এক বছরেও স্মৃতিভ্রম কাটেনি সেই খাদিজার

kadejaসিলেট, ০২ অক্টোবর- স্মৃতিশক্তি এখনো ফেরেনি পুরোপুরি, মাথার ব্যথা সারানোর একটি ট্যাবলেট নিয়মিত খেতে হয় তাকে। স্মৃতিভ্রমের কারণে প্রায়শই ভুলে যান তিনি। আর এতে বাড়ে ব্যথা, প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয় তার। ব্যথায় কুঁকড়ে যেতে হয়। এছাড়া শরীরের বাম অংশ বিশেষ করে হাত ও পায়ের যন্ত্রণা এখনো ভোগায়। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো সময় লাগবে তার। শীঘ্রই প্রয়োজন আরেকটি অস্ত্রোপচার।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের নৃশংস হামলায় মৃত্যুঞ্জয়ী খাদিজা বেগম নার্গিসের বর্তমান অবস্থা এমনই। প্রায় একবছর আগে হামলার শিকার খাদিজা মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। এখনো স্বপ্ন দেখেন সুস্থ হবেন, স্বপ্নের পেশা ব্যাংকার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন। আর এ কারণে সুস্থ হওয়ার চেষ্টায় নিয়মিত ব্যায়াম করছেন। পাশাপাশি প্রয়োজনে থেরাপি নিচ্ছেন।

তিনি বলেন নিজের বর্তমান শারীরিক অবস্থা, নিজের স্বপ্নে অবিচল থাকা আর আগামীর প্রত্যয় বিষয়ে।

২০১৬ সালের ৩ অক্টোবরে এমসি কলেজে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিস। পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর পথে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম।

রক্তাক্ত খাদিজাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় ও পরে তাকে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মৃত্যুর মুখে চলে যাওয়া খাদিজা চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেন। হামলার পর ৪ অক্টোবর যখন খাদিজাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়, তখন চিকিৎসকেরা বলেছিলেন তার গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) বা জ্ঞানের মাত্রা ছিল মাত্র ৬; যেখানে ১৫ থাকতে হয়। তার মাথার খুলির হাড় (স্কাল বোন) থেঁতলানো এবং গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এ অবস্থা থেকে খাদিজাকে বাঁচিয়ে তোলা চিকিৎসকদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। মোটামুটি সুস্থ হওয়ার পর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে সাভারে সিআরপিতে পাঠানো হয়েছিল।

Developed by: