শিক্ষানুরাগী মো. দিলওয়ার আহমদের স্মরণ সভা সমাজকে আলোকিত করার স্বপ্নে দিলওয়ার আহমদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

New Imageদিলওয়ার আহমদ এক ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সমাজ থেকে অন্ধকার দূর করার মিশন নিয়ে সারাজীবন কাজ করেছেন। শিক্ষার আলোকে প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, এর মাধ্যমে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মানুষকে ভালোবেসে মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করে একটি আলোকিত অভিজ্ঞান সৃষ্টি করেছেন।
শিক্ষানুরাগী মো. দিলওয়ার স্মৃতি পরিষদ-এর উদ্যোগে শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক, শিক্ষা বিপ্লবের অগ্রদূত মো. দিলওয়ার আহমদ (দিলু মিয়া) এর স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার সকালে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের শাহ সিকন্দর গ্রামে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য জামিল আহমদ চৌধুরী। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমদের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চেয়ারম্যান আবু জাহিদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু চৌধুরী।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রাজীব কুমার দত্তের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা নূর জাহান মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হোসনে কমর ওসমানী, সরকারী গার্লস হাইস্কুল , ঢাকা-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা খালেদা সুজাতা পারভীন, আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন, লালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল, সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল আফিয়ান চৌধুরী, ব্যবসায়ী আলমগীর ভূঁইয়া, লালাবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বুলবুল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মুহিত হোসেন, শিক্ষানুরাগী আব্দুল হান্নান, জয়নাল আহমদ চৌধুরী। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিনিয়র শিক্ষক মুয়াফিকুল ইসলাম তালুকদার, সভার শেষে মোনাজাত করেন শাহ সিকন্দর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম। সভায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, শিক্ষানুরাগী মো. দিলওয়ার হোসেন দিলু মিয়া লালাবাজার ইউনিয়নের মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বেলে দেবার জন্য ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু করে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাণকৃষ্ণ দে কিন্ডারগার্টেন এবং জোবেদা খাতুন বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠা শুরু করেন। তাঁর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতায় এলাকার প্রতিটি শিশু শিক্ষার আলো নিজেদের মধ্যে ধারণ করছেন। আমৃত্যু শিক্ষার প্রসারে নিবেদিত মো. দিলওয়ার আহমদের কর্মধারা মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্মৃতিচারণকালে তাঁর এই অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান। একটি সুখি ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার যে কাজ তিনি করেছেন, এর মাধ্যমে তিনি মানুষের মধ্যে স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবেন।

Developed by: