বাংলা একাডেমী সংস্কারসহ ৪দফা দাবী জানিয়েছে অনলাইন সাহিত্য গ্রুপ”বৃষ্টি ভেজা গোধুলির রঙ সাহিত্যাঙ্গণ”

মিজান মোহাম্মদঃ দেশের জনপ্রিয় অনলাইন সাহিত্য গ্রুপ”বৃষ্টি ভেজা গোধুলির রঙ সাহিত্যাঙ্গণ” দেশের সমস্ত লেখক ও পাঠকদের পক্ষে, বাংলাদেশ সরকারের কাছে বাংলা একাডেমি সংস্করণসহ চার দফা দাবি জানিয়ে এক (বিবৃতি) দিয়েছেনঃ
গ্রুপের পক্ষে সভাপতি তনুলতা মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে,যে উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন তার সাথে আমাদের “বৃষ্টি ভেজা গোধূলির রঙ-সাহিত্যাঙ্গন” একাত্মতা পোষণ করে বাংলা সাহিত্যের ধারাকে আধুনিক থেকে আধুনিকতর করার দাবীতে,বাংলাদেশ সরকারের কাছে কিছু যুক্তিসঙ্গত দাবী উপস্থাপন করছিঃ
দেশের সীমিত সম্পদের প্রতি বিশেষ বিবেচনা করে আমাদের এই প্রস্তাবনা,যা সহজেই বাস্তবায়ন সম্ভব।কারণ এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকারের নতুন করে অর্থ বরাদ্ধের প্রয়োজন নেই।কোন স্থাপনা তৈরীর প্রয়োজন হবেনা।শুধু সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা সরকারের আমরা শুধু ডিজিটাল ক্ষেত্রকে নির্দেশ করেছি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী বছর (২০১৬) থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে(৩০ লক্ষ) ট্যাবলেট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সরকার। মাধ্যমিকে ‘এক শিক্ষার্থী এক ট্যাব’ নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ওই শ্রেণিতে প্রতিবছরই ট্যাব দেওয়া হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ২০ মে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম উদ্বোধন করেন। শিক্ষকদের অনেকেই এখন ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করছেন। যা দিয়ে ট্যাব পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার কর্মসূচির অংশ হিসাবে ‘ইনফো সরকার-২’ নামের একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে,যা সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি বাস্তবায়ন সম্পন্ন করবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ডিজিটাল পদ্ধতির সুফল আমাদের দেখাতে শুরু করেছেন। আর তাই আমরা নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার উদ্যোগ নিতে চাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গিকার আমাদের নতুন প্রজন্মকে বাস্তব সম্মত চিন্তা করার খোরাক যুগিয়েছে।
আমরা ভাবতে শিখছি সেই দিন আর বেশী দূরে নয় যে, কবি ও সাহিত্যিক গণ তাদের সাহিত্যকর্ম প্রকাশের জন্য সংবাদপত্র ও প্রকাশনী সংস্থা গুলোর পিছনে ছুটাছুটি করা বন্ধ করবেন।
আমরা বিশ্বাস করি খুব অচিরেই সাহিত্য কর্ম আর বই হিসাবে থাকবেনা। সেগুলো ডিজিটাল রূপ সিডি ও মেমোরী কার্ডের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে।
উল্লেখ্য সংবাদ পত্র গুলো ইতিমধ্যেই ডিজিটাল কার্যক্রম চালু করেছে। দেশের উন্মুক্ত চিন্তা চেতনার ধারক বাহক দেশের কবি সাহিত্যিক। আর তাই তাদের লেখার স্বাধীনতা ও তা প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আগে জরুরী। যদি তা দিতে পারে একমাত্র ডিজিটাল মাধ্যম। সে কথা মাথায় রেখে আমরা কিছু দাবীর কথা তুলে ধরেছি।যা বাস্তবায়িত হলে কবি সাহিত্যিকদের কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবেনা।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলা সাহিত্যের অগ্রযাত্রা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে,নিম্নে আমরা আমাদের দাবী সমূহ তুলে ধরলামঃ
আমাদের দাবী সমূহঃ
১// বাংলা একাডেমির আমূল সংস্কার করে স্বায়ত্তশাসন, ডিজিটাল পদ্ধতি চালু, সারা দেশে শাখা খুলে সম্প্রসারণ (নতুন কোন ভবন নয়, সারাদেশের পাবলিক লাইব্রেরি গুলোতে শাখা হিসাবে ঘোষণা)
এবং দেশের বরেণ্য কবি সাহিত্যিক দ্বারা সেন্ডিকেট এর মাধ্যমে পরিচালনা করা।
২// অনলাইন সাহিত্য গ্রুপ গুলোকে নীতিমালার মাধ্যমে সংস্কারিত বাংলা একাডেমীর নিয়ন্ত্রণে এনে সমস্ত কবি সাহিত্যিক যেনো একই প্লাটফর্মে লিখতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া।
৩// ইন্টারনেট সেলের মাধ্যমে সকল সাহিত্যকর্ম পর্যবেক্ষণ ও সাহিত্য চোরদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করা।
৪// প্রতি মাসে তৃনমূল থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে কবি সাহিত্যিকদের স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা।

Developed by: