মিজান মোহাম্মাদঃ “হায় হোসেন, হায় হোসেন”-ধ্বনিতে শোকাবহ হয়ে ওঠে প্রতিটি মোকাম। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় প্রতি বছরের ন্যায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে। মুসলিম বিশ্বে কারবালার শোকাবহ ঘটনাকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়। আশুরা অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রেরণার উৎস হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।
এছাড়াও ১০ মহরমে হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের জুলুম থেকে পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন তাঁর অনুসারীদের নিয়ে নীলনদ পার হয়ে। তাঁদের পিছু নেওয়া ফেরাউন সদলবলে নীলনদে ডুবে যায়। এমন আরও অনেক তাৎপর্যময় ঘটনা ঘটেছিল এই দিনে।
বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এ দিনটি একদিকে যেমন শোকের, তেমনি হত্যা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার চেতনায় উজ্জ্বল। তবে, মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল কারবালা প্রান্তরে। কারবালার শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি হুসাইনী দালান, পিটুয়া হুসাইনী মোকান, পূর্ব তিমিরপুর ও পশ্চিম তিমিরপুর হুসাইনী মোকাম, ছোট ভাকৈর হোসাইনী মোকামসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে জারী মাতম ও তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও নানা পেশার নারী-পুরুষের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পবিত্র আশুরা উদযাপন করেছে স্ব স্ব এলাকার মানুষ।
এদিকে, পবিত্র মহরম মাস শুরুর পর থেকেই উপজেলার কুর্শি গ্রামের হোসাইনী দালানে ভক্তরা জারী মাতম করে আসছিলো। জারী মাতম দেখার জন্য বিভিন্ন গ্রাম থেকে আত্মীয়স্বজনসহ নানা পেশার লোকজন কুর্শি গ্রামে জড়ো হয়।
পবিত্র আশুরার দিনে কুর্শি হোসাইনী দালান থেকে আলাদা আলাদা দুটি তাজিয়া মিছিল বের করা হয় এবং বেশ কয়েকটি গরু জবাই করে শিরনী বিতরণ করা হয়।
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক, জপ্রতিনিধি ও নানা পেশার লোকজনের উপস্থিতি ছিলো নজর কাড়ার মতো।