দীর্ঘ ছয় বছর পর ভবনের উদ্বোধন করায় আদালতের আইনজীবীদের মাঝে উচ্ছাস বিরাজ করছে। ভবনটি নির্মাণের ফলে ৫ নম্বর বারের আইনজীবীদের পেশাগত কার্যক্রমের দুর্ভোগ যেমন কমবে, তেমন বিচার প্রার্থী লোকজনও এর সুফল ভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, উদ্বোধন উপলক্ষে আদালত প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির সভাপতি একেএম শমিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেট আদালত নিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিমাখা মূহুর্তের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, স্কুল জীবনে প্রায়শই আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সভায় প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন তারা। সেসময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে অন্যরকম উচ্ছাস বিরাজ করত। মানসিক সুস্থ্যতা ও রুচির বিকাশে এসবের দরকার। তাই তিনি সমিতির নেতৃবৃন্দকে আগের সেই কার্যক্রম পুনরুদ্ধার অথবা চলমান রাখার আহ্বান জানান।
অর্থমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, সিলেটের আইনজীবী সমিতি শত বছরের পুরনো একটি সমিতি। বৃটিশ শাসনের সময়ে সিলেটকে আসামের সাথে যুক্ত করা হয়। তবে শর্ত ছিল এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থায় কলকাতার প্রাধান্য থাকবে তবে বিচার ব্যবস্থা চলবে বাংলার আইনে। অর্থ্যা আসামের কোট এখানে একদিনের জন্যও বসেনি।
সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. জোবায়ের বখত জুবেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারী, সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একেএম আবদুল মুমেন ও সিলেট গণপূর্ত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম।
গণপূর্ত বিভাগের তত্বাবধানে ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় ধরে পাঁচ তলা বিশিষ্ট এই ভবনের প্রতি তলায় রয়েছে বার হল, এডভোকেট চেম্বার, লিফট, বাথরুম, ইউরিনাল ও টয়লেট। ভবনের সর্বমোট পরিসর ২১ হাজার ৮শ ৮৩ দশমিক ৭২ বর্গফুট।