।
বিফল মনরথ নিয়ে কামিনী দেবী ,
বলে সখা,আমার কি একার দুষ ছিল সবি ,
তুমিই ত তুলে ছিলে পঞ্চশরের সুর ,
সুরে সুরে হয়েছে সখা কতরাত ভোর ,
এখন কেন একা ফেলে,চলে যেতে চাও ,
একটু দাঁড়াও আমিও আসি,তুমি যেথা যাও ।।
রক্তের ঢেউ
এবং প্রতিউত্তর আসে ,
হে মানুষ , তুমিতো দেখার কথা ছিল –
সভ্যতার মিনার চুঁড়া ভেঙে ফেলে
তেড়ে আসা রক্তাক্ত ঢেউ ,
নিভিয়ে দেয় জীবন প্রদীপ ,এশিয়া বেবিলন
ইউরোপ আমেরকা আফ্রিকা
তুরস্ক কেনো আজ মৃত্যুদ্বীপ !
ভাগ্যের তীর কখনো তেড়ে আসেনা ছুটে ,
মিহিন বাতাসের বুক ছিড়ে,যদি কোন তীরন্দাজ
নিশানা না লাগায়,অসহায় সময়ের পিটে !
জীবন তরী যাচ্ছে চলে মোহনায় ,প্রতি মুহুর্তে;
জলও তার গতিপথ নিজেই খোঁজে ,
মানুষ কিন্তু মোহগ্রস্থ , পোষা কুকুরটাও সজাগ
নিরাপত্তায় ,তার দ্বায়িত্ব বুঝে ;
হে মানব সত্বা , তুমি এখনো নখ দর্পণে স্রষ্টার ,
তোমার আত্মাতে যদিও তোমার দখল কিন্তু –
তা সময়ের খোরাক মাত্র ,
নিঃশ্বাস উড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছো অজানায়-
অপেক্ষায় আছে মহাকাল অন্য এক অধ্যায় ।
অচ্ছুত সত্য
হৃদয়ের দর্পণে অস্পষ্ট একটি মুখ
কখনো ভেসে উঠে,আবার হারিয়ে যায় অন্ধকারে ,
আলোহীন জীবন ত,তাই টাহর করতে পারিনা
আজকাল মনেহয় রেটিনাতে গ্রহণ লেগেছে চিরতরে ।
বুকের মরুদ্যানে লু,হাওয়ার তান্তব লীলা
দূরে বহুদূরে ঘুর্ণায়মান অবয়ব,বায়ুর সুড়ঙ্গ পথে
পিচকারি দিয়ে ফেনায়িত রক্তের বুঁদবুঁদ নিঃসরণ
তৃষ্ণায় নেমে আসে জিহ্বা রক্তের সরোবরে কোনমতে ।
তবে কি রক্তই একমাত্র পানিয়,জঠরের ঋন
ভুলে গেছি সেই কবে,তালিয়ার তালি দেই মানবতা ভুলে ,
অচ্ছুত সত্যকে জানার ইচ্ছা ছিল প্রখর কিন্তু না
আর হবে না মনে হয়,সত্যকে রেখেছি তাসকায় তুলে ।