আফগানিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে ১৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।প্রায় দেড় বছরের বেশী সময়ের পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।ভেন্যুটির প্রত্যাবর্তন বলতে হবে শুভ হয়েছে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায় আফগানিস্তানের কাপ্তান নাবিদ উল হক। টস হেরে ব্যাট করা বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২২২ রান করে। এর জবাবে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসের সূচনা করেন টাইগার অধিনায়ক সাইফ হাসান ও পিনাক ঘোষ। তাদের দুজনের হাত ধরে বাংলাদেশ পায় উড়ন্ত সূচনা। ৭ অভারে দলীয় সংগ্রহ ৩৫রানের মাত্রায় ১৬ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে ইউসুফের বলে নাবিদের হাতে ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। দলীয় ৬৯ রানে পিনাক (২৩) ও আফিফকে (১৯) হারালে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। রাকিব ব্যাক্তিগত ৫ রান করে মুজিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শংকায় পড়ে দল। তবে তৌহিদ রূদয় ও মাহিদুলের ব্যাটে আশার আলো দেখে বাংলাদেশ।এই দুজন দলকে ১৫৯ রান পর্যন্ত নিয়ে যান।নাবিদের বলে উইকেট রক্ষক হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ম্যাচের একমাত্র ফিফটি আসে তৌহিদ রূদয় ব্যাট থেকে। ৮৫ বলে ৫২ রানের ইনিংসে চার ছিলো চারটি। মাহিদুল ৩৫ রানে আউট হলে ৭ উইকেটে ১৬৫ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ।তখন ২০০ পার করতে পারবে কি না আশঙ্কা জাগে।তবে শেষের দিকে অনিকের ২৭ এবং রবিউলের ১৮ রানের কল্যানে ৫০ অভার শেষে ২২২ রান সংগ্রহ করে।
আফগানিস্তান যুবাদের হয়ে মুজিবুর ইসলাম ১০ ওভারে ১ মেডেনে ২২ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন। দুটি উইকেট নেন তারেক স্ট্রানিকজাই।
২২৩ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানেরা তেমন সুবিধা করে খেলতে পারেনি বাংলাদেশের বোলারদেরকে। শুরু থেকে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান।কাজী অনিক ও নাঈমের হাসানের বোলিংয়ে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পন করে আফগান এক একজন ব্যাটসম্যান। নাবিদ ও তারেকের উদ্বোধনী জুটি দলীয় ১৬ রান পর্যন্ত স্থায়ী হয়।কাজী অনিকের বলে রাকিবের বলে তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৮ বলে ৬ রান করেন নাবিদ।এরপর দলীয় ৩৪ রানে প্যাভিলিয়নে একে একে ফিরে যান পারভেজ ,আব্দুল রসূল ও তারেক।শেষের দিকের ব্যাটম্যানেরা বলার মতো রান করতে না পারলে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ দলের পক্ষে কাজী অনিক ৪টি, নাইম হাসান ৩টি এবং রবিউল ও মনিরুল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।