সিলেট প্রধান ডাকঘরে একটিমাত্র সেবা কাউন্টার সিলেটে উপ বৃত্তির টাকা পেতে দীর্ঘ লাইন: মানুষের দূর্ভোগ

সিলেট প্রধান ডাকঘরে ‘নগদ’-এর একটিমাত্র কাউন্টার থাকায় ‘নগদ’-এর মাধ্যমে সেবা পেতে আগ্রহী গ্রাহকদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকার প্রদত্ত উপবৃত্তির টাকা নগদ-এর মাধ্যমে তুলতে গিয়ে অসংখ্য গ্রাহকের ভিড়ে এ দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। বর্তমানে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হচ্ছে। নগদের পোস্টার-প্রচার মাধ্যমে জানা যায় সারাদেশে ১কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী উপ-বৃত্তির টাকা পাবেন ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। হঠাৎ করে পূর্বের পদ্ধতি পরিবর্তন করে নগদ-এর মাধ্যমে উপ বৃত্তির টাকা বিতরণ শুরু করায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে উপবৃত্তির টাকা প্রাপ্ত সুবিধাভোগীরা ।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ২৪শে জুন থেকে উপবৃত্তির টাকা পেতে মানুষ সিলেট প্রধান ডাকঘরে নগদ-এর কাস্টমার কেয়ার কাউন্টারে আসে। তখন লোকজন কম আসায় সাথে সাথে সার্ভিস পেয়ে যায় মানুষ। কিন্ত বর্তমানে নগদ-এর সেবা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মানুষকে খুব দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতকাল সোমবার সিলেট প্রধান ডাকঘরের বাইরে মেঘ-বৃষ্টির মধ্যে নগদ-এর সার্ভিস নিতে আসা মানুষের বিশাল জটলা দেখা যায়। করোনা সংক্রমনের সময় যেখানে বর্তমানে লকডাউন চলছে, সেখানে পোস্ট অফিসের সামনে উপবৃত্তির টাকা নিতে আসা শত শত মানুষের জটলা আতংকের সৃষ্টি করেছে। তারা বলছেন, এখানে সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসছেন কে আক্রান্ত আমরা তা জানিনা। আমরা এই উপবৃত্তির টাকা নিতে এসে করোনা সংক্রমিত হই কিনা তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।

সিলেট প্রধান ডাকঘরে নগদ-এর কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের একটিমাত্র কাউন্টার থাকায় জেলার বিভিন্ন উপাজেলা থেকে আসা লোকজন যথার্থ সার্ভিস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীদের এ অভিযোগ প্রসংগে সিলেট প্রধান ডাকঘরের সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল সুজিত চক্রবর্তী জানান, উপবৃত্তির টাকা প্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের জন্য প্রধান ডাকঘরের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। ‘নগদ’ আলাদা একটি সিস্টেম, এটা সম্পূর্ণরূপে নগদ-এর অফিশিয়ালদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সিলেট হেড পোস্ট অফিসে নগদ-এর একটিমাত্র কাস্টমার কেয়ার সেন্টার আছে, যার মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা প্রাপ্ত সুবিধাভোগীরা তাদের নগদ এ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডসহ বিভিন্ন সেবা গ্রহন করছেন। গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে আমরা নগদ-এর ব্যবস্থাপনার সাথে আলাপ করেছি, আমাদের পক্ষ থেকে তাদের বুথ বাড়ানোর জন্য বলেছি এবং এ ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

Developed by: