বৃটেনে দণ্ডিত আনজেম চৌধুরী

File photo dated 04/01/10 of Anjem Choudary from Islamic group Islam4UK outside the Palaces of Westminster in central London. Islam4UK has cancelled plans for an anti-war march through the town of Wootton Bassett which honours repatriated British soldiers. PRESS ASSOCIATION Photo. Issue date: Sunday January 10, 2010. See PA story DEFENCE March. Photo credit should read: Stefan Rousseau/PA Wire

লন্ডন, ১৮ আগষ্ট- বৃটেনের সবচেয়ে বিতর্কিত ও ‘ভাঁড়ামোপূর্ণ’ ইসলামী প্রচারক হিসেবে পরিচিত আনজেম চৌধুরীর কারাদণ্ড বৃটিশ গণমাধ্যমে বিরাট সাড়া জাগিয়েছে। লন্ডনের ওল্ড বেইলি কোর্টে তার বিরুদ্ধে আইএসকে সমর্থন ও তাতে যোগদানকারী ৫০০ বৃটিশ নাগরিকের সঙ্গে যোগসূত্র রক্ষা করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ইসলামের নামে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে বৃটেনের তুমুল আলোচিত মিস্টার চৌধুরী ও তার সহযোগী মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আদালত অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আনজেম চৌধুরী এর আগে বৃটেনের রানী এলিজাবেথকে বোরকা পরিধানের পরামর্শ দেন। তিনি মদ পানের দায়ে শরিয়া আইনমতে প্রকাশ্যে ৪০ দোররা মারার মতো শাস্তির প্রবর্তন দাবি করেন। এ ধরনের স্পর্শকাতর বক্তৃতা-বিবৃতির জন্য তিনি দীর্ঘদিন বৃটিশ মিডিয়া বিশেষ করে ট্যাবলয়েডগুলোর শিরোনামের খোরাক ছিলেন।

আনজেম চৌধুরীর বিরুদ্ধে নরহত্যা, বোমা বিস্ফোরণ, নাশকতার পরিকল্পনাসহ অন্তত ১৫ ধরনের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। ‘হোপ নট হেইট’ নামের একটি সংস্থার মতে শুধু লন্ডনেই নয়, তিনি ও তার সহযোগীরা বিশ্বব্যাপী অন্তত ৩০টি সন্ত্রাসী হামলা ও এর চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু আদালতে তিনি নিজেকে নির্দোষ এবং বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেন।

চার সন্তানের জনক ৪৯ বছর বয়স্ক আনজেম চৌধুরীর তরুণ বয়সেই রেডিক্যালাইজেশনের সূচনা ঘটে। ক্রমশ তিনি চিন্তা-চেতনায় ভয়াল ও সহিংস হয়ে উঠেন। অথচ তার যৌবনের শুরুতে যখন তিনি বন্ধুদের কাছে অ্যান্ডি নামে পরিচিত ছিলেন, তখন সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিষয়ে অধ্যয়নের ভর্তি পরীক্ষায় তিনি নিজেকে জয়ী করেছিলেন।

Developed by: