দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধসহ কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। কেন্দ্রগুলোতে এখন মানুষের উপচে পড়া ভিড়। লম্বা সময় গৃহবন্দি থেকে হাঁপিয়ে ওঠা প্রাণ যেন সব ছুটেছে প্রকৃতির কোলে একটু আশ্রয়ের জন্য। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পদভারে মুখর হয়ে উঠেছে এ উদ্যান। ছোটবড় প্রায় সব বয়সী পর্যটকের আনাগোনা দেখা গেছে। মাস্ক ছাড়া উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। কিন্তু প্রবেশদ্বার অতিক্রম করার পর অধিকাংশ পর্যটকের মুখে আর মাস্ক পাওয়া যায় না। ছবি তোলা কিংবা অক্সিজেন গ্রহণের জন্য অধিকাংশ পর্যটকই মাস্ক রাখছেন না মুখে। তবে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে কাজ করছেন উদ্যানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পর্যটন পুলিশ ও বন বিভাগের সংশ্নিষ্ট লোকজন।

কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ আজাদ মান্না বলেন, করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করলে তা নিরাপদ হবে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পর্যটন পুলিশের এসআই নাছির উদ্দিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আগত পর্যটকদের বলা হচ্ছে। যাদের মাস্ক নেই, তাদের টিকিট কাউন্টার থেকে মাস্ক সংগ্রহ\হকরে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি। পাশাপাশি পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ।’

লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রথম দিন শুক্রবার\হদুপুরে লাউয়াছড়া উদ্যান খুলে দেওয়ার পর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০\হহাজার টাকার টিকিট বিক্রি করা হয়। তবে এখন থেকে যদি লাউয়াছড়া\হজাতীয় উদ্যান স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকে, তাহলে সরকারের লাখ লাখ টাকা আদায় হবে এই পর্যটন কেন্দ্র থেকে।