গাজিপুরে টঙ্গিতে টাম্পাকো ফয়েলসে অগ্নিকান্ডে নিহত ৬ সিলেটীর মধ্যে রোববার ৫ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। একজনের লাশের সন্ধান এখনো মেলেনি বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।নিহতরা হলেন- গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামের মজর আলীর পুত্র আব্দুর রহিম (৫০), তমজিদ আলীর পুত্র সাইদুর রহমান (৪৮), মৃত তজম্মুল আলীর পুত্র ওয়ালী হোসেন কুটি মিয়া (৩২), একই এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র এনামুল হক এনাম (৩৫), কানিশাইল গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র রেজওয়ান জানা গেছে, রোববার বেলা ২টায় সুন্দিশাইল গ্রামের নিহত ৪ জনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজাশেষে তাদেরকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজ নাজমুল ইসলাম এবং পৌর মেয়র সিরাজুল জব্বার চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রোববার সকালে নিহতদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে গোলাপগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নিহত মিজানের বাসা সিলেট সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন বলেন, মিজান ওই কারখানার মেশিনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলো। রোববার সকাল ১১টায় নামাজে জানাজাশেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
নিহত রেদওয়ানের সহোদর মো. শানু মিয়া বলেন, তার ভাই ওই ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। এখনও তার মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে না। ৭ ভাইয়ের মধ্যে রেদওয়ানের অবস্থান ৫। তবে ঘটনাটি এখনও তাদের বাবা-মাকে বিষয়টি জানানো হয়নি। তাদের একটাই দাবি অন্তত ভাইয়ের মরদেহটা যেন পাওয়া যায়।
গত শনিবার টাম্পাকো ফয়েলসে বিস্ফোরণে ভবন ধসে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন সিলেটের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

