নেইমার কেনো বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে এসেছেন? প্রশ্নের উত্তরে একজন একেক কথা বলবেন। কেউ বলবে মেসির সঙ্গ ছাড়তেই কিংবা মেসিকে টপকাতে। আবার কেউ বলবে নিছক বেশি টাকার উদ্দেশ্যে। যদিও এসবকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নেইমার বলেছেন, কেবল ক্যারিয়ারের কথা ভেবেই বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যাত্রা তার।
এদিকে পিএসজিতে নেইমার যোগ দেয়ার পর থেকেই কাভানির সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। এ বিষয়ে কেউ বলেছেন, নেইমার আর কাভানিকে পিএসজিতে দেখতে চান না। আবার অনেকেই জানিয়েছে, কাভানি নাকি নেইমারকে ‘তুমি মেসি নও’ বলে খেপিয়েছেন। দলের আক্রমণভাগের দুই মূল ভরসার এমন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া নিয়ে মহা অস্বস্তিতে উনাই এমেরি।
তবে এবার নিজের মধ্যে চলমান বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের দাবি, সংবাদমাধ্যমই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে। মূলত লিঁওর বিপক্ষে লিগের ম্যাচে ঘটনার সূত্রপাত। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রি-কিক নেওয়া নিয়ে প্রথমে ঝামেলা হয় আলভেজ ও কাভানির মধ্যে। কাভানির কাছ থেক বল কেড়ে নিয়ে সেটা নেইমারের হাতে তুলে দেন দানি আলভেজ। কিছুক্ষণ পরেই একটা পেনাল্টি পায় পিএসজি। সেটা নিতে এগিয়ে যান কাভানি। নেইমারও পেনাল্টি নেওয়ার দাবি জানিয়ে কাভানির সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। কিন্তু কাভানি তাঁকে কোনো পাত্তাই না দিয়ে পেনাল্টি থেকে শট নেন।
এরপর থেকেই সংবাদমাধ্যম সরগরম এ দুজনের সম্পর্ক নিয়ে। নেইমারকে পেনাল্টি নিতে দিলে কাভানিকে ১ মিলিয়ন ইউরো দেবে ক্লাব—এমন কথাও শোনা গেছে। কিন্তু যাঁদের নিয়ে এত কথা, তাঁরা এ নিয়ে এতদিন কিছুই বলেননি। তবে বুধবার বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর আর নিজেকে সামলাতে পারেননি নেইমার, ‘তারা অনেক গল্প ফাঁদে। তারা বেশি কথা বলে, এমন বিষয় নিয়ে কথা বলে, যা নিয়ে কোনো ধারণাই নেই। তারা ড্রেসিংরুমে ঢুকে পড়তে চায় এবং শেষ পর্যন্ত এমন কিছু দাবি করে, যার কোনো অস্তিত্বই নেই।’
সংবাদমাধ্যম যদি গল্প বানিয়েও থাকে, মাঠে ফ্রি-কিক কিংবা পেনাল্টি নেওয়া নিয়ে বিতর্ক তো আর থামছে না। নেইমার অবশ্য বলছেন এ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না কাউকে, ‘এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। তবে এটা ড্রেসিংরুমের ব্যাপার।’
এডিনসন কাভানিও বলছেন ক্লাবে এখন পারিবারিক আবহ চলছে, ‘সবকিছুই বদলে যাচ্ছে। আমরা হয়তো জীবনকে ভিন্নভাবে দেখি কিন্তু যখন মাঠে নামি, তখন একটা পরিবার হিসেবে কাজ করতে হবে। একটাই লক্ষ্য থাকে, সেটা হলো দলকে জেতানো