কাজল রশীদ‘র একগুচ্ছ কবিতা

k
দুঃখাভিভূত

ঘন কালো মেঘ দেখে
এক শিথিল হাওয়ায়,
জড়িয়ে আছে
সোনারাঙ্গা মায়াবী মন।
নুয়ে আছে
কুমারী চাঁপা মালিহীন বাগানে।
ধুলিভরা পাতায় লেগেছে
উড়াল হাওয়া।
জমিন কাঁদে চৈত্রে
মেঘ উড়ে বিমর্ষে
পাংশুল তীরে অভিভূত পাখি
আঁধার রাতের যাত্রী
পার হই না গোধূলি লগ্ন।

অলীক নগর

ভোরে পাড়ি দিলাম উত্তাল ঢেউ
দুপুরে বৃষ্টির নোনাজল
সন্ধ্যায় দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু পাখি
সমুদ্র তীরে
ঢেউয়ের গুঞ্জন থেকে জল তুলবে বলে ।
রাত্রির রাগিণী…
দীর্ঘ সময়ের ক্লান্তিময় দুপুর শুয়ে আছে কাগজের পানসীতে ।
জমকালো তীর, সমুদ্রে মাতাল ঢেউ, উদভ্রান্ত বাঁক
ভীত শিরে দাঁড়িয়ে আছে শ্যামলা পাখীর ঝাঁক ।

এখানে নোঙর ফেলা যাবে…?

ধারণা গুচ্ছ
ক,
জ্যামিতিক নিয়ম তুমি মান না
সমীহ করো না বিবাগী সন্ধ্যার
অথচ নিজেকে সঁপ আর
ঢেউ তুলো কান্দার।

খ,
তোমার লজ্জা ঢাকতে গিয়ে
লাজের চাদর খুলে দিলাম
অথচ তোমার সৌভিক উপহার
হারানো রাত্রিতে পেলাম।

গ,
শূন্যেতে জন্ম যার বদ্ধ কুঠিরে
দশক বিভাজন করো কবিতার ফিতায়
অথচ অতীতের পা-চাটো
মননের পূরক সমতায়।

ঘ,
তুমি বিভক্ত করো শীর্ণ কুঠির
সওদা করো নিভৃত চুলা
অথচ বিত্ত-বৈভবের সৌখীন খেলায়
নাঙ্গা হলো বেলা ।

বেআব্রু সময়

নিরন্তর পেরেক মারে
বেআব্রু সময়
কর্ণের কথা শুনে কয়জন।

টিকটিকদের শহরে জলখোর
গঙ্গাজল ছিটিয়ে রাখে
এ কোন মহাজন ?

খ,
পরস্ত্রীর দিকে ঝুঁকে থাকা বিকেল
বেআব্রু গরম হাওয়া তীব্রতা নিয়ে
লাটিমের মতো ঘুরছে… হাতে ভায়োলিন।

রমণী রাত জানে গর্তের ঠিকানা
জন্ম-দোষের কোন সীমানা নেই।

গ,
ক্যানভাসের রঙচঙ দ্যাখে
বেতবন কাপাচ্ছে লম্পট প্রাচীর
সময় কতটা বেআব্রু হলে
মেঠো কুমারী রক্তস্নাত হয়।

Developed by: